মানুষের একমাত্র আত্মশুদ্ধ ছাড়া যতই ফরমালি ইবাদত করুক না কেন, শয়তান থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়। প্রত্যেক মানুষের গোপন কিছু পাপ কাজ থাকে যেগুলো থেকে সে বাড়ে বাড়ে ফিরে আসতে চায়, কিন্তু কোন লাভ হয় না। তখন চিন্তা করে না আমাকে নামাজ পড়তে হবে, ভালো কাজ করতে হবে - এই ভাবে কয়েক দিন চলে। আবার পরক্ষনে সেই খারাপ কাজ করে ফেলে। কিন্তু বুঝতে পারে না শয়তান তার ভিতরে আত্মা কালো করে ফেলেছে। সেই অন্তর পাপ থেকে ফিরাতে পারে না। আত্না,অন্তর কিভাবে পরিষ্কার করা যাবে সেই দিক খুঁজে না। এই ভাবেই কেটে যায় দিনের পর দিন। তাই, শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে মুক্তি পেতে হলে আত্মশুদ্ধির গুরুত্ব অপরিসীম৷
ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সঃ) হাসান ও হুসাইন (রাঃ)-এর জন্য আশ্রয় প্রার্থনা করতেন এভাবে, " أُعِيذُكُمَا بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لاَمَّةٍ " অর্থাৎ, 'আমি তোমাদের দু’জনের জন্য আল্লাহ্র পূর্ণাঙ্গ কালেমাসমূহের মাধ্যমে প্রত্যেক শয়তান ও বিষাক্ত প্রাণী হতে এবং সকল প্রকার বদনজর হতে মুক্তি চাইছি'। অতঃপর তিনি বলতেন, তোমাদের পিতা (ইবরাহীম আঃ)-ও ইসমাঈল এবং ইসহাক্ব (আঃ) উভয়ের জন্য এ দু’আ পড়ে আশ্রয় চাইতেন। (আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৭৩৭)
জনাব! আপনি প্রত্যহ দিন " أُعِيذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لاَمَّةٍ " — এই দোয়াটি পাঠ করুন। আল্লাহ চাহে তো, অবশ্যই শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে মুক্তি পাবেন। এছাড়াও, আপনি সবসময় সুরা মায়িদা-এর ৮৩ নং আয়াত পাঠ করুন। আয়াতটির কিছুটা হলোঃ "رَبَّنَا آمَنَّا فَاكْتُبْنَا مَعَ الشَّاهِدِينَ" অর্থাৎ, হে আমাদের প্রতি পালক, আমরা ঈমান আনয়ন করলাম। অতএব, আমাদেরকেও মান্যকারীদের তালিকাভুক্ত করে নিন।