Jamiar

Call

ধন্যবাদ প্রশ্ন করার জন্য । আসলে টেস্টটিউপ উপায়ে বেবি নেওয়া উপায়টি খারাপ না ।তবে এই পদ্ধতি সবার ক্ষেত্রে না । যদি আপনি এই পদ্ধতিতে বেবি নিতে চান তাহলে গাইনি চিকিৎসকের কাছে যান ও ওনার সাথে আলোচনা করে নিন। 

আসলে নরমালি ডেলিভারি হলো যখন কোন নারি প্রেগন্যান্ট হয় এবং তা একসময়ে বা ৪০/৪২/৪৩ সপ্তাহ পর ডেলিভারির সময় হয়ে যায় আর এই ডেলিভারি নরমালি ভাবে যোণি পথ ডেলিভারি কে নরমাল ডেলিভারি ও বলা হয়ে থাকে। নরমাল ডেলিভারি অনেক পুরনো একটি পদ্ধতি। নরমাল ডেলিভারি অনেক পুরনো একটি পদ্ধতি হলেও এর সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসুবিধাও আছে।

বে এই  নরমাল ডেলিভারির সুবিধাগুলি হচ্ছেঃ নরমাল ডেলিভারির সবচাইতে বড় সুবিধা হচ্ছে এতে খুব অল্প সময়ে সুস্থ অবস্থায় ফিরে যাওয়া যায়। নরমাল ডেলিভারি তে ব্যাথা একটু বেশি হলেও পরবর্তীতে মা ও শিশুর জন্য সবকিছু অনেক সহজ হয়ে যায়। এছাড়া নরমাল ডেলিভারি তে বিভিন্ন সমস্যা যেমন-শিশুর শ্বাসকষ্টের সমস্যা, অ্যালার্জির সমস্যা ইত্যাদি অনেক কম হয়। তাছাড়া নরমাল ডেলিভারি করলে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও অনেক ভালো থাকে। নরমাল ডেলিভারির আরেকটি সুবিধা হচ্ছে, ডেলিভারির ১২ ঘণ্টার মধ্যেই হাসপাতাল থেকে রিলিজ নেয়া সম্ভব। যেহেতু নরমাল ডেলিভারি তে ঝামেলা কম তাই মায়েরা খুব দ্রুত শিশুদেরকে বুকের দুধ পান করাতে পারেন এবং খুব শীঘ্রই কাজকর্ম শুরু করতে পারেন। নরমাল ডেলিভারির পররো য কাদি কোন ইনফেকশন হয় অথবা কেও যদি ভবিষ্যতে কন্সিভ করতে চায় তাহলে সেক্ষেত্রেও কোন সমস্যা হয় না।পাশাপাশি, নরমাল ডেলিভারির শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সিজারিয়ান শিশুদের চাইতে অনেক বেশি হয় কারণ নরমাল ডেলিভারির সময় মায়ের শরীর থেকে এক ধরণের হরমোন এবং ব্যাকটেরিয়া রিলিজ হয় যা শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। কিন্তু এমনটি C-Section ডেলিভারির ক্ষেত্রে হয় না।


নরমাল ডেলিভারির কিছু অসুবিধাঃনরমাল ডেলিভারি অনেক ক্ষেত্রেই ঝুঁকিপূর্ণ এবং মানসিক চাপের কারণ হতে পারে, কারণ সম্পূর্ণ পদ্ধতি টি অনেক দীর্ঘ হয় এবং কতক্ষন সময় লাগতে পারে তা অনুমান করা অনেক কঠিন। যার কারনে মা অনেক কষ্ট পেতে থাকে ডেলিভারিতে প্রসব বেথায় অনেক কষ্ট পেতে পারে,এবং যোনি(ভেজাইনা)লুস হয়ে থাকে এ ছাড়া তেমন কোণ অসুবিধানেই  ।


সিজারে বেবি ডেলিভারি হলো মুলত যখন কোন নারি প্রেগন্যান্ট হয় এবং তা একসময়ে বা ৪০/৪২/৪৩ সপ্তাহ পর ডেলিভারির সময় হয়ে যায় তখন ডেলিভারির পেইন না আসা বা কোন কারন বসত সিজার করার প্রয়োজন পরে যা হয়তো বেবির পজিশন ঠিক না থাকলে বা গর্ভসুকিয়ে গেলে বা কোন কারন বসত বেবি নরমালি হতে না পারলে সিজার করতে হয় ।আর সিজার মুলত নারীর নিচ পেট কাট হয় যা নাভির নিচে  কাটা হয়  এবং সেই কাটা অংশ হতে থেকে বেবি বের করা হয়ে থাকে ।

তবে এই সিজারের অনেক ক্ষতিকারক প্রভাব আছে যা মায়ের জন্য অনেক ক্ষতি কর ।

এই সিজারিয়ান পদ্ধতির অসুবিধা গুলো হলো  

  • অনেক দিন হাসপাতালে থাকতে হতে পারে। 
  • শিশু জন্মের পর অনেক সময় অত্যাধিক ব্লিডিং হয়ে থাকে।
  • মায়ের হার্ট এটকের ঝুকি থাকে। 
  • ইউটেরাইন ইনফেকশনের ঝুকি বেড়ে যায়।
  • সিজারে অনেক রক্তপ্রবাহিত হতে পারে।
  • অপেরাসনের পরে ব্যথা হয় বা প্রায় কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত ব্যথা হয়ে থাকে।
  • কাটা স্থানে অনেক জ্বালাপোড়া করে।
  • কাটা স্থানে ঘা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ।
এছাড়াও অন্যন্য সমস্যা হতে পারে। তবে সিরিয়াস কোন সমস্যা দেখা দিলে আপনি আপনার চিকিৎসকের কাছে আলোচনা করবেন।
এছাড়াও সিজারে বেবি ডেলিভারি করতে তেমন সুবিধা নেই বললেই চলে   
  • তবে এতে  প্রস্রব ব্যাথা পাওয়া যায় না।
  • যোণি বা ভেজাইনার পূর্বের ন্যায় থাকে।
  • সিজারে বেবি ডেলিভারি করতে বেবির তেমন ক্ষতি হয় না, 
আসা করি বুঝতে পারছেন। পরবর্তীতে কোণ সমস্যা হলে বা কোণ কিছু জানার থাকলে আমাদের বিস্ময়ে জানাবেন ।আসা করি চেষ্টা করবো সঠিক পরামর্শ দিতে । ধন্যবাদ। 
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ