হিন্দু বা বিধর্মী কোন বন্ধুর দাওয়াতে যেয়ে খেতে পারব কি? ইসলামের দৃষ্টি কোন থেকে ব্যাখ্যা চাই। আবার প্রসাদ এর ব্যাপারে আমি জানি যে দেবতা বা তদের স্রষ্টার উপর উৎসর্গকৃত খাবার খাওয়া যাবেনা, তাহলে বন্ধু যখন প্রসাদ জাতীয় কিছু খেতে দেবে তখন আমি কিভাবে এড়িয়ে যাবো? অথবা বিব্রততার সহিত খেতে পারবো কিনা?


অনুগ্রহ করে কেউ গুগল থেকে উত্তর দেবেননা, এবং রেফারেন্স উল্লেখ করবেন। তবে আরবীতে কিছু বাক্য না দিয়া বাংলায় তর্জমা করে দেবেন, অর্থগত সমস্যা আমি ঠিক করে নেবো। 

শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

মহান আল্লাহ বলেন, হে মুমিনগণ! তোমরা ইয়াহুদী ও নাসারাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, তারা পরস্পর পরস্পরের বন্ধু। আর তোমাদের মধ্যে কেউ তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করলে সে নিশ্চয় তাদেরই একজন। নিশ্চয় আল্লাহ যালিম সম্প্রদায়কে হেদায়াত দেন না। (মায়েদাহঃ ৫১)। তিনি আরো বলেন, হে মুমিনগণ! তোমরা আমার এবং তোমাদের শত্রুদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ কর না। তোমরা তো তাদের প্রতি বন্ধুত্বের বার্তা পাঠাও, অথচ তারা তোমাদের কাছে যে সত্য এসেছে, তা অস্বীকার করেছে। তারা রাসূলকে ও তোমাদেরকে বহিষ্কার করে এই অপরাধে যে, তোমরা তোমাদের পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছ। যদি তোমরা আমার সন্তুষ্টি লাভের জন্য এবং আমার পথে জিহাদ করার জন্য বের হয়ে থাক, তবে কেন তাদের প্রতি গোপনে বন্ধুত্বের পয়গাম প্রেরণ করছ? তোমরা যা গোপন কর এবং যা প্রকাশ কর, তা আমি খুব জানি। তোমাদের মধ্যে যে এটা করে, সে সরল পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে যায়। (মুমতাহিনাঃ ১) হিন্দু বা বিধর্মী কোন বন্ধুর দাওয়াতে যেয়ে তাদের তৈরিকৃত হালাল খাদ্য খেতে পারবেন। কোন হিন্দু বন্ধুর দাওয়াতে হালাল খাদ্য খাওয়া অবৈধ না। আল্লাহর ওয়াস্তে তার মনকে ইসলামের দিকে আকৃষ্ট করার জন্য খাওয়া যায়। আমাদের আদর্শ নবী কাফেরদের দাওয়াতে তাদের তৈরি হালাল খাদ্য খেয়েছেন। অবশ্য তাদের পূজা উপলক্ষে প্রস্তুতকৃত খাদ্য, মূর্তি বা মাজারে উৎসর্গকৃত খাদ্য, ঠাকুরের প্রসাদ ইত্যাদি খাওয়া বৈধ নয়। যেহেতু তাতে শিরকে মৌন সম্মতি ও সমর্থন প্রকাশ পায়। যা প্রশ্নেই বলেছেন। বন্ধু যখন প্রসাদ জাতীয় কিছু খেতে দেবে তখন আমি কিভাবে এড়িয়ে যাবো? অথবা বিব্রততার সহিত খেতে পারবো কিনা? এজন্য-ই উপরে দুইটি আয়াত উল্লেখ করা হয়েছে আশাকরি বুঝেছেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
RAyhanAR

Call

যতটুকু জানি শুকনো খাবার খাওয়া যায় যেমন=>মুরি.বিস্কুট.চানাচুর

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের খাবার নাপাক হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিতভাবে জানা না যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের তৈরি করা বা রান্না করা খাবার খাওয়া বৈধ হবে৷ তবে তাদের তৈরিকৃত বা রান্নাকৃত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা উত্তম৷ উল্লেখ্য, তাদের জবাই করা প্রাণীর গোশত খাওয়া যাবে না৷ কারণ তা স্পষ্ট হারাম৷ (সূরা তাওবা- ২৮, সূরা মায়িদা- ৩, ফাতাওয়া আলমগীরী ৫/৩৫৭, ইমদাদুল ফাতাওয়া ৪/১১৫, ৪/২৭০, ইমদাদুল আহকাম ৪/৩৯২, জাওয়াহিরুল ফিকহ ২/১৮৭৷

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

১. খাবার উপার্জন হালাল হতে হবে। সুদ, ঘুষ ইত্যাদি অবৈধ পন্থায় উপার্জন হতে পারবে না। ২. এতে তার ধর্মের লাভ বা উপকার থাকতে পারবে না। মুসলমানদেরকে তার ধর্মের প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে পারবে না। ৩. খাবার দ্রব্যাদি মুসলমানদের জন্য হালাল হতে হবে। মদ, শূকর বা নাপাক কিছু থাকতে পারবে না। সুতরাং কোনো অমুসলিম যদি একজন মুসলিম কে খাবার খাওয়ানো একটা উত্তম কাজ' মনে করে মুসলমানদের জন্য খাবার আয়োজন করে আর তার উপার্জন হালাল হয়, তাহলে মুসলমানদের জন্য উক্ত খাবার খাওয়া জায়েজ আছে। তবে সাধারণ বিশেষ কোনো কারণ ছাড়া না খাওয়াই উত্তম।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ