হরমোন হচ্ছে একটি জৈব রাসায়নিক বৃহদাকার অনু দিয়ে গঠিত এক প্রকার প্রভাবক যা দেহের অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয়। বিভিন্ন হরমোনের কাজ বিভিন্ন রকম। হরমোনের অভাব জনিত কারনে নির্দিষ্ট হরমোনের জন্য নির্দিষ্ট কাজ বাধাগ্রস্থ হয় ফলে নানা উপসর্গ দেখা দেয় যা অস্থায়ী বা স্থায়ী হতে পারে, একেই হরমোন জনিত রোগ বলে। আবার স্বাভাবিকের চেয়ে অতি বেশি হরমোন হলেও যে সমস্যা দেখা দেয় তাকেও হরমোন রোগ বলে। যেমনঃ মানুষের সেকেন্ডারী বৈশিষ্ট প্রকাশে যৌন হরমোন খুবই গুরুত্ব পুর্ন, ইস্ট্রজেন এর ক্ষরন শুরু হলে দাড়ি গোফ ওঠা শুরু হয়, ছেলেদের স্বাভাবিক কিন্তু হরমোন কম হলে অথবা জীনের প্রভাবে এন্টি হরমোন এপিস্ট্যাটিক আন্তঃক্রিয়া করলে দাড়ির পরিমান কমে যায়, এটি হরমোন রোগ বলতে পারেন(যদিও এটি রোগ হিসাবে গন্য নয়) কিন্তু মেয়েদের দেহে ইস্ট্রজেনের প্রভাব বেশি হলে সমস্যা যেমন গোফে লোম বড়(অনেকেই গোফ বলে থাকেন) কাজেই এটিও হরমোন রোগ। আমাদের সুপরিচিত ডায়াবেটিস ইনসুলিন জনিত রোগ। অগ্নাশয়ের আইলেটস অফ ল্যাঙ্গারহ্যান্স এর বিটা কোষ থেকে ইনসুলিন ক্ষরন হয়, এই ইনসুলিন রক্তের শর্করা বা গ্লুকোজকে কোষের প্লাজমামেমব্রেন ভেদ করে ভেতরে ঢুকতে সাহায্য করে। এখন ইনসুলিন এর পরিমান কমে গেলে শর্করা কোষে ঢুকতে না পেরে রক্তেই জমা থাকে। ফলে রক্তে শর্করা বেড়ে যায় তখন আমাবের কিডনি এটিকে বর্জ্য হিসাবে অসমোসিস চাপের জন্য ছেকে মূত্র হিসাবে পাঠিয়ে দেয় বলে ঘন ঘন প্রসাব লাগে যাকে আমরা বহুমূত্র বা ডায়াবেটিস বলে থাকি। শিশু কালে গ্রোথ হরমোন কমে গেলে উচ্ছতা বাড়েনা, ফলে বামনত্ব সৃষ্টি হয়, এটি হরমোন রোগ। আশা করি বুঝতে পারছেন।