শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

এক টাকা ১ ঘন্টার বেশি লেখা পড়া করা উচিত নয় এক টানা পড়তে নিজের মোবাইল মা/ বাবা কে দিয়ে দিন। তাঁর পর টার্গেট অনুযায়ী পড়া শুরু করুন। টার্গেট ১ ঘন্টার বেশি নিবেন না। ১ ঘন্টা করে পড়ে ১০ মি. রেস্ট নিবেন। এই ভাবে অনেক ক্ষণ পড়তে পারবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

একটানা বলতে আপনি যদি বুঝিয়ে থাকেন যে পড়ায় মনোযোগী হওয়া তবে নিচের টিপস গুলো আপনার বেশ কাজে দেবে।একটানা পড়া যেমন মস্তিষ্কের উপর চাপ পড়বে তেমনি চাপ পড়বে মনে ও আপনার চোখে তাই মনোযোগী হলেই আপানার সমস্যা সমাধান হবে।

আপনি কি  চেষ্টা করেও লেখাপরায় মনোনিবেশ করতে পারছেন না। পড়তে বসতে ইচ্ছা করে না। কিন্তু পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে চাইলে পড়াশুনা করাটা আবশ্যক।তাই মন না থাকা স্বত্বেও পরে যাচ্ছেন। ফলশ্রুতিতে কিছুই মনে রাখতে পারছেন না। তবে পরাশুনায় মনযোগ ধরে রাখা  ঠিক ততটাও কঠিন নয় যতটা আপনার কাছে মনে হচ্ছে।

চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক কিভাবে পড়াশুনায় মনোনিবেশ করবেন-

১. বিরতি নিয়ে পড়ুন:আমরা অনেক সময় একটানা অনেক্ষন পড়াশুনা করলে বিরক্ত অনুভব করি। আর তখন আমাদের মনোযোগ কমে আসে, তাই ওই সময় না পড়াই ভাল।কারন তখন পরলেও তার খুব কম অংশই আমাদের মনে থাকবে। সবচেয়ে ভালাও হয় প্রতি ১ ঘন্টা পড়ার পর ১০-১৫ মিনিট বিরতি নিয়ে আবার পড়া শুরু করা।

২. দাঁড়িয়ে পড়া:যখন আপনার পড়তে ইচ্ছা করে না তখন দাড়িয়ে সারিয়ে পড়তে পারেন। এতে সহজেই মনোযোগ ফিরে আসবে।টেক্সাসের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কলেজের ৩০০ জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা দাড়িয়ে পড়াশুনা করেছিল তারা বসে বসে যারা পড়াশুনা করেছে তাদের তুলনায় বেশি মনে রাখতে পেরেছে।

৩. লক্ষ্য নিয়ে পড়ুন:আপনি কি হতে চান সেতাই হল আপনার লক্ষ্য। আর যখনই পড়া থেকে  মনোযোগ ক্ষুন্ন হয় ঠিক তখনই আপনি আপনার লক্ষ্য নিয়ে ভাবুন।

৪। ঘুমিয়ে নিনঃএকটানা দীর্ঘ সময় পড়াশুনা করলে মস্তিষ্কের উপর চাপ পরে। তখন মস্তিষ্কের কাজ করার ক্ষমতা অনেকটাই কমে যায়।

এক্ষেত্রে আপনি যদি কিছুটা সময় ঘুমিয়ে নেন তাহলে মস্তিষ্কের সতেজতা ফিরে আসবে। তখন আপনি আবার সহজেই পরাশুনায় মনোনিবেশ করতে পারবেন।

৭. দিনের শুরুতে পড়ার অভ্যাস:দিনের শুরুরভাগে মানুষের কাজ করার ক্ষমতা থাকে সর্বাধিক। তাই কঠিন ও একঘুয়ে পড়াগুলো সকালের দিকে পড়ার চেষ্টা করুন।

৮. মেডিটেশন করুন:মেডিটেশন মন ও শরীর দুইই প্রাণবন্ত করে তোলে। মেডিটেশনের ফলে শরীরের ক্লান্তি দূর হয় এবং কাজ করা ক্ষমতা বেড়ে যায়।

এছাড়া মেডিটেশনের ফলে  মস্তিষ্কের এর রিফ্রেশমেন্ট ঘটে। ফলে পড়া খুব দ্রুত মুখস্ত হয়ে যায় এবং তা  বহুক্ষণ ধরে মনে থাকে।

৯. নিজেকে বুঝুন:কোন সময়টাতে পড়তে আপনার ভালো লাগে সেটা বুঝুন। যেমন কেউ অনেক ভোরে পড়েন, কেউ সারাদিন পড়েন।

কেউ আবার অনেক রাতে পড়েন। আপনার কোন সময়টাতে পড়া হয় সে সময়ে পড়তে বসুন। প্রয়োজনে একটা রুটিন তৈরি করে নিতে পারেন।

১০. মিষ্টি জাতীয় খাবার খান:

মিষ্টি জাতীয় খাবার দেহে যাওয়া পর সহজেই পরিপাক শুরু হয় ও সহজেই শরীরকে শক্তির জোগান দেয়।

সারা শরীরকে সতেজ করে তোলে। এছাড়া  মস্তিষ্কের কাজ করার ক্ষমতা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

একটানা অনেকক্ষণ পড়ার জন্য টপিক ধরে ধরে আগাতে হবে।যেমন একটি টপিক শেষ না হওয়া পর্যন্ত পড়ার টেবিল ছেড়ে ওঠা যাবে না।আর মোবাইল বেশিক্ষণ ব্যবহার করবেন না,কম ব্যবহার করবেন।যেমন ফেসবুকে ৫ মিনিটের জন্য ঢুঁ মেরে আসবেন,২ মিনিট গেমস্ খেলবেন এই যা।পড়ার সময় মোবাইল বন্ধ করে পড়াশোনা করবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Ronu

Call

আমরা জেনে নিই একটানা পড়াশোনায় হবার কিছু উপায় অমনোযোগীতা আনতে পারে এমন সব বিষয় মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। আপনার পড়ার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু হাতের কাছেই রাখুন যাতে বারবার উঠতে না হয়। অনেকের বারবার ফোন আসে পড়ার সময়।খুব বেশি দরকার না হলে ফোন বন্ধ করে রাখতে পারেন। পড়তে বসার অন্তত ৫ মিনিট আগ থেকে মনস্থির করুন। আমরা অনেক সময় একটানা অনেক্ষন পড়াশুনা করলে বিরক্ত অনুভব করি। আর তখন আমাদের মনোযোগ কমে আসে, তাই ওই সময় না পড়াই ভাল।কারন তখন পরলেও তার খুব কম অংশই আমাদের মনে থাকবে। সবচেয়ে ভালাও হয় প্রতি ১ ঘন্টা পড়ার পর ১০-১৫ মিনিট বিরতি নিয়ে আবার পড়া শুরু করা। আপনি যে বিষয় পড়বেন সেটা অন্য কাউকে শিক্ষা দিন।এমন কাউকে যে সে বিষয়টা সম্পর্কে জানেনা। শিক্ষকতা নিজের জ্ঞান আহরণের জন্য সবচেয়ে উত্তম উপায়। যেমন- আপনি যদি গণিত কম বোঝেন বা গণিত নিয়ে পড়তে চান ভবিষ্যতে আপনার উচিত এখন থেকেই গনিতের উপর শিক্ষা দান করা অন্যদের। এতে আপনার নিজেরও চর্চা থাকবে বিষয়টির উপর। আপনার সব ইন্দ্রিয় সক্রিয় করুন। আপনি একটি বিষয় যতই পড়ুন না কেন সারাদিন ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি তা মনে রাখতে পারবেন না অথবা বুঝবেন না যতক্ষণ না আপনি বিষয়টি আপনার চারপাশের কিছুর সাথে সম্পৃক্ত করতে পারছেন। চারপাশের জিনিসের সাথে আপনি আহরণ করা জ্ঞান মিলিয়ে নেয়ার চেষ্টা করুন। প্রত্যেকটি বিষয়, ধারণার মাঝে সংযোগ স্থাপন করতে শিখুন। একটি আরেকটির সাথে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে আপনার নিজের জ্ঞানের পরিধিও অনেক বাড়বে। আপনি যখন নতুন কোন বিষয় বা তথ্য সম্পর্কে জানবেন তখন তা আপনার বর্তমানের পরিচিত কোন জানা তথ্য বা ধারণার সাথে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করুন। এতে পরীক্ষার সময় আপনার সে নতুন তথ্য ভুলে যাবার আশঙ্কা কম থাকে। পড়ার সময় প্রত্যেকটি তথ্যের ধরন বোঝার চেষ্টা করুন। যেমন- যে তথ্য দেয়া আছে সেটা কি গাণিতিক তথ্য, নাকি ঐতিহাসিক কোন তথ্য, নাকি কোন ব্যক্তি বা দেশ সম্পর্কে তথ্য এসব বিষয়ে ভালো করে বুঝে তারপর মুখস্ত করতে হবে। না বুঝে মুখস্ত করলে তা কোনদিন মনে থাকবেনা। মেডিটেশন মন ও শরীর দুইই প্রাণবন্ত করে তোলে। মেডিটেশনের ফলে শরীরের ক্লান্তি দূর হয় এবং কাজ করা ক্ষমতা বেড়ে যায়। আপনার পড়ার মূল লক্ষ্য কিন্তু সেটাকে বুঝে জ্ঞান আহরণ করা আর পরীক্ষায় ভালো করা। কিন্তু আপনি যদি নাই বোঝেন তাহলে ভালো করার প্রশ্নই আসেনা। তাই যে বিষয়টি বুঝবেন না তার পেছনে একটু বেশি মনোযোগী হন। প্রয়োজনে খাতায় লিখে, করে বোঝেন। কারণ না বুঝে মুখস্ত করে সেটা বেশিক্ষণ মনে রাখা কোন ছাত্রের পক্ষেই সম্ভব নয়। উপরোক্ত উপায় মেনে চললে আপনি একটানা পড়ালেখা করতে পারবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ