আমার প্রশ্ন হচ্ছে,, একটি গরু দিয়ে সাতজনের নামে আকিকা করা যাবে কিনা? দয়া করে উত্তর দিয়ে বাধিত করবেন।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Habib96

Call

আকীকার ক্ষেত্রে সুন্নাত হলো ছাগল, ভেড়া বা এজাতীয় পশু জবেহ করা। ছেলের জন্য দুটি আর মেয়ের জন্য একটি। তবে ছেলের জন্যও একটা দেয়া যায়, এটা হাদীসে আছে। সকল ক্ষেত্রে আমাদের সুন্নাতের অনুস্বরণ করা উচিৎ। গরু দিয়ে আকীকা রাসূলুল্লাহ সা. কিংবা সাহাবীগণ করেননি। তবে আলেমগণ গরু দিয়ে আকীকা করাকে জায়েজ বলেছেন। আবার এক পশুতে একাধিক আকীকাও সাহবীগণ দেননি। তবে আলেমগণ কুরবানীর উপর কিয়াস করে বলেন, বড় পশুতে একাদিক কুরবানী দেয়া জায়েজ। সে হিসেবে সাত জনের জন্য একটি গরু আকিকা দেয়া যাবে৷

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

সহীহ হাদীসে গরু দিয়ে আকীকা করার কথা উল্লেখ হয়নি। অথচ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর যুগে সব ধরণের পশুই বিদ্যমান ছিল। সুতরাং উত্তম হচ্ছে ছাগল বা দুম্বা দিয়েই আকীকা করা। গরু দিয়ে আকীকা করা হলে একদল আলেমের মতে তা জায়েয হবে। তবে শর্ত হচ্ছে একজন সন্তানের পক্ষ হতে একটি গরু দিয়ে আকীকা করতে হবে। অপর পক্ষে কতিপয় আলেম সাত সন্তানের পক্ষ হতে একটি গরু দিয়ে আকীকা দিলেও জায়েয হবে বলে মত দিয়েছেন। তবে সাত সন্তানের পক্ষ হতে একটি গরু আকীকা করার কথা হাদীসে পাওয়া যায় না। আকীকা যেহেতু একটি ইবাদত, তাই হাদীসে যেভাবে বর্ণিত হয়েছে সেভাবেই পালন করা উচিত। অধিকাংশ আলেমের মতে সন্তানের আকীকা করা সুন্নাতে মুআক্কাদাহ। রাসূসুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তার সন্তানের আকীকা করতে চায়, সে যেন উহা পালন করে। আকীকার ক্ষেত্রে সুন্নাত হলো, ছেলে সন্তান হলে দুইটি দুম্বা বা ছাগল আর মেয়ে সন্তান হলে একটি দুম্বা বা ছাগল দিয়ে আকীকা করা। কেননা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ ছেলে সন্তানের পক্ষ থেকে দুইটি সম বয়সের ছাগল এবং মেয়ে সন্তানের পক্ষ থেকে একটি ছাগল দিয়ে আকীকা দিতে হবে। (তিরমিজী) আকীকার গোশতঃ কুরবানীর গোশতের মতই। তা নিজে খাবে, আত্মীয় স্বজনকে খাওয়াবে এবং গরীব-মিসকীনকে ছাদকা করবে। তবে যেমন ভাবে কুরবানীর গোশত তিন ভাগ করে একভাগ নিজে খাওয়া, একভাগ ছাদকা করা এবং এক ভাগ আত্মীয়-স্বজনকে হাদীয়া হিসাবে দান করা জরুরী নয়, ঠিক তেমনিভাবে আকীকার গোশতও উক্ত নিয়মে তিন ভাগ করা জরুরী নয়। আকীকার গোশত যদি সম্পূর্ণটাই রান্না করে এবং আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধব এবং অন্যান্য মুসলমানদেরকে দাওয়াত দিয়ে খাওয়ায় তাতেও যথেষ্ট হবে। কিন্তু এক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে যে, কোন ক্রমেই শুধুমাত্র ধনী ও সম্মানী লোকদেরকে দাওয়াত দিয়ে দরিদ্র ও অভাবী।ব্যক্তিদেরকে প্রত্যাখ্যান না করা হয়। [আকীকা দিতে অক্ষম হলেঃ আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ আল্লাহ তায়ালা কারও উপর সাধ্যের অতিরিক্ত দায়িত্ব চাপিয়ে দেননা। সূরা বাকারাঃ-২৮৬]

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ