বেগানা মেয়ের সাথের কথা বলা বা চ্যাট করা হলে কী শাস্তির বিধান আছে???
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

পুরুষ প্রয়োজনে মহিলার সাথে এবং মহিলা প্রয়োজনে পর পুরুষের সাথে কথা বলতে পারে তা যে মাধ্যমেই হোক। তবে সে কথা যেন স্বাভাবিক হয়; না রুক্ষ না কর্কশ হয়, আর না মধুময় আকর্ষণীয় হয়। মহান আল্লাহ বলেছেন, “হে নবী পত্নীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও; যদি তোমরা আল্লাহ্‌কে ভয় কর তবে পরপুরুষের সাথে কোমল কণ্ঠে এমনভাবে কথা বলো না, যাতে অন্তরে যার ব্যাধি আছে সে প্রলুব্ধ হয়। আর তোমরা সদালাপ কর।(স্বাভাবিকভাবে কথা বল।)” (আহযাবঃ ৩২)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

বেগানা নারীদের সাথে অপ্রয়োজনীয় কথা বলা, চ্যাটিং করা কোনটিই বৈধ নয়। বরং তা হারাম। বাস্তবিক ব্যভিচারের শাস্তি বিবাহিত হলে হত্যা করা। আর অবিবাহিত হলে একশত বেত্রাঘাত। তবে বেগানা নারীদের সাথে কথা বলা, চ্যাটিং করার কারনে দুনিয়াতে এর কোন শাস্তি দেওয়া হয়না। কেউ যদি ব্যভিচার করে মহান আল্লাহ তালার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে, মহান আল্লাহ তার গোনাহ মাফ করে দিবেন। আল্লাহ শিরক যদি ক্ষমা করেন, তাহলে ব্যভিচার কেন ক্ষমা করবেন না? যৌনাঙ্গ ব্যতীত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ব্যভিচার প্রসঙ্গেঃ আবূ হুরাইরাহ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা বানী আদমের জন্য যিনার একটা অংশ নির্ধারিত রেখেছেন। সে তাতে অবশ্যই জড়িত হবে। চোখের যিনা হলো দেখা, জিহবার যিনা হলো কথা বলা, কুপ্রবৃত্তি কামনা ও খাহেশ সৃষ্টি করা এবং যৌনাঙ্গ তা সত্য অথবা মিথ্যা প্রমাণ করে। (সহীহ বুখারী, হাদিস নম্বরঃ ৬২৪৩) আল্লামা খাত্তাবী (রহঃ) এ হাদীসের ব্যাখ্যায় লিখেছেনঃ দেখা ও কথা বলাকে যিনা বলার কারণ এই যে, দুটোই হচ্ছে প্রকৃত যিনার ভূমিকা তথা যিনার মূল কাজের পূর্ববর্তী স্তর। কেননা দৃষ্টি হচ্ছে মনের গোপন জগতের উদ্বোধক আর জিহবা হচ্ছে বাণী বাহক, যৌনাঙ্গ হচ্ছে বাস্তবায়নের হাতিয়ার- সত্য প্রমাণকারী।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ