গণিতশাস্ত্র এক সময় সংস্কৃত ভাষায় লেখা হতো যার ফলে সাধারণ মানুষের জন্য গণিতশাস্ত্র পড়া কঠিন ব্যাপার ছিল। তখন ভৃগুরাম দাস নামে এক গণিতবিদ সহজ পদাবলির মাধ্যমে গণিতকে প্রকাশ করা শুরু করেন। লোকজনের মাঝে জনপ্রিয়তা পায় তার এই গণিত বিষয়ক সহজ পদাবলি। লোকের কাছে এই পদাবলিগুলোকে মনে হতে থাকে শুভকর অর্থাৎ উপকারী। শুভকর থেকে ভৃগুরাম দাসের নাম হয় শুভঙ্কর। শুভঙ্কর গণিতকে যেভাবে কবিতার মতো করে তুলে ধরতেন, শিক্ষার্থীদের কাছে তা মনে হতো কবিতা। তাছাড়া সেই সময়ে তিনি গণিতের এমন কিছু নিয়ম বের করেছিলেন যেগুলোতে গোঁজামিল দিয়ে ভরা আর সেই থেকে গোঁজামিলপূর্ণ বিভ্রান্তিকর নয়-ছয় গলদ জাতীয় কোন কিছুকেই ‘শুভঙ্করের ফাঁকি’ হিসেবে বলা হয়।
***ইতিহাস*** শুভঙ্করের ফাঁকি কথাটি আমাদের সমাজে বহুল প্রচলিত। এই শব্দগুচ্ছের উৎপত্তির পেছনে আছেন গণিতবিদ শুভঙ্কর। অবশ্য শুরুতেই তারনাম শুভঙ্কর ছিল না। গণিতশাস্ত্র এক সময় সংস্কৃত ভাষায় লেখা হতো যার ফলে সাধারণ মানুষের জন্য গণিতশাস্ত্র পড়া কঠিনব্যাপার ছিল। তখন ভৃগুরাম দাস নামে এক গণিতবিদ সহজ পদাবলির মাধ্যমে গণিতকে প্রকাশ করা শুরু করেন। লোকজনের মধ্যে জনপ্রিয়তা পায় তার এই গণিত বিষয়ক সহজপদাবলি। লোকের কাছে এই পদাবলিগুলোকে মনে হতে থাকে শুভকর অর্থাৎ উপকারী। শুভকরথেকে ভৃগুরাম দাসের নাম হয় শুভঙ্কর। শুভঙ্কর গণিতকে যেভাবে কবিতার মতো করে তুলে ধরতেন, শিক্ষার্থীদের কাছে তা মনে হতো কবিতা। এই বিষয়টিই ‘শুভঙ্করের ফাঁকি’ নামে পরিচিতি পায়। শুরুতে বিষয়টির সঙ্গে ইতিবাচক বিষয় জড়িত ছিল, কঠিন গণিতকে সহজ করে তুলে ধরার ব্যাপার ছিল। কিন্তু কালক্রমে ব্যবহারে ব্যবহারেএই শব্দগুচ্ছের অর্থ পাল্টেযেতে থাকে। এখন নেতিবাচক অর্থেই এটি বেশি ব্যবহৃত হয়। শব্দের ব্যবহার নেতিবাচক অর্থে হওয়ার পেছনে বোধ হয় ‘ফাঁকি’ শব্দটির ভূমিকা হয়েছে। ফাঁকি মানে প্রতারণা বা ছলনা। এই হল শুভংকরের ফাকি এর ইতিকথা। 12 May 2013 at 15:01