এইচ আই ভির - লক্ষণ এইচ আই ভি সংক্রমণের পর অনেকের ফ্লুর মত লক্ষণ দেখা দেয়, যেমন জ্বর, গলা ধরা, গ্রন্থি ফোলা, ভীষণ ক্লান্তি লাগা, এবং ত্বকে ফুস্কুড়ি। সংক্রমণের মাসখানেকের মধ্যেই এই লক্ষণগুলি দেখা যায়। এ সমস্ত লক্ষণ প্রকাশ পেলে যদি মনে হয় এইচ আই ভি সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে, তাহলে খুব শীঘ্র পরীক্ষা করানো জরুরী। এইচ আই ভি সংক্রমণের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ার (অ্যাক্যুট সেরোকনভার্সন) পরে বেশির ভাগ রোগী বেশ কয়েক বছর ভালো থাকেন এবং কোন অস্বস্তি বোধ করেন না। কিন্তু যেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া শুরু হয়, এইডসের লক্ষণগুলি ফুটে উঠতে থাকে। যেমন ওজন কমে যায়, ক্লান্তি বাড়ে, গ্রন্থি ফোলে (গলা, বগল, ও কুঁচকিতে মাংসপিণ্ড হয়), এবং ত্বকে ফুস্কুড়ি বেরোয়। রাত্রে ঘাম হওয়া, জ্বর হওয়া, ভীষণ মাথা ধরা, পেট খারাপ হওয়া, এবং ক্ষিদে কমে যাওয়া - সবই এইডসের লক্ষণ। যোনিতে বারবার ঈস্ট সংক্রমণ, মেয়েদের জননেন্দ্রিয়ের দীর্ঘমেয়াদী সংক্রমণ (পেলভিক ইনফ্যামাটরি ডিজিস), বারবার জননাঙ্গে হার্পিস হওয়া, বা হিউমান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচ পি ভি) সংক্রমণ হওয়াও এইডস হওয়ার ইঙ্গিত দেয়। সংক্রামিত রোগীর যখন সুযোগসন্ধানী অসুখ (যেমন মুখে গলায় নিউমোসিস্টিস ক্যারিনাই নিউমোনিয়া, যক্ষ্মা, জননাঙ্গে ঈস্ট সংক্রমণ, বা লিম্ফোসা আই) হতে আরম্ভ করে, তখন বুঝতে হবে এইচ আই ভির জন্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভীষণ রকম কমে গেছে।
রোগটির নাম এইচ আই ভি না। রোগটির নাম এইডস,আর এর লক্ষনগুলো,নিম্নে আলোকপাত করা হলোঃএইডস বা Acquired ImmunoDeficiency Syndrome প্রাণঘাতী মারাত্মক একটি রোগ। এইডস একটি সংক্রামক রোগ যা এইচআইভি (Human Immunodeficiency Virus) ভাইরাসের সংক্রমণের মাধ্যমে হয়ে থাকে। এই রোগটি মানুষের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয় ধীরে ধীরে। এরফলে দেহে বাসা বাঁধে নিউমোনিয়া, মেনিনজাইটিস সহ মারাত্মক নানা রোগ, এমনকি ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে দেখা যায় অনেককেই। দুর্ভাগ্য হলেও সত্যি যে এখন পর্যন্ত এইচআইভি/ এইডসের কোন কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি আবিস্কার হয়নি এবং সেকারণে এই রোগে আক্রান্তের অর্থ শুধুমাত্র মৃত্যু।