আমাদের জানা মতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সুনির্দিষ্ট পাঁচটি ফযিলত সম্পর্কিত কোনো বর্ণনা কুরআন সুন্নাহে নেই। অনেক জায়গায় বিশেষত অনেক মসজিদের দেয়ালে লেখা থাকে : * ফজরের সালাত আদায় না করলে চেহারার উজ্জ্বলতা কমে যায়.. * যোহরের সালাত আদায় না করলে রুজির বরকত কমে যায়.. * আসরের সালাত আদায় না করলে শরীরের শক্তি কমে যায়.. * মাগরিবের সালাত আদায় না করলে সন্তানাদি কোনো উপকারে আসবে না.. * এশার সালাত আদায় না করলে নিদ্রায় পরিতৃপ্তি হবে না..। কোথাও আবার সহীহ বুখারী কিংবা মিশকাতের উদ্ধৃতি দেয়া থাকে। বাস্তবে এগুলো কোনো হাদীস নয়। সম্পূ্র্ণ ভিত্তিহীন কথা। এগুলোর প্রচার প্রসার মহা অন্যায়।
প্রশ্নে উল্লেখিত কথার সহিহ হাদিস থেকে কোন রেফারেন্স পাওয়া যায়না। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-বলেছেন যে, যে ব্যাক্তি সূর্য উদয় হওয়ার পূর্বের ফযরের সালাত এবং সূর্য অস্ত যাওয়ার পূর্বের আসরের সালাত আদায় করবে, সে কখনও জাহান্নামে প্রবেশ করবে না। তবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের ফজিলত প্রসঙ্গে কুতায়বা (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কারো গৃহদ্বারে যদি নহর (প্রবাহিত) থাকে এবং সে যদি তাতে প্রতিদিন পাঁচবার গোসল করে, তবে কি তার শরীরে কোন প্রকার ময়লা থাকতে পারে? সাহাবায়ে কিরাম বললেন, না, তার শরীরে কোন ময়লা থাকতে পারে না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের দৃষ্টান্তও এরূপ। পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের দ্বারা আল্লাহ গুনাহসমূহ মিটিয়ে দেন। [সূনান নাসাঈ, হাদিস নম্বরঃ ৪৬২]