আমার বয়স ২৬ বছর. আমি খুব শিগ্গিরই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছি।  কিন্তু, আমি অনেক আগে থেকে লক্ষ্য করেছি যে, আমার বীর্য পানির মতো স্বচ্ছ। আমি হস্তমইথুন প্র্রায় করি বললেই চলে. হয়তো মাসে এক বা দুবার। এবং প্রায় লক্ষ্য করেছি যে বীর্য  অত্যন্ত পাতলা এবং পানির মতো রং। আমি কিছু ওয়েবসাইট থেকে জেনেছি যে এটি 'লো স্পার্ম কাউন্ট' সমস্যা।  এ থেকে নিস্তার এর উপায় কি? এটা সন্তান জন্ম দেবার ক্ষেত্রে একটি সমস্যা, এ থেকে নিস্তার এর উপায় কি? 
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Jamiar

Call

 >> হস্তমৈথনের ক্ষতিসমূহ, বাঁচার উপায়  আসলে   ইসলাম ধর্মে হস্তমৈথুন / ফিঙ্গারিং সম্পূর্ণ হারাম  হস্তমৈথনে ক্ষতিসমূহঃ হস্তমৈথুনের কারণে দুই ধরনের সমস্যা হয়, (১) মানসিক সমস্যা । (২) শারীরিক সমস্যা । পুরুষদের ক্ষেত্রেঃ ১) পুরুষ হস্তমৈথুন করলে প্রধান যে সব সমস্যায় ভুগতে পারে তার মধ্যে একটি হল নপুংসকতা (Impotence) । অর্থাৎ ব্যক্তি যৌন সংগম স্থাপন করতে অক্ষম হয়ে যায় । ২) আরেকটি সমস্যা হল অকাল বীর্যপাত (Premat ure Ejaculation) ।অর্থাৎ খুব অল্প সময়ে বীর্যপাত ঘটে । ৩) বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যায় । তখন বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা হয় ২০ মিলিয়নের কম (২ কোটি) । যার ফলে সন্তান জন্মদানে ব্যর্থতার দেখা দেয় । একজন পুরুষ যখন স্ত্রী গমন করেন তখন তার থেকে যে বীর্য বের হয় সে বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা হয় ৪২ কোটির মত । স্বাস্থ্যবিজ্ঞান মতে কোন পুরুষের থেকে যদি ২০ কোটির কম শুক্রাণু বের হয় তাহলে সে পুরুষ থেকে কোন সন্তান হয় না । ৪) অতিরিক্ত হস্তমৈথুন পুরুষের যৌনাঙ্গকে দুর্বল করে দেয় । নারীদের ক্ষেত্রেঃ ১) নারীরা যখন স্বমেহন বা হস্তমৈথুন করে তখন তার কুমারীত্ব (Virgi nity) হারানোর সম্ভাবনা বেড়ে যায় । অনেকে স্বমেহন করতে গিয়ে কুমারীত্ব হারিয়ে ফেলে । ফলে তার বিয়ে করতে সমস্যা হয় । বিয়ের পর স্বামী তার এ অবস্থা দেখে তাকে সন্দেহ করে তালাক দেয় । তাই হস্তমৈথুন নারীদের অনেক বড় সমস্যার সৃষ্টি করে । আরো অনেক সমস্যা থাকতে পারে । নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেঃ ১) পুরো শরীর দুর্বল হয়ে যায় এবং শরীর রোগ-বালাইয়ের যাদুঘর হয়ে যায় । ২)চোখের ক্ষতি হয় । ৩) স্মরণ শক্তি কমে যায় । ৪) মাথা ব্যথা হয় । ৫) আর উময়েরই সামান্য উত্তেজনায় যৌনাঙ্গ থেকে তরল পদার্থ বের হয় । ফলে অনেক মুসলিম ভাই- বোনেরা সালাত পড়তে পারেন না । ইত্যাদি আরো অনেক অজানা সমস্যা হয় হস্তমৈথুনের কারণে । বাঁচার উপায়ঃ (ছেলে,মেয়ে উভয়ের জন্য) ১. নামাযের পর সুরা তওবার শেষ দুই আয়াত পড়ে গায়ে ফুঁক দিবে প্রতিদিন ।এটা পরীক্ষীত... ২. কোন কারণে লিঙ্গ উত্তেজিত হলে হাত দ্বারা স্পর্শ করবেন না । ৩.অশ্লীলতার ধারে কাছেও যাবেন না এবং খারাপ কিংবা অশ্লীল ছবি দেখবেন না । ৪. FB তে বা অন্য কোথাও অশ্লীল কিছু দেখলে নিজেকে বিরত রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন । ৫. সর্বদা আল্লার প্রতি ভয় রাখবেন । ৬. যেহেতু এটি হারাম তাই আপনার ইচ্ছা শক্তি দৃঢ় রাখবেন, তাহলেই হারাম থেকে বাচতে আল্লাহও সাহায্য করবেনl অতিরিক্ত হস্তমৈথুন থেকে বাচার উপায় (বি:দ্রঃ ইসলামে হস্তমৈথুন নিষিদ্ধ) হস্তমৈথুন বেশি করলে এবং সেই অনুপাতে শরীরের যত্ন না নিলে শারীরিক ও মানসিক ভাবে ক্লান্তি আসতে পারে। এটা যাতে নেশায় পরিনত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।  ১.প্রথমেই মনে রাখতে হবে, হস্তমৈথুন বা স্বমেহন প্রাণীদের একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এটা করে ফেলে কোন প্রকার অনুশোচনা, পাপ, বা অপরাধবোধে ভুগবেন না। মনে রাখবেন আপনি মানুষ। আর মানুষ মাত্রই ভুল করে। এটা করে ফেলার পর যদি মনে করেন ভুল হয়ে গেছে তো সেজন্য অনুশোচনা করবেন না। নিজেকে শাস্তি দেবেন না। বরং দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হোন যাতে ভবিষ্যতে মন শক্ত রাখতে পারেন। ২.যেসব ব্যাপার আপনাকে হস্তমৈথুনের দিকে ধাবিত করে, সেগুলো ছুড়ে ফেলুন, সেগুলো থেকে দূরে থাকুন।যদি মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুন থেকে সত্যি সত্য মুক্তি পেতে চান তাহলে পর্ণ মুভি বা চটির কালেকশন থাকলে সেগুলো এক্ষুনি নষ্ট করে ফেলুন। পুড়িয়ে বা ছিড়ে ফেলুন। হার্ডড্রাইব বা মেমরি থেকে এক্ষুনি ডিলিট করে দিন। ইন্টারনেট ব্যবহারের আগে ব্রাউজারে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল-এ গিয়ে এডাল্ট কন্টেন্ট ব্লক করে দিন।কোন সেক্স টয় থাকলে এক্ষুনি গার্বেজ করে দিন। ৩. কোন কোন সময় হস্তমৈথুন বেশি করেন, সেই সময়গুলো চিহ্নিত করুন। বাথরুম বা ঘুমাতে যাওয়ার আগে যদি উত্তেজিত থাকেন, বা হঠাত কোন সময়ে যদি এমন ইচ্ছে হয়, তাহলে সাথে সাথে কোন শারীরিক পরিশ্রমের কাজে লাগে যান। যেমন বুকডন বা অন্য কোন ব্যায়াম করতে পারেন। যতক্ষণ না শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়, অর্থাৎ হস্তমৈথুন করার মত আর শক্তি না থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত সেই কাজ বা ব্যায়াম করুন। গোসল করার সময় এমন ইচ্ছে জাগলে শুধু ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করুন এবং দ্রুত গোসল ছেড়ে বাথরুম থেকে বের হয়ে আসুন। ৪.অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। সব সময় কোন না কোন কাজে ব্যস্ত থাকুন। আগে থেকে সারাদিনের শিডিউল ঠিক করে রাখুন। তারপর একের পর এক কাজ করে যান। হস্তমৈথুনের চিন্তা মাথায় আসবে না।যারা একা একা সময় বেশি কাটায়, যাদের বন্ধুবান্ধব কম, দেখা গেছে তারাই ঘনঘন হস্তমৈথুন বেশি করে। একা একা না থেকে বন্ধুবান্ধবদের সাথে সময় কাটান। একা একা টিভি না দেখে বন্ধুদের সাথে কিছু করুন। বন্ধুবান্ধব না থাকলে ঘরে বসে না থেকে পাবলিক প্লেসে বেশি সময় কাটান। ৫.বসে না থেকে সময়টা কাজে লাগান। জীবনকে সৃষ্টিশীল কর্মকাণ্ড দিয়ে ভরিয়ে তুলুন। সব সময় নতুন কিছু করার দিকে ঝোঁক থাকলে হস্তমৈথুনের ব্যাপারটা মাথা থেকে দূর হয়ে যাবে। এই সাথে আরো সব বাজে জিনিসগুলোও জীবন থেকে হারিয়ে যাবে। নতুন ভাবে জীবনকে উপলব্ধি করতে পারবেন, বেঁচে থাকার নতুন মানে খুঁজে পাবেন।সৃষ্টিশীল কাজে জড়িয়ে পড়ুন। লেখালেখি করতে পারেন, গান-বাজনা শিখতে পারেন, আঁকাআঁকি করতে পারেন, অথবা আপনি যা পারেন সেটাই করবেন।নিয়মিত খেলাধূলা করুন। ব্যায়াম করুন। এতে মনে শৃঙ্খলাবোধের সৃষ্টি হবে। নিয়মিত হাঁটতে পারেন, দৌড়াতে পারেন, সাঁতার কাটতে পারেন, জিমে গিয়া ব্যায়াম করতে পারেন। বিকেলে ফুটবল, ক্রিকেট- যা ইচ্ছে, কিছু একটা করুন। অফুরন্ত সময় থাকলে সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ুন। দেশ ও দশের জন্য সেবামূলক কাজে জড়িত হোন। ৬. ধৈর্য ধরতে হবে। একদিনের একটা নেশা থেকে মুক্ত পাবেন, এমন হবে না। একাগ্রতা থাকলে ধীরে ধীরে যে কোন নেশা থেকেই বের হয়ে আসা যায়। মাঝে মাঝে ভুল হয়ে যাবে। তখন হতাশ হয়ে সব ছেড়ে দেবেন না। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আবার আগাতে হবে। ৭. অপরের সাহায্য নিতে ভুল করবেন না। রাতের বেলা হস্তমৈথুন করলে কারো সাথে রুম শেয়ার করুন। বা দরজা জানালা খোলা রেখে আলো জ্বালিয়ে ঘুমান। যখন দেখবেন যে সব চেষ্টা করেও একা একা সফল হতে পারছেন না, তখন বন্ধুবান্ধব, পরিবার, ডাক্তার- এদের সাহায্য নেয়া যায়। এখানে লজ্জার কিছু নাই। কিছু অব্যার্থ টিপস: ১. কম্পিউটারে পর্ণ ব্লকিং সফটওয়ার ইনস্টল করে নিন। আজব একটা পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখেন যাতে পরে ভুল যান। অথবা কোন বন্ধুকে দিয়ে পাসওয়ার্ড দিন। নিজে মনে রাখবেন না। ২.কম্পিউটারে পর্ণ দেখতে দেখতে হস্তমৈথুন করলে কম্পিউটার লিভিং রুমে নিয়ে নিন যাতে অন্যরাও দেখতে পায় আপনি কী করছেন। এতে পর্ণ সাইটে ঢোকার ইচ্ছে কমে যাবে। ৪. যারা বাজে বিষয় নিয়ে বা মেয়েদের নিয়ে বা পর্ণ মুভি বা চটি নিয়ে বেশি আলোচনা করে, তাদেরকে এড়িয়ে চলুন। ৫. যখন দেখবেন খুব বেশি হস্তমৈথুন করতে ইচ্ছে হচ্ছে এবং নিজেকে সামলাতে পারছেন না, বাইরে বের হয়ে জোরে জোরে হাঁটুন বা জগিং করুন। ৬. ভিডিও গেম খেলতে পারেন। এটাও হস্তমৈথুনের কথা ভুলিয়ে দেবে। ৭. হস্তমৈথুনে চরম ভাবে এডিক্টেড হলে কখনোই একা থাকবেন না, ঘরে সময় কম কাটাবেন, বাইরে বেশি সময় কাটাবেন। জগিং করতে পারেন, সাইকেল নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন। ছাত্র হলে ক্লাসমেটদের সাথে একসাথে পড়াশুনা করতে পারেন। লাইব্রেরি বা কফি শপে গিয়ে সময় কাটাতে পারেন। ৮. সেক্সুয়াল ব্যাপারগুলো একেবারেই এড়িয়ে চলবেন। এধরনের কোন শব্দ বা মন্তব্য শুনবেন না। ৯.ছোট ছোট টার্গেট সেট করুন। ধরুন প্রথম টার্গেট টানা দুইদিন হস্তমৈথুন করবেন না। দুইদিন না করে পারলে ধীরে ধীরে সময় বাড়াবেন। ১০. বাথরুম শাওয়ার নেয়ার সময় হস্তমৈথুনের অভ্যাস থাকলে দরজা খোলা রেখে তোয়ালে জড়িয়ে গোসল করুন, এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাথরুম থেকে বের হয়ে আসতে চেষ্টা করুন। ১১. যখনি মনে সেক্সুয়াল চিন্তার উদয় হবে, তখনই অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা করবেন। ১২. মেয়েদের দিকে কুনজরে তাকাবেন না। তাদের ব্যাপারে বা দেখলে মন আর দৃষ্টি পবিত্র করে তাকাবেন। নিজের মা বা বোন মনে করবেন। ১৩. ধ্যান বা মেডিটেশন করতে পারেন। যোগ ব্যায়াম করতে পারেন। ১৪.কোনদিন করেন নাই, এমন নতুন কিছু করার চেষ্টা করুন।

সংগৃহীত । 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

পুষ্টিকর ও বাদাম, খেজুর, মধু, গোস্ত, ডিম ইত্যাদি খাবার গ্রহন করুন। যদি এতেও সমাধান না হয় তবে ভাল ও অভিজ্ঞ এমবিবিএস ডাক্তারের সরণাপন্ন হোন। মনে রাখবেন- ওয়েবসাইট স্টাডির দ্বারা নিজে নিজে কখনোই চিকিৎসার মত ভুল পদক্ষেপ নিবেন না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ