মনে করুন আমি নামাজে গিয়ে দেখলাম যে ১ রাকাত নামাজ হয়ে গেছে আর ২ য় রাকাতে ইমাম সাহেব রুকুতে আছে। এসময় আমি কি করবো? নামাজে সামিল হবো? নাকি পরের রাকাতে দারাবো? অথবা চার রাকাত নামাজের শেষের এক রাকাত রুকু অবস্থায় পেলাম, তখন কি করনীয়?  সঠিক ভাবে নামাজ পড়ার নিয়ম কি?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

যে মুক্তাদি (মুসল্লি) ইমামের সাথে এক বা একাধিক রাকাত পায়নি তাকে মাসবুক বলে। মাসবুক ইমামের সাথে শেষ বৈঠকে তাশাহুদ (আত্তাহিয়্যাতু) এমন ধীরে ধীরে পড়বে যেন তার তাশাহুদ শেষ হতে হতে ইমামের দুরূদ ও দোয়ায়ে মাছুরা শেষ হয়ে যায়। মাসবুকের তাশাহুদ যদি আগেই শেষ হয়ে যায় তাহলে সে চুপচাপ বসে থাকতে পারে। (ফতওয়ায়ে দারুল উলূম দেওবন্দ ৩/৩৮২,ফতওয়ায়ে শামী ২/২২০) ইমাম সেজদায়ে সাহু দিলে মাসবুকও সেজদায়ে সাহু করবে তবে সেজদায়ে সাহুর পর সালাম ফিরাবে না। ভুলে যদি সালাম ফিরিয়ে দেয় তাহলে আবার সেজদায়ে সাহু করতে হবে। (ফতওয়ায়ে আল বাহরুর রায়েক-২/১৭৬,ফতওয়ায়ে দারুল উলূম দেওবন্দ-৩/৩৭৯) ইমামের উভয় দিকে সালাম ফিরানোর সামান্য পর মাসবুক তার অবশিষ্ট নামাজ পড়ার জন্য আল্লাহু আকবার বলে উঠে দাঁড়াবে। একদিকে সালাম ফিরানোর সাথে সাথে মাসবুকের উঠে দাঁড়ানো উচিত নয় কারন এতে সে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে । যেমনঃ ইমাম সাহেব নামাজের মধ্যে ভুল বশত কোন ওয়াজিব ত্বরক (ছুটে গেলে) করলে ইমাম সাহেবের ওপর সাহু সেজদা ওয়াজিব এমতাবস্থায় আপনি যদি একদিকে সালাম ফিরানোর সাথে সাথে দাঁড়িয়ে যান তাহলে আপনি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এবং ইহা সুন্নাতের খেলাফ। মাসবুক অবশিষ্ট নামাজ পড়ার জন্য উঠে প্রথমে ছানা,আউযুবিল্লাহ্ ও বিসমিল্লাহ্ পড়বে। এরপর কেরাত মিলানো রাকাতগুলো পড়বে। পরিশেষে কেরাত বিহীন রাকাত পড়ে নিবে। মাছবূকের এক রাকাআত ছুটে গেলে তা কিভাবে পড়বে : ইমাম উভয় সালাম ফিরানোর পর মাছবূক আল্লাহু আকবার বলে উঠবে, ছানা পড়বে, আউযুবিল্লাহ বিসমিল্লাহ সহ সূরা ফাতিহা পড়বে, তারপর বিসমিল্লাহ সহ সূরা মিলাবে এবং রুকু সাজদা ও বৈঠক করে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করবে। মাছবূক দুই রাকাআত ছুটে গেলে তা কিভাবে পড়বে : ইমাম উভয় সালাম ফিরানোর পর মাছবূক আল্লাহু আকবার বলে উঠবে এবং পূর্ব বর্ণিত নিয়মে প্রথম রাকাআত আদায় করবে।তিন রাকাত বিশিষ্ট নামাজ হলে বৈঠক করে (বৈঠকে শুধু তাশাহ্হুদ পড়তে হবে) আর চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজ হলে বৈঠক না করেই দ্বিতীয় রাকাতের জন্য উঠবে। এ রাকাতে ছানা ব্যতীত এবং শুধু বিসমিল্লাহ সহ সূরা ফাতিহা ও সূরা/কিরাত মিলিয়ে শুধু সাজদা ও বৈঠক কের সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করবে। মাসবূক তিন রাকাত ছুটে গেলে কিভাবে পড়বে: মাছবূক যদি ইমামের সাথে এক রাকাত পায় এবং নি রাকাত না পায়, তাহলে ইমামের উভয় সালাম ফিরানোর পর উঠে পূববর্তী নিয়মে প্রথম রাকাত পড়বে এবং বৈঠক করে দ্বিতীয রাকাতের জন্য উঠবে। দ্বিতীয় রাকাতে সূরা/কিরাত মিলাতে হবে এবং বৈঠক না করেই তৃতীয় রাকাতের জন্য উঠবে।তৃতীয় রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে কোন সূরা/কিরাত মিলাতে হবে। মাসবুক কোন রাকাত না পেলে কিভাবে পড়বঃ মাছবূক যদি কোন রাকাত না পায় শুধু শেষ বেঠকে এসে শরিক হয়, তাহলে ইমামের উভয় সালাম ফিরানোর পর উঠে একাকি যেভাবে নামাজ পড়া হয় সেভাবে পূণ নামাজ আদায় হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আপনি যখন মসজিদে গিয়ে দেখবেন ইমান রুকুতে আছে তখন আপনি রুকুতে শরিক হয়ে যাবে.. আপনি যদি রুকুতে শরিক হয়ে ২-৩ বার তাসবিহ পরতে পারেন তাহলে আপনি সে রাকাতটি পেয়েছেন..., আর যদি ২-৩ বার পড়তে না পারেন তাহলে আপনি সে রাকাত পান নি বলে ধরা হবে...। আপনার প্রশ্নের ২য় অংশের একই উওর...।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

সহজ উত্তর হচ্ছে আপনি যদি ইমামকে রুকু অবস্থায় পান তাহলে আপনি ঔ রাকাত পেয়ে গেছেন কিন্তু যদি রুকু থেকে উঠে যায় তাহলে আপনি ঔ রাকাত পাননি। তবে উত্তম হচ্ছে ইমাম কে যেই অবস্থায় পান ঔ অবস্থায় নামাজে শরীক হওয়া উত্তম আর আপনি যে রাকাত গুলি পাননি সেগুলোকে আপনি ইমাম সালাম ফিরানোর পর আপনি সোজা দাড়িয়ে রাকাত গুলি আদায় করে নিবেন

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ