নিয়মিত ঘুমান । দূরচিন্তা বাদ দিন । ভাল পুষ্টি কর খাবার খান। মুখের ব্যয়াম করুন। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে মুখ দিয়ে নিশাস নিন এবং মুখ ফুলান (মানে বেলুন যে ভাবে ফুলে ঠিক গাল দুটো্ ফুলান বাতাস দিয়ে)। মুখের ভেতর কিছু খন বাতাস রেখে মুখ ফুলিয়ে রাখুন। তারপর আসতে আসতে নাক দিয়ে বাতাস বের করুন। এ ভাবে আনেক বার করুন। আশা করি ছয় মাসের মধ্যে ঠিক হযে যাবে।
সাধারণ ভাবে গলার স্বর বসা বা ভাঙ্গার প্রাথমিক কারণ হলো শ্বাসনালীতে ইনফেকশান বা সংক্রমণ।ইনফেকশান বা অন্য কোনো কারণে যদি গলার স্বর ভাঙ্গে তবে তা বিশ্রাম ও সামান্য ওষুধ ব্যবহার করলে ভাল হয়ে যায়। গলার স্বরের স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনার জন্য প্রথমেই কথা বলা কমিয়ে দিতে হবে। সম্ভব হলে কথা বলা বন্ধ করে দিতে হবে। ঠাণ্ডার কারণে যদি গলা বসে যায় তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে। গলার সাধারণ ব্যথা বা গলা ভাঙ্গার জন্য ভাল একটি ওষুধ হলো গরম বাষ্প। ফুটন্ত পানির বাষ্প যদি মুখ ও গলা দিয়ে টানা হয় তবে গলার উপকার হয়। দৈনিক অন্তত দশ মিনিট এ ভাবে গরম ভাপ নিতে হবে। এটি সত্যিই কাজের ওষুধ। এক দিকে পানি গরম করতে তেমন বেশি খরচ হয় না। অন্যদিকে এ ওষুধের পার্শ্ব কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। এ ছাড়া গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করা হলে তাতেও উপকার পাওয়া যায়। তবে এমন সব চিকিৎসাও অনেক সময় কাজে দেয় না। দিনের পর দিন ধরে গলার স্বর বসে থাকে। গলা দিয়ে কথা বের হতে চায় না। স্বর বদলে যায়। ফ্যাস ফ্যাসে আওয়াজ হয়। এ ধরণের পরিস্থিতিকে সব সময় বিপদের লক্ষণ হিসেবে ধরতে হবে। গলা একবার বসে যাওয়ার পর চার সপ্তাহ বড় জোর ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত দেরি করা যায়। চিকিৎসকরা মনে করেন কারো গলা ভাঙ্গা যদি ছয় সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয় তবে তাকে দেরি না করে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। এ ধরণের স্বর বসে যাওয়া অনেক সময়ই মারাত্মক রোগের লক্ষণ হয়ে আসে। ধন্যবাদ।
প্রশ্ন করা হইল