প্রাইজবন্ডের সারকথা হলো, সরকারক বা ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে টাকা দিয়ে কিছু লাভ গ্রহণ করা। আমাদের ক্ষুদ্র বিশ্লেষণ মতে বর্তমানে প্রচলিত প্রাইজবন্ড ও ড্র পদ্ধতিতে সুদ ও জুয়া মিশ্রিত হওয়ায় তা ক্রয় করা ও লাভ নেয়া বৈধ নয়।
আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করেছেন, আর সুদকে করেছেন হারাম। {সূরা বাকারা-২৭৫}
হে মুমিনরা! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। আর সুদের অংশকে ছেড়ে দাও যদি তোমরা মুমিন হয়ে থাক। {সূরা বাকারা-২৭৮}
হে মুমিনরা! তোমরা চক্রবৃদ্ধিহারে সুদ খেয়ো না। {সূরা আলে ইমরান-১৩০}
হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রা. এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮
ফাতওয়ায়ে উসমানী-৩/১৭৩-১৭৬
সুতরাং আপনার প্রথম প্রশ্নের উত্তর হলো ব্যাংক থেকে প্রাইজবন্ড ক্রয় করা যাবে না।
আর দুই নাম্বার প্রশ্নের উত্তর হলো, ইসলামী ব্যাংকগুলো যদিও বলে তারা সুদী লেনদেন করে না কিন্তু তারা মাঠ পর্যায়ে পরিপূর্ণ শরীয়া বিধি প্রয়োগ করে না বা করতে পারে না। ফলে তাতে সুদ সৃষ্টি হয়ে যায়। সুতরাং উলামায়ে কেরামের ভাষ্য মতে ইসলামী ব্যাংকগুলো পরিপূর্ণ সুদমুক্ত নয়। অতএব তাদের থেকেও প্রাইজবন্ড ক্রয় করা যাবে না।