GI পণ্য হলো ভৌগলিক নির্দেশক (Global Indicator) পণ্য। আমাদের বাংরাদেশে বর্তমানে ৩ টি পণ্য GI পণ্য হিসবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ১। জামদানি ২। ইলিশ ৩। ক্ষীরশাপাতি (আম)। দেশের প্যাটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেড মার্ক অধিদপ্তর বিজি প্রেসে ডকুমেন্ট পাঠায়। সেই ডকুমেন্টারি আবেদনের প্রক্ষিতে দুই মাসের মধ্যে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ বিষষয়ে দ্বিমত পোষণ না করলে GI পণ্য হিসাবে স্বীকৃতি পাবে।
Geographical Indication (GI) : Geographical Indication
(GI) হলো একটি নাম বা সাইন যেটা নির্দিষ্ট
একটি পণ্যের ব্যবহার করা হয় যা কোন একটি
নির্দিষ্ট ভৌগলিক এলাকার (শহর বা দেশ) পণ্যের
পরিচিতি বহন করে। GI এর ব্যবহার ঠিক সার্টিফিকেশনের মতো, এটি কোন পণ্যের কোয়ালিটি রেপুটেশন ,
স্বতন্ত্রতা, ঐতিহ্য মণ্ডিত বৈশিষ্ট্য নির্দেশ করে কোন
একটি নির্দিষ্ট ভৌগলিক স্থানের বিপরীতে। GI
সাধারণত ঐতিহ্য বাহী পণ্য যা গ্রামীণ জনপদ
প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম উৎপাদন করে আসছে। যেসব
পণ্যের ভালো কোয়ালিটির জন্য বাজারে সুখ্যাতি আছে।
প্রতিটি পণ্যের নামের সংরক্ষণ ও পরিচিতি নিশ্চিতের মাধ্যমে এর উৎপাদকরা কোয়ালিটি ঠিক রেখে বিনিয়োগ করতে পারে এবং একসাথে সবাই যেন উক্ত পণ্যে বিনিয়োগ করতে পারে সেই পথও খোলা রাখে।
এছাড়া ট্রেডমার্ক এর মতো GI এর মাধ্যমে
কোন একটি ঐতিহ্যবাহী পণ্য কোন একটি
দেশের ঐতিহ্যবাহী পণ্য হিসেবে পরিচিতি পায়।
যা বিশ্ব বাজারে ঐ পণ্যের আলাদা একটা পরিচয়
তুলে ধরে। এতে পন্যটি ঐ দেশের পণ্য হিসেবে
খ্যাতি পায় এবং প্রতিযোগিতা মূলক বিশ্ব বাজারে
নিজের অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়।
Geographical Indication (GI) এর সুবিধাঃ
GI উৎপাদক দের তাদের পণ্যের স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠায়
সাহায্য করে যাতে অন্য দেশের সম জাতীয় পণ্য
থেকে তাদের পণ্য আলাদাভাবে চেনা যায়। এর ফলে
তাদের এই পণ্যের আলাদা রেপুটেশন তৈরী হয় যার
ফলে বিশ্ব বাজারে তারা তাদের পণ্যের জন্য ভালো
দাম পান। ট্রেডমার্কের সাথে এর পার্থক্য হলো ট্রেডমার্ক
কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী নিতে পারেন কিন্তু GI একটি দেশ
প্যাটেন্ট করতে পারে যা তাদের দেশের পণ্য হিসেবে
বিশ্ব বাজারে পরিচিতি পাবে, যাতে তাদের স্থানীয়
উৎপাদকরা ভালো দাম পাবে।