শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আফ্রিকান অঞ্চলে ডিয়ার ফ্লাই নামে এক ধরনের হলুদ মাছি পাওয়া যায়। আর এই মাছির কামড়ে লোয়াসিস নামে একটি রোগ হয়, যা বেশ ভয়ঙ্কর! মশার মতোই এ প্রজাতির স্ত্রী মাছি মূলত রক্ত খেয়ে বাঁচে। অপরদিকে পুরুষ মাছি ফুলের রেণু খেয়ে থাকে। এই রোগের জীবাণুর লার্ভা (কম বয়সী জীবাণু যা পূর্ণাঙ্গ জীবাণু থেকে গঠনগত দিক হতে ভিন্ন) বহনকারী স্ত্রী মাছির কামড়েই মূলত লোয়াসিস রোগ হয়ে থাকে। এই রোগের জীবাণুর বৈজ্ঞানিক নাম Loa loa । লার্ভা বহনকারী মাছি রক্ত খাওয়ার উদ্দেশে মানুষকে কামড়ানোর সময় মানুষের দেহে জীবাণুর লার্ভা প্রবেশ করিয়ে দেয়। সেখান থেকে লার্ভা রক্তপ্রবাহে প্রবেশ করে এবং বড় হয়। পূর্ণাঙ্গ জীবাণুর মধ্যে শুধুমাত্র স্ত্রী জীবাণু রক্তে মাইক্রোফাইলেরিয়া (এটি লার্ভার পূর্ব দশা) উন্মুক্ত করে। মাইক্রোফাইলেরিয়াই মূলত রোগের লক্ষণের জন্য দায়ী। মাছি এই মাইক্রোফাইলেরিয়া গ্রহণ করে নিজে আক্রান্ত হয়। আর এভাবেই মূলত এ রোগ ছড়িয়ে থাকে। আমাদের শরীরে এই জীবাণুর জন্য সাধারণত ব্যাথা হয় না। তবে শরীরের কিছু কিছু জায়গা লাল হয়ে ফুলে যেতে পারে। এ রোগে সবচেয়ে ভয়ের ব্যাপার হল, এই মাইক্রোফাইলেরিয়াগুলো চোখের সাদা অংশে অর্থাৎ কনজাংটিভাতে প্রবেশ করতে পারে। চোখের এই সাদা অংশে এই মাইক্রোফাইলেরিয়ার অবস্থান খালি চোখেই দেখা যায়। আর এটাকেই বলা হয়ে থাকে, চোখের কৃমি! প্যারাসাইট যদি কোনো রোগীর চোখে থাকা অবস্থায় মারা যায় তবে মৃত প্যারাসাইটের দেহের টক্সিন থেকে চোখ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এমনকি চোখ উঠিয়ে ফেলতে হতে পারে। তার মতে সাধারণত যারা অর্ধসিদ্ধ, মাছ, মাংস খান তাদের মধ্যে এটি বেশি হওয়ার আশংকা থাকে। এছাড়াও দূষিত পানি পানের মাধ্যমে পেট থেকে শরীরে প্রবেশ করতে পারে সেখান থেকে রক্তের মাধ্যমে ছড়িয়ে যেতে পারে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

উপসর্গের মধ্যে আছে

চুলকানি, ত্বক্বে লাল হয়ে যাওয়া, ফুসকুড়ি, মাংসপেশী ব্যাথা ইত্যাদি। 

পূর্ণবয়স্ক কৃমি যে জায়গার ত্বকের নিচে মারা যায় সেখানে ফোঁড়া হতে পারে। রোগটি প্রাণঘাতী নয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ