শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

ভাড়া দেয়া হয়েছে এমন বাড়ী যদি ভাড়ার জন্যই নির্মাণ করা হয়ে থাকে তবে বাড়ীর মূল্যে কোন যাকাত নেই। তবে বাড়ী থেকে প্রাপ্ত ভাড়ার যাকাত দিতে হবে, যদি ভাড়া দেয়ার দিন থেকে প্রাপ্ত অর্থঃ ের উপর বছর পূর্ণ হয়। ভাড়ার চুক্তি নামা স্বাক্ষর করার দিন থেকে যদি বছর পূর্ণ না হয় তবে তাতে যাকাত নেই। যেমন বছরে ১০,০০০ (দশ হাজার) টাকা প্রদানের চুক্তিতে ঘর ভাড়া দেয়া হল। চুক্তির শুরুতে পাঁচ হাজার টাকা গ্রহণ করে উহা খরচ হয়ে গেল। অবশিষ্ট পাঁচ হাজার টাকা বছরের মধ্যবর্তী সময়ে গ্রহণ করে উহাও বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই খরচ হয়ে গেল, তবে এক বছরে প্রাপ্ত দশ হাজার টাকার এই ভাড়ার মধ্যে কোন যাকাত দিতে হবেনা। কেননা এই অর্থঃ ে বছর পূর্ণ হয়নি। কিন্তু বাড়ীটি যদি ব্যবসার জন্য নির্মাণ করে মূল্য বৃদ্ধি বা লাভের অপেক্ষায় থাকে এবং বিক্রি হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ভাড়া আদায় করে, তবে উক্ত বাড়ীর মূল্যে যাকাত দিতে হবে এবং ভাড়ারও যাকাত দিতে হবে যখন বছর পূর্ণ হবে।। কেননা উহা ব্যবসার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে। নিজ মালিকানায় থেকে যাওয়া বা তা থেকে উপকৃত হওয়ার উদ্দেশ্যে নয়। আর এমন প্রত্যেক বস্তু যা ব্যবসা বা উপার্জনের উদ্দেশ্যে প্রস্তত করা হয় তাতেই যাকাত রয়েছে। কেননা নবী (সা:) বলেন, “প্রত্যেকটি কর্ম নিয়তের উপর নির্ভরশীল। আর মানুষ যা নিয়ত করে তাই রয়েছে তার জন্য।"[4] এই ব্যক্তির নিকট উপার্জনের জন্য যে সম্পদ রয়েছে। তার লক্ষ্য তো বস্তুটির মূল্যের প্রতি- মূল বস্তু নয়। আর উহার মূল্য হচ্ছে দিরহাম বা টাকা বা নগদ অর্থঃ আর নগদ অর্থঃ ে বা টাকা-পয়সায় যাকাত ওয়াজিব। অতএব যে গৃহ ব্যবসার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে বছর শেষে তার মূল্য নির্ধারণ করে তাতে এবং উহা যদি ভাড়ায় থাকে তবে ভাড়ার চুক্তির দিন থেকে বছর পূর্ণ হলে তাতেও যাকাত দিতে হবে। বসবাসের উদ্দেশ্যে জমিন খরিদ করার পর উহা দ্বারা ব্যবসা করার ইচ্ছা করলে তার যাকাত।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ