শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

ডাঃ জাকির নায়েকঃ অনেক মুসলিম আছে যাদের ধারনা টাই হল ক্রসের প্রতীক। কিন্তু তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব অধ্যয়ন করলে দেখা যায় যে, খৃষ্টানদের কোন ধর্ম গ্রন্থেই বলা নেই যে, টাই ক্রসের প্রতীক। হাদীস অনুসারে মুসলমানরা এমন কোন পোশাক পরিধান করতে পারবেনা যে পোশাক অমুসলিমদের কোন বিশেষ প্রতীকের মত হয়। তবে বাইবেলে কোথাও বলা নেই যে টাই ক্রসের প্রতীক। বরং এটি একটি কালচারাল পোশাক। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঠাণ্ডা হাওয়ার দেশের লোকেরা টাই পরে তাদের পোশাক আটকে রাখত এবং সেখান থেকেই টাইয়ের উদ্ভব হয়। একদল মুসলিম আছেন যারা পশ্চিমা কালচার পছন্দ করেন না এবং পশ্চিমাদের সবকিছুতেই প্রতিবাদ করেন। তবে আমার মতে, আমাদের উচিৎ হবে পশ্চিমাদের যে কাজগুলো খারাপ সেগুলোর প্রতিবাদ করা। যেগুলো নিরপেক্ষ সেগুলোতে প্রতিবাদ করার দরকার নেই। কেউ যদি প্রমাণ সহকারে এটা উপস্থাপন করতে পারে যে টাই ক্রসের প্রতীক, তাহলে সেটা পরিধান করা যাবেনা। শরিয়ত মুসলমানদের অনুমতি দিয়েছে যে, মুসলিমরা সে পোশাক পরতে পারবে যেগুলো শরীয়ত সীমার বাইরে যায় না। কিন্তু যেগুলো ইসলামী শরীয়তের বিপরীতে যায় সেগুলো পরা যাবে না। যেমনঃ হাফপ্যান্ট, শর্টস ইত্যাদি। এগুলো যদিও পশ্চিমা সংস্কৃতির পোশাক, কিন্তু শরিয়তের সীমালঙ্ঘন হওয়ায় এগুলো পরার অনুমতি নেই। খৃষ্টানরা গাড়ি আবিস্কার করেছিল। তাই বলে কি আমরা তাদের আবিষ্কৃত গাড়িতে চড়ব না? সুতরাং টাই পড়ার অনুমতি আছে। কারণ এটা খৃষ্টানদের ধর্মীয় প্রতীক নয়। প্রশ্নঃ অনেক মুসলমান খাওয়ার আগে “বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম” উচ্চারণ করে এটা কি সুন্নাত? উত্তরঃ ডাঃ জাকির নায়েকঃ আমার জ্ঞানানুযায়ী এমন কোনো সহীহ হাদীস নেই যেখানে বলা হয়েছে যে, মুহাম্মাদ (সা) খাওয়ার পূর্বে “বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম” উচ্চারণ করেছেন। তবে হাদীসে বলা হয়েছে- তিনি শুধু ‘বিসমিল্লাহ’ বলতেন। যেমন হাদীসে এসেছে যে, মুহাম্মাদ (সা) বালকদেরকে বলছেন যে, তোমরা খাওয়ার পূর্বে ‘বিসমিল্লাহ’ বলো। (বুখারী, হাদীস ৫৩৭৬) অপর হাদীসে আছে যে, আয়েশা (রা) বলেন, যখন খাও তখন ‘বিসমিল্লাহ’ বলে শুরু করো। আর শুরুতে ভুলে গেলে খাওয়ার সময় যখন মনে আসে তখন বলো- “বিসমিল্লাহি ফি আওয়ালিহি ওয়া আখিরিহি” (আবূ দাঊদ, হাদীস ৩৭৫৮)। অর্থঃ াৎ আল্লাহ্র নামে শুরু এবং শেষ করছি। সুতরাং এগুলোই রাসূল (সা)-এর শিক্ষা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে কিছু লোক সঠিক জ্ঞানের অভাবে “বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম” বলে। যখন এ রকম কাউকে মনে করে দেওয়া হয় যে, শুধু ‘বিসমিল্লাহ’ বলতে হবে তখন সে বলে “বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম” বললে অসুবিধা কোথায়? বরং এটা ‘বিসমিল্লাহ’ বলার চেয়ে উত্তম। এ ক্ষেত্রে তার বিপক্ষে আপনি যুক্তি দেখাতে পারেন এভাবে যে, যখন কুরবানি করা হয় তখন “বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম” কেনো বলা হয় না? অতএব যেখানো যেটা নির্দেশ করা হয়েছে সেভাবেই তাকে পালন করতে হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা কুরআন এবং সুন্নাহর সঠিক অনুসরণ করি না। বরং নিজের মত অনুযায়ী চলাফেরা করি। এগুলো পরিহার করতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ