Call

ডাঃ জাকির নায়েকঃ

অনেক লোক আছেন যারা ফজরের সময় মিসওয়াক ব্যবহার করাকে মাকরূহ মনে করেন। তারা একটি হাদীসের আলোকে এ ধারণা পোষণ করেন। যে হাদীসটি আমি আগেই উল্লেখ করেছি, এটি সহীহ আল-বুখারীর ৩য় খণ্ডের কিতাবুস সিয়াম এর ১৯০৪ এবং ১৮৯৪ নং হাদীসে,

যে হাদীসের বর্ণনায় রসূল [ﷺ] বলেন, “আল্লাহর কসম, যার হাতে আমার জীবন, একজন রোযাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহ্‌র নিকট মেশকের গন্ধের চেয়েও বেশি প্রিয়।”

এ হাদীসের ওপর ভিত্তি করে লোকেরা মনে করে যে, যদি মিসওয়াক করা হয় তাহলে মুখে গন্ধ থাকবে না। ফলে আল্লাহ রোযাদারের মুখের দুর্গন্ধ উপভোগ করতে পারবেন না। কিন্তু আমাদের বুঝতে হবে যে, রোযা রাখার ফলে একজন রোযাদারের মুখে যে গন্ধ সৃষ্টি হয় তা মিসওয়াক করলেও বন্ধ হয় না। সাধারণত আমরা যখন মিসওয়াক করি, তখন আমাদের দাঁত, মাড়ি ইত্যাদি থেকে ময়লা খাদ্য কণা দূর হয়ে যায়। খাওয়ার পর মুখে যেসব খাদ্যকনা জমে তা মিসওয়াক করার ফলে পরিষ্কার হয়। কিন্তু রোযা রাখলে মুখে যে গন্ধ হয় তা আসলে পেট, পাকস্থলী থেকে আসে। রোযা রাখার কারণে পেট খালি হয়ে যায় ফলে খালি পেট মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। সুতরাং মিসওয়াক ব্যবহার করার সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই।

রসূল [ﷺ] বলেন, “এটা যদি আমার উম্মতের জন্য অতি কঠিন না হতো তাহলে আমি প্রত্যেক নামাজের পূর্বে তাদের জন্য মিসওয়াক করা ফরজ করে দিতাম।”

অর্থঃ াৎ এটা একটা নির্দেশ, অবশ্য পালনীয় কাজ। এটা যদি রোযার জন্য ক্ষতিকর হতো তাহলে তা রসূল [ﷺ] বলে দিতেন।

যেমন অন্য ক্ষেত্রে রসূল [ﷺ] বলেছেন, রসূল [ﷺ] নাকে বেশি বেশি পানি ব্যবহার করা সম্পর্কে বলেছেন, সুনানে আবু দাউদ, ২য় খণ্ডের ২৩৩০ নং হাদীসে রসূল [ﷺ] বলেন, নাকে বেশি বেশি পানি দাও, গড়াগড়া করো, কেবল রোযার সময় ব্যতীত।”

অর্থঃ াৎ, গড়গড়া করা বা নাকে পানি বেশি দেওয়া ভালো কিন্তু রোযার সময় করো না, কেননা তা পেটে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। মিসওয়াক করা যদি ক্ষতিকর হতো তাহলে অবশ্যই তা বলে দেওয়া হতো যেমনটি গড়গড়া ও নাকে পানি দেওয়ার ক্ষেত্রে বলে দেওয়া হয়েছে।

রোযা অবস্থায় মিসওয়াক করা জায়েয, আপনি এটি 'আমাল করলে ইনশা'আল্লাহ সাওয়াব পাবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ