ইন্টারনেটে ব্লগ লিখে বাংলাদেশ থেকেই অনেকে আয় করছেন ৩ থেকে ৪ হাজার ডলার। ইন্টারনেটে আয়ের বিশাল এ ক্ষেত্রটিতে আমাদের দেশের তরুণরা যুক্ত হতে পারছে না কেবল সঠিক গাইডলাইনের অভাবে। অনেকে বিচ্ছিন্নভাবে So called গুরু দের কাছ থেকে ব্লগিং থেকে আয় করা শিখলেও শেষ পর্যন্ত সফল হতে পারেন না কেবল গোপন সব টেকনিকগুলো না জানার কারণে। বিশাল এ কাজের ক্ষেত্রটিতে এগোতে গেলে আপনাকে কৌশুলী হতেই হবে, জানতে হবে পরীক্ষিত সব উপায়। ব্লগিংয়ের মাধ্যমে কেবল টাকা নয়, পাওয়া যায় বিপুল সম্মানও। আন্তর্জাতিক বিশ্বে ব্লগারদের সাংবাদিক হিসাবেও এখন গণ্য করা হয়। এছাড়া অনেকেই জানেন, ইন্টারনেট থেকে ভালো আয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে উপযোগি একটি মাধ্যম হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। এই মাধ্যমে আপনি অন্য যেকোনো আয়ের উপায় যেমন অ্যাডসেন্স থেকেও বেশি আয় করতে পারবেন। এখান থেকে আয়ের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে, খোদ আমাদের দেশেই প্রচুর ছেলে মেয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রতিমাসে আয় করছে ২ থেকে ৫ হাজার ডলার পর্যন্ত। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো এমন একটি বিষয় যার মাধ্যমে প্রথমত আপনি কারো বা কোনো প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা প্রমোট করবেন। এখন কোনো ভিজিটর যদি আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংকের মাধ্যমে ঐ পণ্য বা সেবা কিনে থাকেন, তাহলে আপনি একটি নিদ্দিষ্ট পরিমান কমিশন পাবেন। আপনার মার্চেন্ট অর্থাৎ আপনি যার পণ্য বিক্রি করছেন তিনি আপনাকে পেপাল অথবা অন্য কোনো পেয়িং মেথডের মাধ্যমে আপনার কমিশন পরিশোধ করবেন। লেখালেখি ও অ্যাফিলিয়েটের মাধ্যমে যারা নিজেদের ক্যারিয়ার গড়তে চান তাদের কথা মাথায় রেখেই এ প্রশিক্ষণের সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছে।
অফলাইনে যখন কোন প্রোডাক্টের প্রোমশন করা হয় তবে তাকে বলা হয় মার্কেটিং। যখন এই মার্কেটিং অনলাইন মাধ্যমে করা হয় তখন তাকে বলে ডিজিটাল মার্কেটিং ( Digital marketing )। ডিজিটাল মার্কেটিং যদি কেউ নিজের প্রোডাক্টের জন্য করে তবে তাকে বলা হয় ইন্টারনেট মার্কেটিং ( Internet marketing )। কিন্তু যদি এই ডিজিটাল মিডিয়ায় যদি অন্য কোন ব্যাক্তি বা কোম্পানীর পণ্য প্রমোট করা হয় তবে তাকেই বলা হয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ( Affiliate Marketing )।
তথ্যসূত্র - এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো