RafiaBegum

Call

রামাযানে বারবার ওমরা করা বিদআত। কেননা এক মাসের মধ্যে বারবার ওমরা করা সালাফে সালেহীন তথা ছাহাবায়ে কেরামের নীতির বিপরীত। এমনকি শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তায়মিয়া (রহঃ) তাঁর ফতোয়ায় উল্লেখ করেছেন, সালাফে সালেহীনের ঐকমত্যে বারবার বেশী পরিমাণে ওমরা করা মাকরূহ। বিশেষ করে যদি ইহা রামাযানে হয়। বিষয়টি যদি পছন্দনীয় হত, তবে তাঁরা তো এব্যাপারে অধিক অগ্রগামী হতেন এবং বারবার ওমরা করতেন। দেখুন না নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহকে সবচেয়ে বেশী ভয় করতেন। নেক কাজকে সর্বাধিক ভালবাসতেন। তিনি মক্কা বিজয়ের সময় উনিশ দিন সেখানে অবস্থান করেছেন নামায আদায় করেছেন। কিন্তু কোন ওমরা আদায় করেননি। আয়েশা (রাঃ) যখন ওমরা করার ব্যাপারে পিড়াপিড়ী করছিলেন, তখন নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর ভ্রাতা আবদুর রহমানকে বললেন, একে তানঈম নিয়ে গিয়ে ইহরাম করিয়ে নিয়ে আস। যাতে করে তিনি ওমরা আদায় করতে পারেন। কিন্তু আবদুর রহমানকে একথা বললেন না, তুমিও তাঁর সাথে ওমরা করে নিও। যদি বিষয়টি শরীয়ত সম্মত হতো তবে নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে সে নির্দেশনা দিতেন। ছাহাবায়ে কেরামের নিকট বিষয়টি শরীয়ত সম্মত হলে আবদুর রহমান তা করতেন। কেননা তিনি তো হারাম এলাকার বাইরে গিয়েছিলেন। দু’ওমরার মাঝে কত ব্যবধান হওয়া উচিত এসম্পর্কে ইমাম আহমাদ বলেন, দেখবে যে পর্যন্ত মাথা পোড়া কাঠের মত কালো না হয়। অর্থাৎ- মাথা ভর্তি চুল না হয়। বিষয়/প্রশ্নঃ (৪৯৪) গ্রন্থের নামঃ ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম বিভাগের নামঃ কিতাবুল হজ্জ লেখকের নামঃ শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহঃ) অনুবাদ করেছেনঃ আবদুল্লাহ শাহেদ আল মাদানি - আবদুল্লাহ আল কাফী

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ