নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে প্রমাণিত তালবিয়াটি হচ্ছে নিম্নরূপঃ لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ “লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক্, লাব্বাইকা লা শারীকা লাকা লাব্বাইক্, ইন্নাল হামদা ওয়ান্নি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক্, লা শারীকা লাক।” ইমাম আহমাদ একটু বৃদ্ধি করে বর্ণনা করেন, “লাব্বাইকা ইলাহাল হক্ব।” এর সনদ হাসান। ওমরার ক্ষেত্রে তওয়াফ শুরুর পূর্বে তালবিয়া পাঠ করা বন্ধ করবে। আর হজ্জের ক্ষেত্রে দশ তারিখে ঈদের দিন জামরা আকাবায় পাথর মারার পূর্বে তালবিয়া পাঠ বন্ধ করবে। তিরমিযীতে ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, “নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ওমরাতে হাজরে আস্ওয়াদ স্পর্শ করার সময় তালবিয়া বলা বন্ধ করতেন।” ইমাম তিরমিযী হাদীছটিকে ছহীহ্ বলেন। কিন্তু এর সনদে মুহাম্মাদ বিন আব্দুর্ রহমান বিন আবু লায়লা নামক জনৈক বর্ণনাকারী আছে। অধিকাংশ হাদীছ বিশারদ তাকে দুর্বল বলেছেন। ইবনু আব্বাস (রাঃ) আরো বলেন, নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরাফা থেকে মুযদালিফা আসার পথে তাঁর আরোহীর পিছনে উসামা (রাঃ)কে বসিয়েছিলেন। মুযদালিফা থেকে মিনা যাওয়ার পথে ফায্ল বিন আব্বাস (রাঃ)কে পিছনে বসিয়েছিলেন। তাঁরা উভয়ে (উসামা ও ফায্ল) বলেছেন, তিনি ব জামরা আকাবায় কঙ্কর মারার পূর্ব পর্যন্ত তালবিয়া পাঠ করতে থেকেছেন। ইমাম মালেকের মতে হারাম শরীফে পৌঁছার সাথে সাথে তালবিয়া বলা বন্ধ করবে। কেউ কেউ বলেছেন, বায়তুল্লাহ্র কাছে পৌঁছলে বা কাবা ঘর দেখলেই তালবিয়া বলা বন্ধ করবে। লাব্বাইক বলার অর্থ হচ্ছেঃ আপনার আনুগত্যের কাজ প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আপনার আহবানে সাড়া দিচ্ছি। বিষয়/প্রশ্নঃ (৪৭৩) গ্রন্থের নামঃ ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম বিভাগের নামঃ কিতাবুল হজ্জ লেখকের নামঃ শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহঃ) অনুবাদ করেছেনঃ আবদুল্লাহ শাহেদ আল মাদানি - আবদুল্লাহ আল কাফী