শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

খাদ্যের যে উপাদানগুলো আমাদের কর্মক্ষম রাখে, সেগুলোর মধ্যে প্রোটিন অন্যতম। প্রোটিন আমাদের শরীরে জ্বালানির কাজ করে। শরীরকে চালনা করার জন্য এবং কর্মক্ষমতা বাড়াবার জন্য অত্যাবশ্যক উপাদান প্রোটিন। শরীরের প্রতি কেজি ওজনের জন্য প্রয়োজন ১ গ্রাম প্রোটিন। অর্থাত্‍ আপনার ওজন যদি হয় ৫০ কেজি তাহলে আপনার গ্রহণ করতে হবে ৫০ গ্রাম প্রোটিন।

প্রোটিনকে কমপ্লিট এবং ইনকমপ্লিট এই দুভাবে দেখা হয়। যেসব প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবারে ৯টি জরুরি অ্যামাইনো অ্যাসিড সঠিক পরিমাণ এবং অনুপাতে শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী আছে তাকে বলা হয় কমপ্লিট প্রোটিন। মাছ, মুরগি, ডিম এবং দুধজাতীয় খাবারকে কমপ্লিট প্রোটিন বলা হয়ে থাকে। শিম, মটরশুঁটি, ডাল, বাদামকে বলা যায় ইনকমপ্লিট প্রোটিন। জেনে নিন মানব শরীরে প্রোটিনের কিছু প্রয়োজনীয়তার কথা।

১. মানুষের শরীরের ৬০ ভাগ পানি। তাই বিনা সন্দেহেই বলা যায় পানিই হলো দেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তবে শরীরের বাকি ৪০ ভাগ এর মধ্যে প্রোটিনের ভাগই সবচেয়ে বেশি। তাই বলা যায় পানির পর মানবশরীরের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো প্রোটিন।

২. শরীরের প্রত্যেকটি কোষ, টিস্যু, পেশি এবং হাড়ে প্রোটিন উপস্থিত। হাড় এবং পেশিতে শক্তির যোগান দেয়া, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরো দৃঢ় করে তোলা প্রোটিনের অন্যতম কাজ।

৩. শরীরের ক্ষয়ে যাওয়া কোষ পুনরুজ্জীবিত করা এবং নতুন কোষ তৈরি করাও প্রোটিনের কাজ। যেহেতু শরীরের প্রোটিন প্রতিনিয়ত ব্যবহার হয়ে চলেছে, তাই শরীরে প্রোটিন যোগান দেয়ার ওপর নির্ভর করে সুস্বাস্থ্য।

৪. প্রোটিন কিন্তু ওজন কমাতেও সাহায্য করে। উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার শরীরের ফ্যাট স্টোর (অ্যাডিপোজ টিস্যু) সফলভাবে কমিয়ে দিতে সাহায্য করে।

৫. শরীরে প্রোটিনের অভাব দেখা দিলে পেশির দুর্বলতা, ক্লান্তি দেখা দিতে পারে।

৬. প্রোটিনের অভাবে শরীরের কর্মক্ষমতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও দুর্বল হয়ে যায়।

৭. সঠিক পরিমাণ প্রোটিন শিশুদের শরীরে না পৌঁছালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তো দুর্বল হয়ই, শরীরের বৃদ্ধিও ব্যাহত হয়।

তথ্যসূত্র: হেলথ ডাইজেস্ট ডটকম

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ