নামের পূর্বে মুহাম্মদ যুক্ত করার নিয়ম আগে ছিলনা যার কারনে সাহাবাদের যুগে, তাবেয়ীনদের যুগে, তাবেতাবেয়ীনদের যুগে নামের পূর্বে মুহাম্মদ সাধারনত পাওয় যায়না ,নামের পূর্বে মুহাম্মদ যুক্ত করার নিয়ম চালু হয়েছে হিন্দুস্তান তথা ভারত বর্ষে , এখানে হিন্দু মুসলমান এক সমাজে বাস করত হিন্দুরা নামের শুরুতে শ্রী শ্রী যুক্ত করত মুসলমানরা তাদের থেকে পৃথক,আলাদা বুঝাতে নামের পূর্বে মুহাম্মদ যুক্তের প্রচলন শুরু করে আর মোসাম্মৎ শব্দের অর্থ “নামকরন করা হয়েছে” এর প্রচলন কখন থেকে বা কিভাবে শুরু হয়েছে তা জানা যায়নি ।
প্রশ্নকর্তার মূল জানার বিষয় হলো, মেয়েরা নামের পূর্বে কেন মুসাম্মত শব্দ যুক্ত করে? এবং অতিরিক্ত এ শব্দটির অর্থ কি? এর উত্তর হলো, বৃটিশ শাসন আমলে মুসলিম পুরুষরা যেমন তাদের ধর্মীয় পরিচয় ফুটিয়ে তোলার জন্য নামের শুরুতে মুহাম্মদ শব্দ যুক্ত করত ঠিক তেমনিভাবে মুসলিম নারীরাও নিজেদের ধর্মীয় পরিচয় ফুটিয়ে তোলার জন্য তাদের নামের শুরুতে মুসাম্মত শব্দ ব্যবহার করা শুরু করে। কারণ নারীরা তো তাদের নামের শুরুতে মুহাম্মদ শব্দ যুক্ত করতে পারে না। কারণ একে তো নামটি পুরুষবাচক নাম। এবং আরবী ব্যকরণগত দিক থেকে শব্দটি মুজাক্কার তথা পুং লিঙ্গের শব্দ ও বটে। মুহাম্মদ এবং মুসাম্মত শব্দ যুক্ত করণের সে আবেদন আজ বিদ্যমান না থকলেও সে ব্যবহার মুসলিম সমাজে আজো চলমান রয়েছে। আর মুসাম্মত বস্তুত একটি আরবী শব্দ। এবং এটি কর্মবাচ্য শব্দ। এর অর্থ হলো, নাম রাখা হয়েছে এমন নারী, নামযুক্ত, নামীয়, অভিহিত, আখ্যায়িত, নির্ধারিত।