Call

মুহাম্মদ হলো আমাদের নবীর নাম।। সাহাবাদের সময় ঐ নাম রাখতে নিষেধ ছিল। তবে তার ওফাতের পর ঐ নাম রাখা জায়েজ হয়।। এটা সন্মানার্থে সকলের নামের পূর্বে উল্লেখ করা হয়।।। মুসাম্মাদ শব্দের অর্থ নাম। এটি মেয়েদের নামের পূর্বে রাখা উচিত নয়।। এর অর্থ নাম।। জানিনা কেন রাখে?

Talk Doctor Online in Bissoy App
Call

নামের পূর্বে মুহাম্মদ যুক্ত করার নিয়ম আগে ছিলনা যার কারনে সাহাবাদের যুগে, তাবেয়ীনদের যুগে, তাবেতাবেয়ীনদের যুগে নামের পূর্বে মুহাম্মদ সাধারনত পাওয় যায়না ,নামের পূর্বে মুহাম্মদ যুক্ত করার নিয়ম চালু হয়েছে হিন্দুস্তান তথা ভারত বর্ষে , এখানে হিন্দু মুসলমান এক সমাজে বাস করত হিন্দুরা নামের শুরুতে শ্রী শ্রী যুক্ত করত মুসলমানরা তাদের থেকে পৃথক,আলাদা বুঝাতে নামের পূর্বে মুহাম্মদ যুক্তের প্রচলন শুরু করে আর মোসাম্মৎ শব্দের অর্থ “নামকরন করা হয়েছে” এর প্রচলন কখন থেকে বা কিভাবে শুরু হয়েছে তা জানা যায়নি ।

Talk Doctor Online in Bissoy App

মেয়েদের নামের পূর্বে মোসাম্মত লেখার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। ইসলামে এরকম কোনো বিধান নেই।


মেয়েদের একটি অর্থপূর্ণ, সুন্দর আরবী নাম থাকবে। সাথে কুনিয়াত (উপনাম), লকব (উপাধি) এবং নসব (গোষ্ঠীয় বা গোত্রীয় বা বংশীয় উপাধি)ও থাকতে পারে।

Talk Doctor Online in Bissoy App

প্রশ্নকর্তার মূল জানার বিষয় হলো, মেয়েরা নামের পূর্বে কেন মুসাম্মত শব্দ যুক্ত করে? এবং অতিরিক্ত এ শব্দটির অর্থ কি? এর উত্তর হলো, বৃটিশ শাসন আমলে মুসলিম পুরুষরা যেমন তাদের ধর্মীয় পরিচয় ফুটিয়ে তোলার জন্য নামের শুরুতে মুহাম্মদ শব্দ যুক্ত করত ঠিক তেমনিভাবে মুসলিম নারীরাও নিজেদের ধর্মীয় পরিচয় ফুটিয়ে তোলার জন্য তাদের নামের শুরুতে মুসাম্মত শব্দ ব্যবহার করা শুরু করে। কারণ নারীরা তো তাদের নামের শুরুতে মুহাম্মদ শব্দ যুক্ত করতে পারে না। কারণ একে তো নামটি পুরুষবাচক নাম। এবং আরবী ব্যকরণগত দিক থেকে শব্দটি মুজাক্কার তথা পুং লিঙ্গের শব্দ ও বটে। মুহাম্মদ এবং মুসাম্মত শব্দ যুক্ত করণের সে আবেদন আজ বিদ্যমান না থকলেও সে ব্যবহার মুসলিম সমাজে আজো চলমান রয়েছে। আর মুসাম্মত বস্তুত একটি আরবী শব্দ। এবং এটি কর্মবাচ্য শব্দ। এর অর্থ হলো, নাম রাখা হয়েছে এমন নারী, নামযুক্ত, নামীয়, অভিহিত, আখ্যায়িত, নির্ধারিত।

Talk Doctor Online in Bissoy App