পিত্তথলিতে সাধারণত দুই প্রকারের পাথর হতে দেখা যায়।

১) কোলেস্টেরল পাথর এবং 

২) পিগমেন্ট পাথর।


অধিক পরিমাণে কোলেস্টেরল পিত্তথলিতে জমা হয়ে সেটি পাথরের রূপ নেয়। পিত্তথলিতে যে বিলিরুবিন থাকে সেটি সম্পূর্ণ নিশ্চিত হতে না পারলে সেটিও পাথরের আকার নিতে পারে। যেকোনো কারণে পিত্তথলির অসুস্থ তাহলে পিত্ত নিঃসরন সম্পূর্ণভাবে হয় না এবং পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এছাড়াও হরমোন ঘটিত নানা কারণ, স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদির কারণে পিত্তথলিতে পাথর হতে সহায়তা করে থাকে।

image


পিত্থতলিতে পাথর হলে যে সকল লক্ষণ প্রকাশ পায়ঃ

পিত্থতলিতে পাথর হলে সাধারণত পিত্তথলি বরাবর এক ধরনের ব্যথা যন্ত্রণা অনুভব হয়। তলপেটে ব্যথা হতে পারে। তার সাথে বমি বমি ভাব থাকতে পারে। এছাড়াও শারীরিক অন্যান্য অসুস্থতা, দুর্বলতা ইত্যাদি থাকতে পারে।

পিত্তথলির পাথর চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথিঃ

পিত্তথলির পাথরের চিকিৎসা খুব সুন্দরভাবে হয় হোমিওপ্যাথিতে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে পিত্তথলির পাথর সার্জারী ব্যতিরেকেই ভালো হয়ে গেছে হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সেবনে।

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সাধারণত লক্ষণ ভিত্তিক। পূর্ণাঙ্গ কেস টেকিং করে, রোগীর সামগ্রিক মনোদৈহিক লক্ষণ সংগ্রহ করে, শক্তিকৃত, একক হোমিওপ্যাথিক ঔষধ প্রয়োগ করতে হয় রোগীর চিকিৎসায়।

কিছু মাদার টিংচার যেমন বার্বেরিস ভলগ, কার্ডুয়াস মেরি এই সকল ঔষধ চমৎকার কাজ করে পিত্তপাথুরী রোগের ক্ষেত্রে।


পথ্যঃ পিত্তথলির পাথরের চিকিৎসায় ঔষধের পাশাপাশি পথ্যের উপর অবশ্যই নজর রাখতে হবে। কাঁচা বা পাকা পেঁপে, পেঁপের আঠা অর্থাৎ পেঁপে সকল ভাবেই খেতে হবে। পেঁপের আঠা লিভারের উপর মহৌষধ। তবে পেঁপের আঠা সরাসরি মুখে নিয়ে খেলে জিব্বায় ঘা হতে পারে। তাই চিনি বা ময়দার সঙ্গে পেঁপের আঠা মিশিয়ে এবং মুখে পানি নিয়ে এই পদ্ধতিতে পেঁপের আঠা গিলে খেতে হবে।


পিত্ত পাথরের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা কালীন সর্বদাই সচেতন থাকতে হবে এবং প্যাথলজিক্যাল টেস্ট এর দ্বারা রোগের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে হবে। যদি রোগ জটিল মনে হয়, পাথর খুব বড় হয়ে যায়, তাহলে অবশ্যই সার্জিক্যাল অপারেশন করে পাথর অপসারণ করতে হবে।


ডাঃ দীপংকর মন্ডল।

রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথ।


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে