আমি একজন কলেজ ছাত্র। আমি বতর্মানে বাইরে থেকে পড়াশোনা করছি। আমার পড়তে ইচ্ছে করেনা। পড়তে বসলে ঘুম আসে, হাত পা অস্হির লাগে। কিন্তু এখন বেশি সমস্যা হচ্ছে চিন্তা নিয়ে। মাথায় সারাক্ষণ নানান চিন্তা ঘুরপাক খায়। কিছুতেই কন্ট্রোল করতে পারি। এভাবেই চলতে চলতে এখন অনেক হাস‍্যরসক কথা আমার অন্তরে ঢুকে গেছে। যেমন : নিজের কাছে মনে হয় " আমার কিছুই হবেনা। আমি না পড়লেও মনে হয় পড়া পারব। পড়ে কী হবে একদিনতো মরতেই হবে ইত্যাদি। " এসব নিজের কাছে অযৌক্তিক লাগলেও মন বারবার এমন ইঙ্গিত দেয়। কিছুতেই এখন বিরত হতে পারছিনা। আর হ‍্যা আমার ভয় একটু বেশি। অল্প একটু শব্দেও ভয় পাই। আমি মুসলিম। নামাজ পড়া হয় নিয়মিতই। এগুলো থেকে বের হতে পারছিনা। কেন? কী করা উচিত? কিন্তু অনেক কাছে বিষয়টি হাস‍্যকর লাগবে। কিন্তু আমার জন‍্য কঠিন। যথার্থ সমাধান চাই। প্লিজ। 


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call
এটা চিকিৎসা বিজ্ঞান বিভিন্ন রকমের রোগের ব্যাপারে বললেও, 

 ইসলামিক পরিভাষায় যদি বলা হয় এই রোগের নাম ওয়াসওয়াসা। 

সূরা নাস মুখস্ত থাকলে দেখবেন এর মধ্যে উল্ল্যেখ আছে "ওয়াসওয়াসিল খন্নাস"।খন্নাস নামক শয়তানের একটি জাত মানুষের অন্তরে ওয়াসওয়াসা তৈরি করে থাকে।  

 شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ
মিন্ শররিল ওয়াস্ ওয়াসিল খান্নাস
তার অনিষ্ট থেকে, যে কুমন্ত্রণা দেয় ও আত্নগোপন করে,
الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ
আল্লাযী ইউওযাসবিসু ফী ছুদুরিন্নাস
যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে ।



➡️ وقد وكِّل به قرينُه من الجنِّ وقرينُه من الملائكة

‘তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যার সঙ্গে তার সহচর জিন (শয়তান) এবং সহচর ফেরেশতা নিযুক্ত করে দেওয়া হয়নি।’ (মুসলিম)

এখানে বুঝতে হবে প্রতিটি মানুষের জন্য একটি করে শয়তান ও ফিরিশতা নিযুক্ত করা হয়েছে। একজন আপনাকে কুমন্ত্রণা দিবে আরেকজন সঠিকপথ দেখাবে। 

❓সমাধানের পথঃ-

১। প্রতি ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ।

২। শ্বাস-প্রশ্বাসে জিকির করতে হবে এতে শয়তান কুমন্ত্রণা দিতে পারবেনা। ( নিশ্বাস ফেলতে লা-ইলাহা ও টানতে ইল্লাল্লাহু)  মনে মনে যখন স্মরণ হবে। 

৩। ইশার ফরজ নামাজের পর- সূরা কাফিরুন, সূরা কাওসার, সূরা ফালাক্ব ও সূরা নাস পাঠ করে হাতের তালুতে ফু দিয়ে সমস্ত শরীর মাসহ করবেন। (তিনবার) 

এভাবে আমল করলে ইনশাআল্লাহ আপনার অন্ততের ব্যাধি দূর হয়ে যাবে। 

★★ হাম্মামখানা বা গোসলখানায় প্রসাব করবেন না, এতে ওয়াসওয়াসা রোগ সৃষ্টি হয়। যদি এটাচ বাথরুম হয় তাহলে সমস্যা নেই তবে গোসল করার স্থানে প্রসাব করা যাবেনা এতে ওয়াসওয়াসা নামক উক্ত রোগটি হতে পারে।

আমারও মাঝে মাঝে এমন হয়। এর জন‍্য কি কোনো রুকইয়া বা ঝাড়ফুক করতে হবে?

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ