শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

ভূমিকাঃ ইচ্ছার স্বাধীনতা এই প্রত্যয়টিকে কেন্দ্র করে নানারকম তর্কবিতর্কের উদ্ভব হয়েছে। একদল মনে করেন, আমাদের ইচ্ছার স্বাধীনতা আছে। অপর দল মনে করেন, আমাদের ইচ্ছা বাইরের বিষয় বা ঘটনা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।

নিম্নে নিয়ন্ত্রণবাদ ও অনিয়ন্ত্রণবাদের মধ্যে পার্থক্য দেওয়া হলোঃ 

প্রথমত, নিয়ন্ত্রণবাদের মূল কথা হলো, “ যা ঘটে তা নিয়ন্ত্রিত। অপর দিকে, অনিয়ন্ত্রণবাদের মূল কথা হলো“ যা ঘটে তার সবই অনিয়ন্ত্রিত। 


দ্বিতীয়ত, নিয়ন্ত্রণবাদ সার্বিক কার্যকারণ বিষয়ক মতবাদ। অপর পক্ষে, অনিয়ন্ত্রণবাদ জাগতিক সকল ঘটনার পিছনে কার্যকারণের ধারণাকে অস্বীকার করে। তারা মনে করে জাগতিক ঘটনার পিছনে কোনো কারন নেই। 


তৃতীয়ত,  নিয়ন্ত্রণবাদ ইচ্ছার স্বাধীনতা স্বীকার করে না। অপর দিকে, অনিয়ন্ত্রণবাদ পরিপূর্ণভাবে ইচ্ছার স্বাধীনতাকে স্বীকার করে। 


চতুর্থত, নিয়ন্ত্রণবাদের মতে, যে কোনো কাজের পিছনেই একটি উদ্দেশ্য রয়েছে। অপর দিকে, অনিয়ন্ত্রণবাদীদের মতে,  কাজের পিছনে কোনো উদ্দেশ্য নেই। 


পঞ্চমত, নিয়ন্ত্রণবাদ মেনে নিলে কর্মের জন্য মানুষকে দায়ী করা চলে না। অপর দিকে, অনিয়ন্ত্রণবাদ মেনে নিলে কর্মের জন্য মানুষকে তার কর্মের জন্য দায়ী করা যায়। 


উপসংহারঃ উর্যুক্ত আলোচনার আলোকে আমরা বলতে পারি যে, নিয়ন্ত্রণবাদ ও অনিয়ন্ত্রণবাদ পরস্পরবিরীতধর্মী দুটি মতবাদ। নিয়ন্ত্রণবাদ যেমন অনিয়ন্ত্রণবাদকে খণ্ডন করতে যুক্তি প্রদান করে, অনিয়ন্ত্রণবাদও নিয়ন্ত্রণবাদকে তেমনি খণ্ডন করতে যুক্তি প্রদান করে। তবে দর্শনে এ উভয় মতবাদকেই সমালোচনার দৃষ্টিতে দেখা হয় এবং এদের মধ্যে সমন্বয়সাধনের চেষ্টা চালানো হয়। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ