শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

কিডনির পাথর যদি ৪ মিলিমিটার বা তার থেকে ছোট হয়, তাহলে ৯০ শতাংশ সম্ভাবনা থাকে যে, সেটি নিজেই প্রস্রাবের সঙ্গে বের হয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে আমরা রোগীদের বেশি করে পানি পান করতে বলি। প্রয়োজনে ব্যথার ওষুধ দিয়ে থাকি। আর কয়েক সপ্তাহ পরপর এক্স-রে বা সিটি স্ক্যান করে দেখি পাথরটা কতটুকু নেমেছে বা প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে গেছে কি না।

ছাঁকনির মধ্যে প্রস্রাব করলে অনেক সময় পাথর ধরা যায় অথবা রোগীরা বুঝতে পারেন যে প্রস্রাবের সঙ্গে জমাট রক্তের মতো কিছু একটা বের হয় বা কমোডের পানির নিচে জমা হয়। কিন্তু পাথর যদি মূত্রনালির বা ইউরেটারের কোনো অংশে আটকে যায় আর নিচে নামে, প্রস্রাবের প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে সংক্রমণ হয়, সে ক্ষেত্রে পাথর ছোট হলেও বের করে প্রস্রাবের বাধা দূর করতে হবে। কিডনির পাথর দশমিক ৫ থেকে ২ সেন্টিমিটার আকারের হলে এবং সুবিধামতো জায়গা থাকলে শরীরের বাইরে থেকে শক ওয়েভ দিয়ে পাথর গুঁড়া করা সম্ভব। পরে গুঁড়াগুলো প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে আসে। কিডনি থেকে ছোট আকারের পাথর অপসারণের আরেকটি মিনিম্যাল ইনভেসিভ পদ্ধতি হলো আরআইআরএস (রেট্রোগ্রেড ইন্ট্ররেনাট সার্জারি)। এই পদ্ধতিতে প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে ফেক্সিবিল ইউরেটেরোস্কোপ দিয়ে কিডনিতে পৌঁছে লেজারের মাধ্যমে পাথর গুঁড়া করে বের করে আনা হয়।

তবে কিডনির পাথর অপসারণের সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি (গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড) হলো পিসিএনএল। এই পদ্ধতিতে ছোট একটি ছিদ্রের মাধ্যমে পিঠের দিক দিয়ে যেকোনো আকার ও প্রকৃতির পাথর ভেঙে ১০০ শতাংশ বের করা সম্ভব। উন্নত দেশগুলোর মতো আমাদের দেশেও কিডনির পাথর এসব পদ্ধতিতে বের করা হয়। এখন আর পেট কেটে কিডনি পাথরের সার্জারি করা হয় না বললেই চলে। তাই রোগীকে পুরো অজ্ঞান করার প্রয়োজন হয় না এবং দুদিনেই বাসায় ফিরে যেতে পারেন। এসব পদ্ধতিতে ব্যথা–বেদনা তেমন একটা হয় না। কিডনির পাথর ইউরেটার বা মূত্রনালিতে নেমে এলে তা ইউরেটেরোস্কোপের মাধ্যমে প্রস্রাবের নালি দিয়ে বের করা হয়। মূত্রথলির পাথরও পেট না কেটে যন্ত্রের সাহায্যে প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে বের করা হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ