ডিম্বস্ফোটনের সঠিক সময় নির্ধারণ সম্ভব না, যদি না আপনি ফার্টিলিটি সচেতন হোন। অধিকাংশ নারীর মাসিক শুরুর ১০-১৬ দিন আগে ডিম্বস্ফোটন হয়।
আরও পরিস্কার করে বলতে গেলে মাসিকের প্রথম দিন থেকে একজন নারীর মাসিক চক্র গণনা করা হয়। এর কিছুদিন পর তার ডিম্বাস্ফোটন হয় এবং তার ১০-১৬ দিন পর তার আবার মাসিক হয়। স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী মাসিকের গড় চক্রকাল হচ্ছে ২৮ দিন অন্তর অন্তর। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে এর কিছু বেশি অথবা কম সময়েও মাসিক হতে পারে, যা অস্বাভাবিক নয়। ডিম্বোস্ফোটন ঠিক কখন হয় তা সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয়, তবে এটা বলা ভুল হবে যে সব মহিলারই মাসিক চক্রের ১৪ দিনের দিন ডিম্বোস্ফোটন হয়। যে মহিলাদের মাসিক নিয়মিত হয় এবং মাসিক চক্র ২৮ দিন তাদের বেলায় এটি সঠিক, তবে যে মহিলাদের মাসিক চক্র এর থেকে ছোট, বা লম্বা বা অনিয়মিত, তাদের বেলায় এটি প্রয়োজ্য নয়। আপনার মাসিক চক্র যদি ৩৫ দিনের হয়, তাহলে আপনি উর্বর থাকবেন আপনার মাসিক চক্রের ১৯ দিন থেকে ২৫ দিনের আশেপাশে, ১৪ দিনের দিন নয়। আবার আপনার মাসিক চক্রি যদি ছোট হয়, ধরুন ২৩ দিন, তাহলে আপনার হয়তো ডিম্বোস্ফোটন হবে আপনার মাসিক চক্রের ৭-১৩ দিনের মধ্যে এবং আপনি সেই সময়টুকু উর্বর থাকবেন।
আগে যেমন বলা হয়েছে, একজন মহিলার শরীরে শুক্রানু ঢোকার পর তা ৪-৫ দিন বেঁচে থাকে। আপনি যদি গর্ভবতী হতে চান, তাহলে আপনাদেরকে এক-দুই দিন পর পর মিলিত হতে হবে। এর ফলে আপনার যখনই ডিম্বোস্ফোটন হয়ে ডিম্বাণু নি:সরণ হোক না কেন, সব সময়ই শুক্রানু আপনার ডিম্বোনালীতে থাকবে এবং আপনার ডিম্বানুর সাথে মিলিত হওয়ার জন্য অপেক্ষা করবে। যে মহিলাদের মাসিক চক্র অনিয়মিত তাদেরকে এই পদ্ধতি মেনে চলতে বলা হয়। এই ব্যাপারে আরও বিস্তারিত জেনে নিন স্বামী-স্ত্রীর মিলন অধ্যায়ে। আপনি যদি মনে করেন যে, আপনি গর্ভবতী, তাহলে গর্ভধারণের লক্ষণসমূহ জেনে নিন, এবং কি কি টেস্ট করে এই ব্যাপারে নিশ্চিত হবেন তা জানুন।