মানব সভ্যতার অজস্র সেকচুয়াল সাজসজ্জার মধ্যে সবচেয়ে স্ট্রাইকিং ও সবচেয়ে আনন্দদায়ক সজ্জা হচ্ছে ; নারীদের Face to Face সহবাস করার ক্ষমতা। নারীদের তীব্র কিন্তু অর্গাজমের পরিবর্তনশীল প্যাটার্ন। হেলেন ফিশার ( যিনি নিজেও একজন নারী? তার এনাটমি অব লাভ গ্রন্থে বলেন , সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হলো নারীরা ঘড়ির চারপাশে সহবাস করতে পারে। এর মানে হলো, ঘড়ির কাটা যেমন ঘুরতে ঘুরতে চব্বিশঘণ্টা সৃষ্টি করে। একজন নারীর মধ্যেও ২৪ ঘন্টা লাগাতার সেক্স করার ক্ষমতা আছে!! নারীর এ ক্ষমতা পুরুষকে মিলিয়ন বছর না হলেও সহস্র বছর বিস্ফোরিত করেছে। লুসিও কী ফেস টু ফেস সেক্স করতে পারতো?

ফিশার বলেন, আমি মনে করি পারতো। আধুনিক সব নারীর ভেজাইনা নিন্মমূখী-কাত হওয়া কিন্তু অন্যদিকে প্রাইমেটদের ভেজাইনা পশ্চাতদিকে সাজানো। কারণ আমাদের মানব নারীদের জন্য Face to Face সহবাস খুবই কম্পোর্টেবল। মূলত, এ পজিশনে পুরুষের শ্রোণিচক্রের হাড় নারীর ক্লাইটোরিসে প্রচন্ড ঘর্ষণ তৈরি করে, যার ফলে ইন্টারকোর্স চুড়ান্তভাবে স্টিমুলেটিং হয়ে উঠে। কিন্তু এটা বিস্ময়কর নয় যে, অধিকাংশ সংস্কৃতিতে মিশনারী পজিশনকে সহবাসের পোস্টার হিসেবে পছন্দ করা হয়, যদিও রয়েছে ব্যাপক বৈচিত্র্যতা। এমেজোনিয়ার একাকী লোকজন ঘরের মেজেতে বিছানা পেতে শোয় আর এ জন্য প্রেমিক প্রেমিকাদের জন্য কিছুটা প্রাইভেসি থাকে। তবুও একটি ভুল পদক্ষেপ তাদেরকে রাতের আগুনে আটকে দিতো।

সমস্যা হলো, স্বামী ও স্ত্রীদের কারণে গোপন প্রণয়িনীরা জঙ্গলে চলে যেতো যেখানে মাটি অসম ও প্রায়শ ভেজা। এ জন্য নারীরা সহবাস করার সময় শুতে পারতোনা। তার পরিবর্তে সে উবু হয়ে পেছনে হেলান দিতো। সে তার নিতম্বকে মাটিতে হাতের সাপোর্ট দিয়ে উপরের দিকে ধরে রাখতো এবং পা। কিন্তু তারপরও সে যখন তার প্রেমিকের দিকে তাকাতো তখন ভালোবাসা অনুভব করতো। মানুষ সেকচুয়াল ইন্টারকোর্সের শত শত সেকচুয়াল পজিশন আবিষ্কার করেছে। Sex Moves নামক আমার সংগ্রহে একটি অসাধারণ বই আছে। যেটিতে শুধুমাত্র সেকচুয়াল পজিশনগুলো ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এমন অকল্পনীয় সব পজিশন যা আপনি হয়তো সারাজীবনেও কল্পনা করতে পারেন নি। হই মোশন, লাস্টি লোটাস, মি- ক্লিন, হ্যাপিং স্প্রি, প্যারালাল পার্কিং, গো ফর স্ট্রোক, এন্ডলেস এম্ব্রেস, সিট এন্ড স্পিন, বেন্ডেড ক্নি, দি ইজি চেয়ার, রিভার্স পিগিব্যাক, দি হাইড্র‍্যান্ট হ্যাম্প, দ্যা স্ট্যান্ডিং ওভেশন, এক্সটেন্ডেড ব্লিচ, দি মাল্টি-টাস্কার,এক্স-রেটেট, দি ডিপ “সি”, দি এক্রোবাট, দি গেটওয়ে এবং দি স্টিয়ারিং। প্রায় ৩৬৫ টি আইনগতভাবে কপিরাইট করা সেকচুয়াল পজিশনের মধ্যে আমার ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ হয়েছিল Tilt Steering, Captain Crunch, The passionate Push, The chair-Raising Adventure, Climbing Climax, Delivery, The filching Extension, Docking Bay,String Duet, The rubbernecker, Calf Roping এবং The rolling Brone! আপনি যদি সহবাসের এক একটি পজিশনের উপর আধিপত্য বিস্তার করতে চান তবে আপনাকে ক্রিকেট বা ফুটবল খেলার চেয়েও অনেক বেশি প্রাক্টিস করতে হবে। আর এ পজিশনগুলো এতটাই ক্রিটিক্যাল ও আকর্ষণীয় যে, একবার দেখলেই তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করবে স্থির হয়ে! কিন্তু এ পজিশনগুলোর একটা সীমাবদ্ধতা আছে, অনেক সময় পজিশনের দিকে গুরুত্ব দিতে গেলে, মস্তিষ্কের এক্সাইটেশন কমে যায়। হেলেন ফিশার বলেন, People invented dozen of other position for intercourse. But face-to-face copulation is depicted in artworks around the world ; it probably badge of the Human animal. আজ থেকে ৩.২ মিলিয়ন বছর পূর্বে লুসির ছিল উলটানো ভেজাইনা এবং সে আগ্রহী ছিল Face to face Copulation এর প্রতি, সে ফিশফিশ শব্দ করতো, নিশ্বাসের উষ্ণ বাতাস ছড়িয়ে দিতো তার সঙ্গীর কানে, এক ফলকে তাকিয়ে থাকতো, আর এক্সপ্রেসনের মাধ্যমে নুইস্যান্স প্রকাশ করতো। কিন্তু ফেস টু ফেস সহবাসের কী এমন বিবর্তনীয় উপযোগীতা ছিল যার জন্য এটি প্রকৃতিতে এত সাধারণ। এ প্রশ্নটি আমাকে অনেক ভাবিয়েছে, আমি অভিজ্ঞতার আলোকে জানতে পেরেছি, নারীরা পজিশন চেঞ্জ করতে আগ্রহী নয়, অনেক নারীই আছে ঘুরেফিরে একই পজিশনেই সহবাস করতে চায়, পজিশন পরিবর্তন করতে গেলেই চিতকার করে ও বিরক্ত হয় আবার অনেক সময় সেটা ঝগড়ায় রুপ নেয়। তারা ফেস টু ফেস সহবাস করতেই বেশি আরাম বোধ করে। হেলেন ফিশার বলেন, Face to face Copulation foster intimacy, Communication and Understanding! আপনার সঙ্গী যদি আপনার চোখে চোখ না রাখে তবে সে আপনার ব্রেনের সাথে ডিসকানেক্টেড হয়ে যায়, যেটা সহবাসের সময় দূরত্ব ও ভুল বোঝাবুঝি তৈরি করে। মিশনারী পজিশনের একটি আধুনিক ভার্সন ডগি। এটাতে খুব কম নারীই আগ্রহ বোধ করতে পারে। তাদের শরীরে বিশেষ একপ্রকার চাপ তৈরি হয় বলেও শোনা যায়। তারমানে, মুখোমুখি সেক্স নারী ও পুরুষের মস্তিষ্কের মাঝে একটি কানেকশন তৈরি করে, সেক্স শুধু স্পার্ম ইনপুট করার একটি নিছক যুদ্ধ নয়, এখানে রয়েছে যোগাযোগ ও রিয়েলাইজেশন ফ্যাক্টর! যা তাদের ভেতরকার বন্ধন আরো অটুট করে দিতে পারে। যা পরবর্তী জীবনের জন্য একটি ইতিবাচক ভাইব তৈরি করে দিতে পারে। ১৯৮১ সালের Ashley Montague প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রের রেফারেন্স দিয়ে হেলেন ফিশার বলেন, I suspect that the downward-tilting human Vaginal canal Evolved via Sexual selection. ফিশার বলেন, আদিম নারীদের সংশয়গ্রস্ত দোদুল্যমান ব্রেস্টের মতো, উলটানো ভেজাইনা এবং মুখোমুখি কোপিউলেশন হয়তো স্পেশাল ফ্রেন্ডদের সাথে তাদের অনেক বেশি শক্তিশালী বন্ধন তৈরি করে দিতো এবং যার কারণে তারা শিশুদেরকে অপেক্ষাকৃত বেশি যত্ম করতো এবং এভাবেই একে অপরের মাঝে যে গভীর বোধ ও ঐক্য তৈরি হতো তা তাদের জিনকে সফলতার সাথে ছড়িয়ে দিতে পারতো ভবিষ্যতে! মজার ব্যাপার হলো, ৩৬৫ টি সেকচুয়াল পজিশনের মধ্যে প্রতিবারই আমি Face to Face সহবাসের ছবিকেই বেশি প্রাধান্য দিয়েছি ও অবচেতনে, তার মানে আমাদের মস্তিষ্কের গভীরেই হয়তো আজ থেকে তিন মিলিয়ন বছর পূর্বে এ মানসিক পছন্দের হার্ডওয়্যার তৈরি করে দেয়া হয়েছে!


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে