ইহা আপনার শারীরিক দুর্বলতা ও মানুসিক দুশ্চিন্তা কারনে হতে পারে এছাড়াও ভাজাপোড়া খাবার বাশি খাবার পানি কম পান করার কারনে, খাবারে অরুচি, খুদা মন্দা,পেটফাঁপা ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।কাজেই আপনি তেলেভাজা খাবার,বাজারে খোলা খাবার, বাশি খাবার, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এর খাবার ,গ্যাস্ট্রিক করে এমন খাবার পরিহার করতে হবে । প্রতিদিন সিদ্ধডিম,দুধ,কলা,দেশি মুরগির ডিম, খাবেন। দেশি মুরগির মাংস, দেশি মাছ, দিয়ে ভাত খাবেন নিয়মিত ভাবে। এবং চিকিৎসক এর পরামর্শ নিয়ে হেপাটোলিন ২০০ মিলি সিরাপ ক্রয় করে দুই চামচ করে সকাল ও রাতে.।
প্রাকৃতিক ভাবে ওজন বাড়ানোর ওষুধ একটাই - খাদ্য। আপনি যদি নিয়মিত মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, শাক-সবজি, ফলমূল খান তাহলে অবশ্যই আপনার ওজন বাড়বে (যদি খাদ্যগুলো আপনার শরীরে কাজ করে)। কিন্তু আপনার দেহ যদি খাদ্য থেকে পুষ্টি গ্রহণ করতে না পারে? তাহলে এগুলো খেয়ে ও আপনি সুফল পাবেন না। এখন কথা হচ্ছে এমন টা কেন হবে? খেলাম কিন্তু কাজ হল না এটার মানে কি? মানে হল আপনার হজম শক্তি দূর্বল। হজম ঠিক মত না হওয়াতে আপনার দেহ খাদ্য থেকে পর্যাপ্ত পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে না। আর এমন হলে আপনার শরীরে পর্যাপ্ত শক্তি পাবেন না। খাওয়া দাওয়াতেও অরুচী হবে। শরীরের ওজন স্বাভাবিকের চাইতে কম থাকবে। আমার মতে আপনাকে ব্যায়াম করতে হবে। ব্যায়াম আপনার ক্ষুধা বাড়াবে। পাকস্থলীর Enzyme গুলোকে উজ্জীবিত করবে। যা হজমশক্তি বাড়িয়ে দিবে। আর হজম যাদের দূর্বল তাদের পেটেও জ্যাম লেগে থাকে। টয়লেটে সময় বেশি লাগে। পেট পরিষ্কার হয় না। এসবের জন্য তোকমা আর ইসবগুল ভূষি খুব উপকারী। এক গ্লাস পানিতে তোকমা আর ইসবগুল মিশিয়ে 2/3 মিনিটের মধ্যে খেয়ে ফেলবেন। চিনি দেবার কোন প্রয়োজন নেই। এটা সকালে অথবা রাতে ঘুমানোর আগে খেতে পারেন। আর এসবের সাথে অবশ্যই পর্যাপ্ত ঘুম এবং বিশ্রাম নিতে হবে। বমি যদি হয় তাহলে আপনি কয়েক টুকরো দারুচিনি চিবিয়ে নিতে পারেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। প্রয়োজনে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
যানবাহনে বমির থেকে রক্ষা পেতে * ভ্রমণের সময় জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকলে সমস্যা কিছুটা কম হয়। * এ সময় খোলা জানালা দিয়ে লম্বা লম্বা শ্বাস নিতে পারেন। * বমি ভাব দূর করতে সবচেয়ে কার্যকরী ভেষজ ওষুধ আদা। আদা কুচি করে কেটে মুখে নিয়ে চিবুতে পারেন। এতে করে আপনার বমি ভাবটি দূর হয়ে যাবে। যারা আদার ঝাঁজ সহ্য করতে পারেন না, তারা একটু গরমপানিতে আদা সিদ্ধ রসটি মুখে নিয়ে কুলি করলে মুখ থেকে বমির বিচ্ছিরি গন্ধও দূর হয়ে যাবে। * যখনই বমি ভাব দেখবেন তখনি মুখে এক টুকরা লবঙ্গ রেখে দিন। ধীরে ধীরে চিবুতে থাকুন দেখবেন আপনার মুখ থেকে বমিভাব চলে গিয়েছে। * পুদিনাপাতা বমিভাব দূর করতে দারুণ কার্যকর। পুদিনার রস গ্যাস্ট্রিকজনিত বমিভাব দূর করতে বেশি কার্যকরী। তাই গ্যাস্ট্রিকজনিত বমিভাবে পুদিনা পাতা মুখে দিয়ে চিবুতে থাকুন। * অনেকেই দারুচিনি চিবুতে পছন্দ করেন। দারুচিনি ভারী খাবারের পর খেলে হজমে খুব সাহায্য করে। তাই হজমের সমস্যাজনিত কারণে বমিভাব হলে খেতে পারেন এক টুকরা দারুচিনি। * টক জাতীয় খাবারের ফলে শরীরের বমিভাব দূর হয়। লেবুর রসে রয়েছে সাইট্রিক এসিড যা বমিভাব দূর করতে বেশ কার্যকরী। কিন্তু গ্যাস্ট্রিকজনিত বমির ভাব হলে লেবু না খাওয়াই ভালো। তা ছাড়া বমি ভাব হলে লেবুপাতার গন্ধ উপকারে আসতে পারে। কারণ লেবুর পাতা শুকলে বমি বমি ভাব দূর হয়। * ভ্রমণে যাদের বেশি সমস্যা হয় তারা গাড়িতে ওঠার আধঘন্টা আগে ডমপেরিডন জাতীয় ওষুধ খেয়ে নিতে পারেন। * জানালার কাছে সিট নিন। জানালাটা খুলে দিন। খোলা বাতাসে মন-প্রাণ থাকবে চনমনে। * গাড়িতে আড়াআড়ি বা যেদিকে গাড়ি চলছে সেদিক পেছন দিয়ে বসবেন না। * যাত্রা শুরুর একটু আগে ভরপেট খাবেন না বা পান করবেন না। * সুপারি বা শুধু পান কিংবা চুইংগাম চিবানোতেও উপকার পাওয়া যেতে পারে। এবং ওজন বাড়াতে সিনকারা সিরাপ খেতে পারেন।