Share with your friends

আপনার প্রশ্নটি দেখার পর মোটামুটি খুব আগ্রহ নিয়ে অনেকক্ষন নেটে দৌড়াদৌড়ি করলাম, কিন্ত কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারলাম না। তাই পক্ষে বিপক্ষে দুইটা উত্তরই দিলাম।  নিজেই সিদ্ধান্ত নিন, কোনটা বিশ্বাস করা উচিত? ||আল্লাহ্ই ভালো জানেন, আমরা শুধু ধারণাই করতে পারি||  পক্ষেঃ  “আল্লাহ হলেন তিনি, যিনি সৃষ্টি করিয়াছেন অসংখ্য আকাশ আর অনুরূপ সংখ্যক পৃথিবী। উহাদের উপরও আল্লাহর নির্দেশ অবতীর্ণ হয়; (এ তথ্যটি) এই জন্য যে তোমরা যেন অবগত হও, আল্লাহ সর্বশক্তিমান ও সর্বাজ্ঞ”  (৬৫:১২, আল কুরআন)  কুরআনের আরো অনেক আয়াতে ইঙ্গিত প্রদান করা হয়েছে যে- শুধু আমাদের এই পৃথিবীই নয়, অন্য কোন অজানা প্রান্তেও রয়েছে আল্লাহর সৃষ্টি জীব। ৬৫ নং সূরার উল্লিখিত ১২ নং আয়াত আমাদেরকে যে ধারনা দান করে তাহলো- “ভিন গ্রহের প্রাণীরা আমাদের মতই বুদ্ধিমান এবং গঠন গত দিক থেকে আমাদের মতই উন্নত। (হতে পারে আমাদের থকেও বেশি)। কারণ তাদের উপর যেহেতু আল্লাহর নির্দেশ অবতীর্ণ হয়, সেহেতু তাদেরকে অবশ্যই বুদ্ধিমান হতে হবে। তাদের থাকবে জ্ঞান, থাকবে পড়ার ও লিখার ক্ষমতা। যদি পড়ার ও লিখার ক্ষমতা থাকে, তাহলে তাদের মস্তিষ্ক হতে হবে বড় এবং থাকতে হবে নূন্যতম আমাদের হাতের মত গঠন, যা কলম ধরতে সহায়ক। কিন্তু এলিয়েনের গঠনগত বিজ্ঞানের ধারনা গুলো আনেক বৈচিত্র পূর্ণ, যা শুধু কল্পনা মাত্র।  বিপক্ষেঃ  আল্লাহ যদি একাধিক গ্রহে জীব সৃষ্টি করে থাকেন তাহলে নিশ্চই সেসব গ্রহতেও নবী রাসূল বা হেদায়েত দানকারী পাঠানো হয়েছিলো, তাহলে ঐসকল নবী রাসূল বা জাতি সম্পর্কে কুরআনে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা হয়নি কেনো?

Talk Doctor Online in Bissoy App