Call

সমাজের প্রচলিত কথায় বলা হয় যে, মদ-গাজা সেবন করলে চল্লিশ দিন শরীর অপবিত্র থাকে। কিন্তু ইসলামের দৃষ্টিতে এমন কথা অগ্রহণযোগ্য।

মদ-গাজা সেবন করলে চল্লিশ দিন শরীর অপবিত্র থাকে এমন কথা হাদিস দ্বারা সাব্যস্ত নয়। এ পূরোটা সময় শরীর নাপাক থাকলে এ অবস্থায় তার জন্য সালাত আদায়, কুরআন তিলাওয়াত, কুরআন স্পর্শ, কাবা ঘরের তওয়াফ ইত্যাদি জায়েজ হত না। অথচ শরিয়তের দৃষ্টিতে এ সকল ইবাদত করতে তার কোনো বাধা নেই।

মাতলামী দূর হওয়ার পর তার জন্য পবিত্র হওয়া ও নামাজ পড়া ফরজ।

আল্লাহ বলেন, হে ঈমানদারগণ! তোমরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় নামাজের নিকটেও যেও না, যতক্ষণ না তোমরা যা বল তা বুঝতে পার। (সূরা আন-নিসাঃ ৪৩)।

আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ মদ হারাম হওয়ার পূর্বে আমাদেরকে এক আনসার দাওয়াত দিল। দাওয়াত শেষে আব্দুর রহমান ইবন আউফ এগিয়ে গিয়ে মাগরিবের সালাতের ইমামতি করলেন। তিনি সূরা আল-কাফেরুন তেলাওয়াত করতে গিয়ে এলোমেলো করে ফেললেন। ফলে এ আয়াত নাযিল হয় যাতে মদ খাওয়ার পর বিবেকের সুস্থতা না ফেরা পর্যন্ত সালাত আদায় করতে নিষেধ করা হয়েছে।

(আল-আহাদীসুল মুখতারাহঃ ২/১৮৮ নং- ৫৬৭, অনুরূপ ২/১৮৭ নং ৫৬৬; আবু দাউদঃ ৩৬৭১; তিরমিযী: ৩০২৬)।

প্রশ্নে বলা হয়েছে, শরীর নাপাক। এমন নাপাক কোনো গোনাহের ফলেই হয় না। যদি সে পবিত্রতা অর্জন করে নেয়।

উল্লেখ্য যে, মদ-গাঁজা ও নেশা দ্রব্য গ্রহণ করা হারাম ও কবিরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত। (সূরা মায়িদাহ: ৯০-৯১)।

ইসলামি ফৌজদারি আইন অনুযায়ী এটি দণ্ডনীয় অপরাধ। যার সর্বনিম্ন শাস্তি হল, চল্লিশটি চাবুকাঘাত। তবে সরকার প্রয়োজনবোধে তা আশিটি পর্যন্ত প্রয়োগ করতে পারে।

এই পাপকর্মের শাস্তি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য করণীয় হল, মদ-নেশা পরিত্যাগ করে সালাত, সিয়াম ও অন্যান্য নেক আমল যথা নিয়মে সম্পাদন করার পাশাপাশি লজ্জিত অন্তরে খাঁটি ভাবে আল্লাহর নিকট তওবা করা এবং ভবিষ্যতে আর কখনো এমনটি না করার অঙ্গীকার করা। তৎসঙ্গে অন্যান্য নেক আমল যথাসম্ভব বেশি পরিমাণে করার চেষ্টা করা। তওবা এবং নেক আমলের বিনিময়ে আল্লাহ তার সকল গুনাহ মোচন করে দিবেন ইনশাআল্লাহ। নিশ্চয় আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল ও অসীম দয়ালু।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ