শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

সমাজের প্রচলিত কথায় বলা হয় যে, মদ-গাজা সেবন করলে চল্লিশ দিন শরীর অপবিত্র থাকে। কিন্তু ইসলামের দৃষ্টিতে এমন কথা অগ্রহণযোগ্য।

মদ-গাজা সেবন করলে চল্লিশ দিন শরীর অপবিত্র থাকে এমন কথা হাদিস দ্বারা সাব্যস্ত নয়। এ পূরোটা সময় শরীর নাপাক থাকলে এ অবস্থায় তার জন্য সালাত আদায়, কুরআন তিলাওয়াত, কুরআন স্পর্শ, কাবা ঘরের তওয়াফ ইত্যাদি জায়েজ হত না। অথচ শরিয়তের দৃষ্টিতে এ সকল ইবাদত করতে তার কোনো বাধা নেই।

মাতলামী দূর হওয়ার পর তার জন্য পবিত্র হওয়া ও নামাজ পড়া ফরজ। বিধিগতভাবে ৪০ দিন নাপাক ধরা যাবে না।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

চল্লিশ দিনের নাপাকির কথাটি কোরআন হাদিস অনুসারে সঠিক নয়। তবে চল্লিশ দিন সে ব্যাক্তি সালাতের ফজিলত থেকে বঞ্চিত হবে,এ বিষয়ে সহিহ হাদিস রয়েছে। ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস রাসুল সাঃ বলেছেন,

"প্রত্যেক বুদ্ধি-জ্ঞান বিনষ্টকারী বস্তু হলো শরাব। আর প্রত্যেক নেশা সৃষ্টিকারী বস্তুই হারাম। কাজেই, যে শরাব পান করে, তার চল্লিশ দিনের সালাতের (ছওয়াব) কম হয়ে যায়। এরপর যদি সে তওবা করে, তবে আল্লাহ্‌ তার তওবা কবুল করেন। এভাবে যদি সে চতুর্থবারও শরাব পান করে, তখন আল্লাহ্‌র জন্য এটি অপরিহার্য হয়ে দাঁড়ায় যে, তিনি তাকে 'তীনাতুল খাবাল' পান করাবেন। তখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়ঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! 'তীনাতুল খাবাল' কি? তিনি বলেনঃ জাহান্নামবাসীদের পুঁজ। একই ভাবে, যে ব্যক্তি কোন কম বয়েসী বাচ্চাকে, যে হালাল-হারাম সম্পর্কে কিছুই জানে না, শরাব পান করায়, তবে আল্লাহ অবশ্যই তাকে জাহান্নামীদের পুঁজ পান করাবেন।" (সূনান আবু দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) হাদিস নং ৩৬৩৯)

তবে এক্ষেত্রে বুদ্ধি বিনষ্টকারী পর্যায়ে চলে গেলে এটি প্রযোজ্য। এছাড়াও হারামের গুনাহ তো রয়েছেই। আল্লাহ সবাইকে এসব থেকে দূরে থাকার তৌফিক দান করুন(আমিন)।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Abu Taher

Call

গাজা সেবন করলে শরীর নাপাক হয়না

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ