সাথে SSD আছে। ল্যাপটপটা পুরাতন । আমি চিন্তিত এগুলো লাগালে ল্যাপটপ টা কি স্পিডে চলবে। নাকি হ্যাং করবে?


Share with your friends
Anynomous

Call

bottleneck হয়ার সম্ভাবনা থেকে যাবে অনেকাংশে। চলুন একটু বিস্তারিত বলি এই বিষয়ে। 

একটা বোতল ভর্তি পানি আছে, আপনি যদি পানিটা ঢেলে দেন, তাহলে কিন্তু পানিটা একবারে নিচে পরে যাবে নাহ। আসতে আসতে পরতে থাকবে এবং এক সময় বোতল খালি হবে। 

এখন বোতল থেকে আসতে আসতে পানি পরার কারণ টা কিন্তু শুধু মাত্র বোতলের মুখ, কারণ সমস্ত বোতলের অনেক প্রস্থ থাকলেও, বোতলের মুখের প্রস্থ কিন্তু কম। তাই পানি পরার বিষয়টা ধীর হয়ে গেছে।


কম্পিউটার/ল্যাপ্টপের ক্ষেত্রেও এমন ঘটনা ঘটে, দেখা গেল যে আপনার সব ডিভাইস ও পার্টস অনেক হাই কনফিগারেশনের, কিন্তু বোতলের মুখের মতো কোন একটা লো কনফিগারেশনের পার্ট এর কারনে আপনার পিসি স্লো করছে, আর এই জিনিসটাকেই বলে bottleneck

আশা করি এখন বুঝতে পেরেছেন যে শুধু এসএসডি এবং র‍্যাম-ই একটা ডিভাইসের সব কিছু না।

ধন্যবাদ

Talk Doctor Online in Bissoy App
Waruf

Call

আপনি কি কাজ করবেন যে আপনার ১৮ জিবি র‍্যাম দরকার। আর যার কাজটাই ১৮ জিবি র‍্যামের সে কখনো এই চিন্তা করেনা। নতুন ডিভাইস কিনে ফেলে।


যাই হোক। ১৮ জিবি র‍্যাম আপনার ল্যাপটপে সাপোর্ট করবে কিনা সেটা আগে দেখুন। আর স্পিড র‍্যামের  বেশি র‍্যামের উপর নির্ভর করেনা। প্রসেসর, ডাটাবাস ইত্যাদির উপর নির্ভর করে।

ধরুন একটি প্রসেসর এর বাস স্পিড ৮০০। অপারেটিং সিস্টেম এর জন্য জায়গা লাগে ১ জিবি র‍্যাম। রানুং সার্ভিস এর জন্য আর ১ জিবি। ধরুন কোন প্রোগ্রাম ফাইল ১জিবি এর বেশিনা(ফাইল সাইজ নয়, এক্সিকিউটেবল কোড মেমোরি সাইজ) তাহলে জিবি র‍্যাম যথেষ্ট। যদি এতে আপনি ৮ জিবি র‍্যাম লাগান তবে, প্রোগ্রাম ফাইলের ধারন ক্ষমতা বাড়বে। কিন্তু স্পিড বাড়বেনা। ১৮ হোক বা ৩২ জিবি র‍্যাম, স্পিড আর বাড়বেইনা।


র‍্যাম কোন ধরনের স্পিড বাড়ায়?

ধরুন আপনার র‍্যাম ২ জিবি। সিস্টেম নিয়ে নিচ্ছে ১.৫জিবি বাকি থাকল ইউজেবল র‍্যাম 0.5 জিবি। এখন যদি আপনি এমন কোন প্রোগ্রাম চালান যার মেমরী সাইজ ১ জিবি। তাহলে প্রথম 0.৪ জিবি ডাটা র‍্যামে আসবে। র‍্যাম প্রথম থেকে কাজ শুরু করে শেষ নামাবে। এখন প্রথম ০.২ জিবি কাজ শেষ হলে র‍্যাম ডাটা ফাইল ক্যাশ করে নিজে মুছে ফাকা করে বাকি ডাটা ফাইল লোড নেবে। এভাবে এগুবে। এখন যদি কোন এক যায়গায় প্রথম কাজের ফাইল গুলো আবার দরকার হয় তাহলে ক্যাশ থেকে আবার র‍্যামে ফিরিয়ে আনতে স্লো করে। র‍্যাম যদি ৪ জিবি হত। তাহলে র‍্যামকে এই সময় ডাটা ফাইল মুছতে হত না। পুনরায় লোড নিতে হতনা, কাজটা স্মুথ হত। এই হল বেশি র‍্যামে কাজ।

কিন্তু ধরুন আপনার পিসির কাজের ক্ষমতা সেকেন্ডে ১০০ তাহলে আপনি ৮ বা ১৬ জিবি র‍্যাম লাগালে বেড়ে স্পিড ৮০০ বা ১৬০০ হবেনা। র‍্যাম কখনো এই স্পিড বাড়ায় না। 

এই স্পিড র‍্যামের ভার্সন বাড়াতে পারে কিন্তু তার জন্য প্রসেসরও আলাদা, মাদার বোর্ডও আলাদা। ddr3 এর কাজের গতি ১৩৩৩ বাস সেখানে ddr4 এর কাজের গতি ২২০০ বাস

Talk Doctor Online in Bissoy App