সকালে কোন ধরনের খাবার খাওয়া ভালো।ভাত না রুটি।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Manik Raj

Call

ডিম ডিমকে বলা হয় ‘সুপারফুড’। ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেলস। প্রোটিনের সব চাইতে ভালো উৎস হচ্ছে ডিম। এবং এতে ক্যালোরিও থাকে বেশ কম। সকালের নাস্তায় অবশ্যই প্রত্যেকের ডিম খাওয়া উচিৎ। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ হিসেবে সকালে ২ টি ডিম খেলেই যথেষ্ট। তবে যারা একটু বেশি স্বাস্থ্যবান তাদের ডিমের কুসুম এড়িয়ে যাওয়া উচিৎ। সকালে ডিম সেদ্ধ বা ডিমের অমলেট দিয়ে নাস্তা সারতে পারেন। সবজি খিচুড়ি যারা ভাত জাতীয় খাবার খেয়ে অভ্যস্ত তারা ভাতের বদলে সকালের নাস্তায় রাখতে পারেন খিচুড়ি। তবে অবশ্যই সবজি খিচুড়ি। চালের পরিমাণ কমিয়ে বেশি পরিমাণে সবজি দিয়ে রান্না করা সবজি খিচুড়ি দিয়ে সেরে নিতে পারেন সকালের নাস্তা। এতে করে ভারী নাস্তা করা হলেও দেহে পৌঁছাবে পুষ্টি। ফলমূল সকালের নাস্তার জন্য সব চাইতে ভালো খাবার হচ্ছে ফলমূল। কলা, আপেল, কমলা, স্ট্রবেরি, আঙুর ইত্যাদি ধরণের ফলমূল অথবা মৌসুমি ফলমূল দিয়ে সকালের নাস্তা করা সব চাইতে ভালো। ২ টি কলা, ১ টি আপেল, ১ টি কমলা, ২/৩ টি স্ট্রবেরি এভাবে শুধুমাত্র ফল দিয়ে নাস্তা করা সকালের জন্য ভালো। চাইলে ফলমূল দিয়ে সালাদের মত তৈরি করেও খেতে পারেন। আটার রুটি সকালের নাস্তার জন্য বেশ ভালো একটি খাবার হচ্ছে আটার রুটি। বিশেষ করে যারা ভারী খাবার পছন্দ করেন। সকালে পাউরুটি বা ভাত খাবার চাইতে আটার রুটি সবজি ভাজি বা ডিম অথবা ঝোলের তরকারি কিংবা কলা দিয়ে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ভালো। এছাড়া রুটি বেশ ভালো এনার্জি সরবরাহ করে আমাদের দেহে যা পুরো দিনই রাখবে সতেজ। তবে অবশ্যই তেলে ভাজা পরটা থেকে দূরে থাকবেন। সালাদ সালাদ শুনে চোখ কপালে তোলার কোন কারণ নেই। সালাদ মানেই যে শসা, টমেটো এবং গাজরের হতে হবে এমন কোন কারণ নেই। স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এই সকল সবজির সাথে সালাদে ব্যবহার করতে পারেন সেদ্ধ ডিম বা সেদ্ধ মাংস অথবা সেদ্ধ ছোলাবুট। এছাড়া খেতে পারেন ফলমূলের সালাদ। এইসব ধরণের সালাদ স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এবং দিনের শুরুটা চমৎকার করতে বেশ কার্যকরী। ওটস ওটস জিনিসটা খেতে ভালো না লাগলেও এটি আমাদের দেহের জন্য অনেক ভালো একটি খাবার। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। ওজন কমাতে এবং কলেস্টোরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওটসের জুড়ি নেই। সকালে হাবিজাবি খাবার বাদ দিয়ে একবাটি ওটস রাখুন। তবে কোন ফ্লেভারড বা চিনিযুক্ত ওটমিল খাবেন না। চিনির পরিবর্তে মধু এবং সাথে কিছু ফলমূল যোগ করে নিতে পারেন। দই দিনের শুরুটা দই দিয়ে শুরু হোক অনেকেই তা চান না। কিন্তু দই দেহের জন্য অনেক বেশি কার্যকরী একটি খাবার। এবং এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম যা হাড়ের গঠনে কাজ করে। দিনের শুরু দই দিয়ে করলে পুরো দিন আপনার দেহে থাকবে অফুরন্ত এনার্জি। ক্লান্তি স্পর্শ করবে না দিনের শেষেও। সুতরাং সকালের নাস্তায় কিছু ফলমূলের পাশাপাশি রাখুন দই। সূত্র - প্রিয়.কম

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

ভাত রুটি উভয়টার ব্যপারেই ভলো বলা হয়েছে সুতরাং আপনি যেটা খেয়ে সস্তিবোধ করেন সেটাই আপনার জন্য বেস্ট ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

খাদ্যগুণ বিচার করতে গেলে একদিক থেকে ভাতের চেয়ে আটার রুটি বেশি ভালো। কারণ রুটি অনেক বেশি তাপশক্তি বা ক্যালরি উত্‍পাদন সক্ষম। যেমন, আধা ছটাক চাল থেকে পাওয়া যায় ১০২.১ ক্যালরি আর আধা ছটাক আটা থেকে পাওয়া যায় ৯৬.৪ ক্যালরি। কিন্তু যখনই রান্না হয়, তখন দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। চাল থেকে যখন ভাত তৈরি হলো তখন চালের ক্যালরি ১০২.১ থেকে নেমে দাঁড়ায় ৫৬.৭। অথচ আটার ক্যালরি ৯৬.৪ রুটি হয়ে দাঁড়ায় ১০১.২। সাদা ধবধবে চালের প্রতি মানুষের দুর্বলতা রয়েছে। কিন্তু ওই বেশি-ছাঁটা চালে ভিটামিন কম থাকে। আবার যখন ভাতের মাড় বা ফ্যান ফেলে দিয়ে রান্না করা হয় তখন বাদ পড়ে যায় প্রোটিন, খনিজ লবণ ও ভিটামিনের বড় একটা অংশ। গমের তুষের ক্ষেত্রেও একই ভুল করা হয়। আটা চেলে নিয়ে রুটি বানানো হয়। অথচ গমের তুষে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি১ বা থায়ামিন থাকে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

সকালের নাস্তা টা পরিপূর্ণ ভাবে না খেলে সারাটা দিন কেমন যেন একটু খাপছাড়া লাগে l তাই আমি চেষ্টা করি সকালের নাস্তা টা পরিপূর্ণ ভাবে করতে l সকালের নাস্তায় আমার পছন্দের শীর্ষে রয়েছে পরোটা আর ভুনা মাংস l সপ্তাহে ২ দিন পরোটা আর ভুনা মাংশ দিয়ে নাস্তা করি l তাছাড়া রুটির সাথে মিক্সড সবজি ও আমার বেশ পছন্দের l সপ্তাহে ৬ দিন পরোটা, রুটি বা পাউরুটি দিয়ে নাস্তা করলেও ছুটিরদিনে সকালের নাস্তায় খিচুরী টা বেশ পছন্দের l নাস্তা খাওয়ার সময় বলতে সপ্তাহে ৬ দিন সকাল ৬:৪৫ টায় ঘুম থেকে উঠে শাওয়ার নিয়ে ৭:৩০ টার মধ্যে নাস্তা সেড়ে ফেলি অতপর কিছুক্ষণ পায়চারির মাধ্যমে অফিসের প্রস্তুতি ( পোশাক পরিধান) সম্পন্ন করি ঠিক ৮ টা বাজলে হাতে চায়ের কাপ চলে আসে l চা শেষ করেই মোজা আর জুতা পরিধান করে ঠিক ৮:১৫ টায় ঘর থেকে বের হই l ঘর থেকে বের হতেই অফিসের গাড়ি পাই তাই এইরকম টাইট একটা রুটিনে চলি আর কখনো কোনো ঘটনাক্রমে অফিসের গাড়ি না থাকলে সময়টাকে একটু এগিয়ে নেই l আর স্বাভাবিক ভাবে ছুটির দিনে একটু বেশি ঘুমায় ৮:৩০ ঘুম থেকে উঠে ব্যক্তিগত কাজ বা বাজারে যাওয়া লাগলে যাই বা অন্যান্য কাজ সেরে ৯:৩০ টায় সকালের নাস্তা করি l আপাতত এই হচ্ছে আমার রুটিন l বি: দ্র: প্রয়োজন ভেদে রুটিন পরিবর্তন হয়ে থাকে l

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
RanaRana

Call

সকালের নাস্তা খাওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় মেনে চলা অনেক জরুরি। কেননা বেলা করে নাস্তা খেলে তা কিন্তু আর সকালের নাস্তার পর্যায়ে পড়ে না। সকাল ৮ থেকে সাড়ে ৮টার এর মধ্যে সকালের নাস্তা খেলে ভালো। এ ক্ষেত্রে রুটি, সবজি, ডিম, রঙ চা, দুধ, ব্রেড, ফল, চিড়া, দই, সুজি ইত্যাদি খাবারকে রকমফের করে সুষম নাস্তা খাওয়া যেতে পারে। সকালের নাস্তা খাওয়ার ২০ মিনিট পর পানি এবং চা খাওয়া যেতে পারে। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে সব বয়সের মানুষের সঠিকভাবে নির্দিষ্ট পরিমাণে সকালে নাস্তা খেতে হবে। এতে জীবন হবে সুন্দর, উপভোগ্য।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ