শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

ওহী সাত প্রকার : (এক) সত্য স্বপ্ন-স্বপ্নের মাধ্যমে রসূল্লাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর ওহী নাযিল। (দুই) ফেরেশতা তাঁকে দেখা না দিয়ে তাঁর মনে কথা বসিয়ে দিত। যেমন প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন যে, রহুল কুদুস আমার মনে একথা বসিয়ে দিলেন যে, কোন মানুষ তার জন্যে নিধারিত রেযেক পাওয়ার আগে মৃত্যুবরণ করে না। কাজেই আল্লাহকে ভয় করো এবং ভালো জিনিস তালাশ করো। রেযেক পেতে বিলম্ব হলে আল্লাহর নাফরমানী মাধ্যমে রেযেক তালাশ করে না। কেননা আল্লাহর কাছে যা কিছু রয়েছে, সেটা তাঁর আনুগত্য ছাড়া পাওয়া যায় না। (তিন) ফেরেশতা মানুষের আকৃতি ধরে তাকে সম্বোধন করতেন। তিনি যা কিছু বলতেন, প্রিয় নবী রসূল্লাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা মূখস্ত করে নিতেন। এ সময় কখনো কখনো সাহাবারাও ফেরেশতাদের দেখতে পেতেন। (চার) রসূল্লাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে ওহী ঘন্টাধ্বনির মতো টন টন শব্দে আসতো। এটি ছিলো ওহী সবচেয়ে কঠোর অবস্থা। এ অবস্থায় ফেরেশতায় তাঁর সাথে দেখা করতেন প্রচন্ড শীতের মওসুম হলেও প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘেমে যেতেন। তাঁর কপাল থেকে ঘাম ঝরে পড়তো। তিনি উটের ওপর সওয়ার থাকলে মাটিতে বসে পড়তেন। একবার হযরত যায়েদ ইবনে যায়েদ ইবনে সাবেতের উরুর ওপর তাঁর উরু থাকা অবস্থায় ওহী এলো, হযরত যায়েত এতো ভারি বোধ করলেন যে, তাঁর উরু থেতলে যাওয়ার অবস্থা হলো। (পাঁচ) তিনি ফেরেশতাকে তাঁর প্রকৃত চেহারায় দেখাতেন। সেই অবস্থায়ই আল্লাহর ইচ্ছায় তাঁর ওপর ওহী নাযিল হতো। দু’বার এরূপ হয়েছিলো। পাক কোরআনে সূরা নাজম-এ আল্লাহ তায়ালা সে কথা উল্লেখ করেছেন। (ছয়) মেরাজের রাতে নামায ফরজ হওয়া এবং অন্যান্য বিষয়ক ওহী আকাশে নাযিল হয়েছিলো। প্রিয় নবী তখন আকাশে ছিলেন। (সাত) ফেরেশতার মাধ্যম ছাড়া আল্লাহর সরাসরি কথা বলা। হযরত মূসা (আ) এর সাথে আল্লাহর তায়ালা যেমন কথা বলেছিলেন। হযরত মূসা (আ) এর সাথে আল্লাহর কথা বলার প্রমাণ কোরআনে রয়েছে। প্রিয় নবীর সাথে আল্লাহর কথা বলার প্রমাণ মে’রাজের হাদীসে রয়েছে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

অহি প্রথমত দুই প্রকার ১ পঠিত অহী ২ অপঠিত অহী।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আল্লাহ তা’আলা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) -এর নিকট যে ওহী পাঠাতেন তা ছিল দু প্রকারের। 

প্রথম প্রকার ওহী কুরআন, যা তিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে পাঠানো শব্দ ও অর্থসহ আক্ষরিকভাবে মুখস্থ করতেন, সাহাবীদেরকে মুখস্থ করাতেন এবং লিখাতেন। 

দ্বিতীয় প্রকার ওহীর মূল অর্থ, ‘জ্ঞান’ বা ‘প্রজ্ঞা’ আল্লাহ তাঁর উপর নাযিল করতেন। তিনি নিজের ভাষায় তা সাহাবীদেরকে বলতেন, শিক্ষা দিতেন, মুখস্থ করাতেন এবং কখনো কখনো লিখাতেন। 

কুরআন কারীমে বিভিন্ন স্থানে প্রথম প্রকার ওহীকে ‘কিতাব’ বা গ্রন্থ এবং দ্বিতীয় প্রকার ওহীকে ‘হিকমাহ’ বা প্রজ্ঞা বলে অভিহিত করা হয়েছে। একস্থানে মহান আল্লাহ বলেন:
لَقَدْ مَنَّ اللَّهُ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ إِذْ بَعَثَ فِيهِمْ رَسُولا مِنْ أَنْفُسِهِمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آَيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِنْ كَانُوا مِنْ قَبْلُ لَفِي ضَلالٍ مُبِينٍ
“আল্লাহ মুমিনদের প্রতি অবশ্য অনুগ্রহ করেছেন যে, তিনি তাদের নিজেদের মধ্য থেকে তাদের নিকট রাসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাঁর আয়াত তাদের নিকট আবৃত্তি করেন, তাদেরকে পরিশোধন করেন এবং কিতাব ও হিকমাহ তাদেরকে শিক্ষা দেন, যদিও তারা পূর্বে স্পষ্ট বিভ্রান্তির মধ্যেই ছিল।”
( সূরা (৩) আল-ইমরান: ১৬৪ আয়াত। আরো দেখুন: সূরা বাকারা: ১২৯, ১৫১, ২৩১ আয়াত; সূরা নিসা: ১১৩ আয়াত; সূরা আহযাব ৩৪ আয়াত; সূরা জুমুআহ ২ আয়াত)


এই দ্বিতীয় প্রকারের ওহী ‘হাদীস’ বা ‘সুন্নাত’ নামে পৃথক ভাবে সংকলিত ও সংরক্ষিত হয়েছে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

ওহী দুই প্রকার, ১)ওহী মাতলু ও ২)ওহী গাইর মাতলু।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ