ধনুষ্টংকার (টিটেনাস) থেকে রক্ষ পাওয়ার জন্য টিটি টিকা নিতে হয়। আমাদের দেশে অনেক মহিলা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সন্তান জন্ম দেন। ফলে মা ও শিশুর ধনুষ্টংকার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। বাচ্চার নাড়ি কাটার সময় জীবাণুমুক্ত ব্লেড ও সুতা ব্যবহার না করলে ধনুষ্টংকারের জীবাণু শরীরে ঢুকে যায় এবং রোগে নবজাত শিশু মারা যায়। এসব কারণে সন্তান ধারণের উপযুক্ত বয়সী সব মহিলার এ টিকা নেয়া উচিৎ। সারাজীবনে মেয়েদের মত ছেলেদেরও ৫ বার টিটি টিকা নেয়া উচিৎ। যে-কোন ব্যক্তিরই যে-কোন মুহূর্তে কাটা ছেঁড়ার মাধ্যমে ধনুষ্টংকারের জীবাণু দেহে প্রবেশ করে ধনুষ্টংকার হতে পারে। যেহেতু আমাদের দেশে অনেক নবজাত শিশু ধনুষ্টংকার রোগে মারা যায়, তাই ১৫-৪৯ বছর বয়সী সব মেয়েদের টিটি টিকার দেয়ার জন্য সরকারী বেসরকারি কর্মসূচি রয়েছে। সারাজীবনে ৫ বার টিটি টিকা নিতে হয়। এ টিকা যে-কোন সময়ে নেয়া যায়। তবে সরকারী কর্মসূচি অনুযায়ী ১৫ বছর বয়স থেকে টিকা দেয়া শুরু করতে হয় এবং নীচের সময়সূচি অনুযায়ী সারাজীবনে ৫ বার টিটি টিকা দিতে হয়। পুরা ডোজ শেষ করতে মোট ২ বছর ৭ মাস সময় লাগে। টিটি ১ম ডোজ ১৫ বছর পূর্ণ হবার পর অথবা গর্ভবতী হলে ৪র্থ মাস থেকে। টিটি ২য় ডোস টিটি ১ম ডোস দেয়ার ৪ সপ্তাহ পর। টিটি ৩য় ডোস টিটি ২য় ডোস দেয়ার ৬ মাস পর অথবা পরবর্তী গর্ভবতী অবস্থায়। টিটি ৪র্থ ডোস দেয়ার ১ বছর পর অথবা পরবর্তী গর্ভবতী অবস্থায়। টিটি ৫ম ডোজ টিটি ৪র্থ ডোস দেয়ার ১ বছর পর অথবা পরবর্তী গর্ভবতী অবস্থায়।