রোজা রাখা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভাঙ্গে না। কিন্তু গোসল ফরজ হয়। ফরজ গোসলে গড়গড়া সহ কুলি করতে হয়। কিন্তু গড়গড়া সহ কুলি করতে গেলে রোজা ভেঙ্গে যেতে পারে। এক্ষেত্রে ফরজ গোসল কি গড়গড়া বাদেই করবে? 
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

রোজা রেখে স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভাংগে না। ফরজ গুসল করতে হয়। সেক্ষেত্রে ফরজ গুসলের ফরজ ৩ টী। ১) কুলি করা (গরগরাসহ) ২) নাকে পানি দেয়া। ৩) সমস্ত শরির ধৌত করা। রোজা রেখে ঘরঘরা করলে রোজা ভাংগার সম্ভাবনা থাকে যদি মুখের ভিতর পানি যায় সেজন্য। আপনি ঘরঘরা সহ কুলি করবেন তবে লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে মুখের ভিতর পানি না যায়। তারপর ২ হাত কব্জি পর‍্যন্ত ধৌত করবেন। তারপর ডান হাতের পানি বাম হাতে নিয়ে বাম হাত দিয়ে নাপাক স্থান পরিস্কার করবেন। তারপর ওজু করে গোসল করবেন। বিঃ দ্রঃ ফরজ গোসলের পর ওজু করতে হয় না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আগে জানতে হবে গড়গড়া ও নাকে পানি না দিয়ে গোসল করলে গোসল হয় নাকি হয় না। কেউ ‍যদি গড়গড়া ও নাকে পানি না দিয়ে গোসলে করে ফেলে এবং গোসলের পর মনে হয় সে গড়গড়া ও নাকে পানি দেয় নি তাহলে তার গোসল হবে না। কিন্তু সে যদি গোসলের পর গড়গড়া ও নাকে পানি দিয়ে ফেলে তাহলে তার গোসল হয়ে যাবে। যদিও তা গোসলের অনেক পর হয়। সুতরাং প্রশ্নউল্লেখিত সুরতে দেখা যাচ্ছে যে, লোকটি রোজা ভঙ্গ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় গড়গড়া করতে পরছেনা। তাই সে গড়গড়া বাদেই গোসল করে ফেলবে এবং ইফতারের পর গড়গড়া করে ফেলবে। তাহলে কথা হলো গড়গড়া বাদে তো তার গোসল এখনো হয় নাই, তাহলে সে নামাজ পড়বে কিভাবে? যেমন যোহরের সময় সপ্নদোষ হল তাহলে সে আসরের নামায পড়বে কিভাবে? এর উত্তর হলো, তার গড়গড়া করতেই হবে। এক্ষেত্রে তার পরিপূর্ণ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যাতে ভুলেও তার মুখের ভিতর এক ফুটা পানি না চলে যায়। গেলে কিন্তু তার রোজা ভেঙ্গে যাবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ