শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

বাংলাদেশ এ সফল ইউটিউবার হাতেগোনা কয়েকজন এই আছে।


সফল ইউটিউবারের উদাহরণ টানতে গেলে প্রথমেই আসেন আয়মান সাদিক। তিনি একজন বাংলাদেশি ব্যক্তিত্ব, বক্তা, এবং অনলাইন শিক্ষক। ২০১৫ সালের মার্চ মাসে তাঁর হাত ধরে উঠে আসে “১০ মিনিট স্কুল” নামক একটি অনলাইন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা অনলাইনে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য এবং সহযোগীতা বিনামূল্যে দিয়ে থাকে।


তারপর আছেন সালমান মুক্তাদির। SalmoN The BrownFish নামক একটি চ্যানেলের মাধ্যমে হাস্যরসাত্মক ভিডিও আপ্লোড করে যিনি মানুষকে প্রতিনিয়ত বিনোদন দিয়ে যাচ্ছেন।

এছাড়াও সোলায়মান সুখন, রাবা খান, শামীম হাসান সরকার, আসিফ বিন আজাদ, রিদি শেখসহ অনেক নামকরা ইউটিউবার তাদের যোগ্যতা ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ইউটিউব জগৎ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) হিসাব মতে, সর্বশেষ গত নভেম্বর পর্যন্ত দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৯ কোটি ৯৫ লাখ ৫০ হাজার। এর মধ্যে শুধু মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন ৯ কোটি ৩৩ লাখ ১৫ হাজার মানুষ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশে ইন্টারনেট সুবিধা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফেইসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। বর্তমানে দেশের কয়েক হাজার মানুষ ইউটিউবে কাজ করছেন। যদিও বর্তমানে বাংলাদেশে কতজন ইউটিউবার রয়েছেন তার সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি। 


ইউটিউব থেকে আয় নিয়ে টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিক দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘এটা ঠিক যে ইউটিউব অনেক বড় একটি মাধ্যম মেধা ও প্রতিভা প্রকাশের।’ তবে পেশা হিসেবে ইউটিউব বেছে নেওয়ার সময় এখনো আসেনি বলে তার মত।


এটা সেই ২০১৫ সালের কথা । এবার আসি main পয়েন্ট এ । বর্তমানে বাংলাদেশ মোটেই পিছিয়ে নেই ইউটিউব এর মত বড়ো ক্ষেত্রে । তবে অনেক সীমাব্ধতা রয়েছে আমাদের যার কারণে এখনো পুরোপুরি 

পেশা হিসেবে ইউটিউব বেছে নেওয়ার সময় এখনো আসেনি । তবে অনেক অংশে হয়ে গেছে । 


বাংলাদেশে ইউটিউবারদের সীমাবদ্ধতা : ইউটিউবে ভিডিও প্রকাশ করলেই যে আয় করা যায় বিষয়টি এমন নয়। কোনো চ্যানেল খোলার পর বছরে ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার ও ৪ হাজার ঘণ্টা ভিউ অর্জন করলে চ্যানেলটিতে আয়ের জন্য বা বিজ্ঞাপনের (মনিটাইজেশন) জন্য আবেদন করতে পারে চ্যানেলটি। এরপর যাচাই-বাছাই করে গুগল আবেদনটি অনুমোদন করতে পারে আবার নাও করতে পারে। কিন্তু অনেক তরুণ এর চ্যানেল আছে কিন্তু পর্যাপ্ত সময় ও ধর্যো নেই বলে তারা ইউটিউব ছেড়ে দেয় ।

এছাড়া ভিডিও প্রকাশের ক্ষেত্রে কপিরাইট ও কমিউনিটি গাইডলাইন নামে দুটি ক্যাটাগরিতে ইউটিউবের নিজস্ব কিছু নিয়মকানুন রয়েছে। যদিও এটাকে কোনো প্রতিবন্ধকতা নয় বরং ইউটিউবকে পরিচ্ছন্ন রাখতে এই নিয়মের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করা উচিত।

 বাংলাদেশি ইউটিউবার দের নিজ থেকে কিছু না করে কপি করার প্রবণতা বেশি ফলে তারা মনিটাইজ পায় না । এতে তারা আর ইউটিউব করা আগ্রহ ই পান না।


এছাড়া বাংলাদেশের সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভিডিও করলে ইউটিউব থেকে অনেক ধরনের রিপোর্ট প্রায় যায় । আর যার ফলে এই ধরনের কন্টেন্ট এ ইউটিউবার আগ্রহী হন না । বাংলাদেশের ইউটিউবাররা সবচেয়ে বেশি প্রতিবন্ধকতার শিকার হন (গুগলের মনিটাইজেশনঅনুমোদিত বিজ্ঞাপন) নিয়ে। চ্যানেলের লোকেশনে ‘বাংলাদেশ’ নামটি ব্যবহার করায় অনেক চ্যানেল মনিটাইজেশন পায় না ।




এই সব কারণে বাংলদেশে ইউটিউব থেকে আয় অনেক অংশে কম ।


((এই বিষয় নিয়ে কাজ করছে আমাদের বাংলদেশে সরকার ))



ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ