শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Jobedali

Call

জি. এম ফসল হচ্ছে এমন এক ধরনের ফসল যার মধ্যে বিশেষ কারণে অন্য একটা অসমগোত্রীয় প্রাণীর জিন সন্নিবেশ করে একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য যুক্ত করা হয়েছে জৈব প্রযুক্তি পদ্ধতি বা জৈব প্রকৌশল বিদ্যার মাধ্যমে। 

সাধারণভাবে অধিক উৎপাদন পাওয়ার লক্ষ্যে এবং বিশেষ ধরনের রোগ পোকা মাকড় ও আগাছার হাত থেকে সহজে সংশ্লিষ্ট ফসল বা সবজি কে রক্ষার জন্যে জি.এম ফসলের প্রবর্তন করা হয়ে থাকে। জি.এম ফসল প্রবর্তনের আরো কিছু সুনির্দিষ্ট সুবিধা রয়েছে; যেমন: 

  • (১) অধিক পুষ্টি উপাদান সংযোজিত হতে পারে; 
  • (২) রোগ ,পোকা মাকড় ও আগাছা প্রতিরোধী হতে পারে; 
  • (৩) প্রতিকূল পরিবেশে জন্মাতে পারে; 
  • (৪) কোন বালাইনাশক ব্যবহার করা লাগবে না; 
  • (৫) সহজে পচবে না এবং অধিক সময় অব্দি সংরক্ষণ করা যাবে; 
  • (৬) বিশ্বব্যাপী ক্ষুধা মন্দা রোধে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে কারণ ৩য় বিশ্বের দেশে প্রতি ২ সেকেণ্ডে একজন করে শিশু মারা যায় অনাহারে, খাদ্যের অভাবে; 
  • (৭) কম জমিতে অধিক ফসল পাওয়া যায়।

এ তো গেল জি.এম খাদ্যের সুবিধা এবার এ ধরনের খাদ্যের কিছু প্রতিবন্ধকতার কথা জেনে নেয়া যাক: 

  • (১) জি. এম খাদ্যে যে বিশেষ ধরনের জিন সংশ্লেষ করা হয়ে থাকে সেটার অন্য কোন কোন বিশেষ নেতিবাচক বৈশিষ্ট্য আছে কিনা সেটা তেমন একটা বিবেচনা করা হয় না; 
  • (২) বিশেষ কোন বৈশিষ্ট্যের কারণে অন্য কোন ধরনের উদ্ভিদের সৃষ্টি হয়ে আমাদের জীব বৈচিত্র্য কে ক্ষতি করতে পারে; 
  • (৩) কোন বিশেষ রোগ ও পোকা প্রতিরোধী জাত তৈরির ফলে কোন বিশেষ ধরনের সুপার রোগ পোকার জীবাণূ ও আগাছার সৃষ্টি হতে পারে; 
  • (৪) জি এম উদ্ভিদ নিকটবর্তী একই ধরনের জাতের সাথে পরাগায়নের মাধ্যমে আমাদের বিশেষ কৃষি পরিবেশ ক্ষতি করতে পারে; 
  • (৫) মানব স্বাস্থ্যের উপরে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ