কামরসে কি লুঙ্গি নষ্ট/নাপাক হবে। এখন আপনি লুংগি ধৌত করে অজু করে নামায পড়বেন।
রেফারেন্স নাম্বার ১। সাহল ইবনু হুসাইফ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমার অত্যধিক মযী নির্গত হত তাই আমি অধিক গোসল করতাম। অতঃপর আমি এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করি তিনি বলেন, মযী বের হওয়ার পর অজু করাই যথেষ্ট। তখন আমি বলি, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আমার কাপড়ে মযী লাগলে কি করব? তিনি বলেনঃ কাপড়ের যে যে স্থানে মযীর নিদর্শন দেখবে, এক আজলা পানি নিয়ে উক্ত স্থান হালকাভাবে ধুয়ে নিবে, যাতে তা দূরীভূত হয়।
(সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ), অধ্যায়ঃ ১/ পবিত্রতা, হাদিস নম্বরঃ ২১০ হাদিসের মানঃ সহিহ)।
রেফারেন্স নাম্বার ২। মিকদাদ ইবনুল আস্ওয়াদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আলী ইবনু আবূ তাসিব (রাঃ) আমাকে নির্দেশ দেন যে, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করি যে, কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর নিকটবর্তী হলে (উত্তেজনাবসত) মযী নির্গত হয়। এমতাবস্থায় করণীয় কি? আলী (রাঃ) বলেন, যেহেতু তার কন্যা আমার পত্নী, সে কারণে আমি নিজে তাকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে লজ্জা বোধ করি। মিকদাদ (রাঃ) বলেন, অতঃপর আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করি। তিনি বলেন, তোমাদের কারো যখন এরূপ অবস্হা হবে তখন তার উচিত স্বীয় লিঙ্গ ধৌত করা; অতঃপর নামাযের অজুর ন্যায় অজু করা।
(সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ), অধ্যায়ঃ ১/ পবিত্রতা, হাদিস নম্বরঃ ২০৭ হাদিসের মানঃ সহিহ)।
কামরস লাগলে অবশ্যই নাপাক হয়ে যাবে শরীর/ লুঙ্গি। আর নামাজ পড়ার জন্য কমরস যেখানে লাগে উক্ত স্থান ধৌত করা অবশ্যক অতবা গোসল করা।
আপনি গোসলের পূর্বে স্ত্রীর সাথে রুমান্স করবেন তাছাড়াও রাতে এশার নামাজের পর থেকে ফজরের পূর্ব পর্যন্ত করবেন, তারপর ফরজ গোসল করে ফজরের নামাজ আদায় করবেন।
আর বিশেষ করে রুমান্সত করবেনই তবে সাপ্তাহে দু-তিন দিনের বেশি সহবাস করবেন না। সাপ্তাহিক দুই-তিনবার সহবাস করা স্বাভাবিক, স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তাছাড়াও নিয়ম অনুযায়ী সহবাস করলে আপনার ইবাদত পালনের ক্ষেত্রেও বিঘ্নতা ঘটবে না।