ডিপ্রেশন একটি জটিল রোগ। কেন এ রোগ হয় নির্দিষ্ট করে কারো পক্ষেই তা বলা সম্ভব না। তবে অনেকের ক্ষেত্রেই কিছু কমন কারণ থাকে যার জন্য এ রোগের উৎপত্তি হতে পারে।
১. অপমানবোধ
মানসিক বা শারীরিকভাবে অবমাননার স্বীকার হলে অনেকে ডিপ্রেশন বা বিষন্নতায় আক্রান্ত হয়।
২. নিরাপত্তাহীনতা বা একাকীত্ব
সামাজিক ও পারিবারিক নিরাপত্তাহীনতার কারণে অনেকে বিষন্নতার স্বীকার হয়। তাছাড়া, বাবা-মা, বন্ধু-বান্ধব বা অন্যান্য কাছের মানুষদের সাথে সম্পর্কহীনতা বা মতবিরোধ থেকেও অনেকে বিষন্নতায় ভোগে থাকে।
৩. মৃত্যুশোক
কাছের মানুষের মৃত্যু অনেকের ক্ষেত্রে বিষন্নতার ঝুঁকি বাড়ায়।
৪. বংশগত প্রভাব
পরিবারে কারো ডিপ্রেশন থাকলে তা অন্যদের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে।
৫. জীবন পদ্ধতিতে বড় ধরণের পরিবর্তন
জীবনে বড় কোন পরিবর্তন ঘটলে তা থেকে অনেকে বিষন্নতায় ভুগে। চাকরি হারালে, অবসরে গেলে, আয় কমে গেলে, জায়গা পরিবর্তন করলে, বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটলে, এমনকি, নতুন বিয়ে করলেও অনেকে ডিপ্রেশনের শিকার হয়।
৬. বড় কোন রোগের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
বড় ধরণের কোন রোগ থাকলে রোগী ডিপ্রেশনের শিকার হতে পারে।
৭. ঔষধের প্রভাব
নির্দিষ্ট কিছু ঔষধ সেবনের ফলেও কেউ কেউ বিষন্নতায় আক্রান্ত হয়। যেমন, ব্রণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত আইসোট্রেটিনিয়ন বা অ্যান্টিভাইরাল ‘ইন্টারফেরন-আলফা’ জাতীয় ঔষধ সেবনেও অনেকে বিষন্নতায় আক্রান্ত হয়।
এছাড়াও বিভিন্ন কারণে মানুষ বিষন্নতায় ভুগে থাকে। ব্যক্তিভেদে বিষন্নতার কারণে পার্থক্য দেখা যায়।