বিধর্মীদের জীবনে অনেক ভালো কাজ থাকে, তারপরও এরা জান্নাতে যাবে না। কেন যাবে না আসুন জেনে নেই।   

১) রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নবুওয়তের পর 'প্রথম এবং প্রধান' দাওয়াত ছিল মানুষদিগকে আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাস স্থাপন করানো।

'এসব ভালো কাজ করো, ওসব মন্দ কাজ বর্জন করো' এটা প্রথম কাজ ছিল না।

২) কবরের প্রথম প্রশ্ন 'মান রব্বুকা' তোমার রব কে? 

প্রথমেই জিজ্ঞেস করবে না 'তুমি কি কি ভালো কাজ করেছো বল?'

পৃথিবীতে ইসলাম ছাড়া যত ধর্ম আছে, সবাই তাদের খোদার সাথে কাউকে না কাউকে অংশীদার করে। তাদের খোদা একাধিক। যখন কারো খোদাই একাধিক হয়ে পড়ে তখন আর তাদের হৃদয়ে স্থিতি থাকে না। বেহুশ হয়ে সব খোদার দিকে ছুটতে থাকে।

ইসলামের মূল ভিত্তি হলো ঈমান। আরবি 'আমন' শব্দ থেকে ঈমান শব্দের উৎপত্তি। যার অর্থ -হৃদয়ের স্থিতি।

আল্লাহ তায়া’লা বলেন," আর কেউ ঈমান প্রত্যাখ্যান করলে তার কর্ম বিনষ্ট বা নিষ্ফল হবে এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।" (সূরা মায়িদা- ৫)

অর্থাৎ কারো যদি ঈমানই না থাকে তবে তার সকল কর্ম বিনষ্ট হবে৷ এরপরও ঘুরিয়ে প্যাঁচিয়ে প্রশ্ন হতে পারে, সে তো ভালো কাজ করলো। তাহলে তার ভালো কাজের কি হলো?

একটা ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে কিছু পথ সোজা চলতে পারে কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে না। ঠিক তেমনি একটা লোক কিছু ভালো কাজ করতে পারে কিন্তু জান্নাত পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে না। আর সে ভালো কাজ করলে একান্তই নিজের ইচ্ছায় করবে, আল্লাহ তায়া’লার নির্দেশের কারনে নয়।  এদের জন্যেও আল্লাহর বাণী সুস্পষ্ট।

আল্লাহ বলেন, "যে ব্যক্তি আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত পথনির্দেশনা ছাড়া নিজের ইচ্ছে বা মতের অনুসরণ করে তার চেয়ে বিভ্রান্ত আর কেউ নয়। নিশ্চয়ই আল্লাহ জালিম সম্প্রদায়কে হেদায়েত করেন না" (সূরা কাসাস- ৫০)

~ হাসিব খান।


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে