না ছিল না।

মূর্তি পূজা মানেই হিন্দু ধর্ম বলা যাবে না । হিন্দুইজম কে ধর্ম বলা যাবে কিনা তা নিয়েও অনেক যুক্তি আছে।হিন্দু শব্দটিই প্রথম ব্যবহার করে বিট্রিশরা। তারাই সর্বপ্রথম এটি HINDU নাম দেন। তাই আরবের কেউ মূর্তি পূজা করলেই যে সে হিন্দু তা বলা কুযুক্তি ছাড়া কিছু নয়।

১)যেমন গ্রীক দেবতাদের কাহিনী এবং যে ধর্ম, নীতি ও দর্শনের সাথে হিন্দু ধর্মের মিল নেই। 
২)বৌদ্ধরাও বৌদ্ধ মূর্তি পূজা করে তার মানে এটা নয় যে তারা হিন্দু। 
৩)মিশরীয় সভ্যতায় (1) সৌর দেবতা রা, (2)রহস্যময় দেবতা আমুন এবং(3)মাতৃ দেবী আইসিস এর পূজা করতো তার মানে তারা হিন্দু নয়।দেবতা আলাদা সবই আলাদা।
৫) পাগ্যানদের ধর্ম মূর্ত পূজা করতো কিন্তু তাদেরও হিন্দু বলা যাবে না।
এদের প্রত্যেকটি ধর্মই নিজস্ব নিজস্ব দেবতা ছিল এবং সেসব দেবতার নিজেদের নিজস্ব কাহিনীও বিদ্যমান ছিল। যেমন টি হিন্দু ধর্মে আছে শিব পার্বতী বা রাম,রামায়ন ইত্যাদি কাহিনীর মত। যেগুলোও আলাদা। তাই মূর্তি পূজা করলেই সে হিন্দু বলা যাবে না।

আরবে মক্কা, মদিনা যে তিন দেবীর কথা বলা হয় তারা হল 
আল-লাত (আরবি: اللات‎‎) বা আল্লাত বলা হত পাতালের দেবী।
আল-উজ্জা (আরবি: العزى‎‎) বলা হত আরবের উর্বরতার দেবী। 
মনাত (আরবি: مناة‎‎) বলা হতো ভাগ্যের দেবী।
এদের তিনজনকে আরবরা আল্লাহর কন্যা বলে মনে করতো।

তিনজনের কথা কুরানে বলা আছে তা হল :
সুরা নাজমের আয়াত:
(১৯)তোমরা কি ভেবে দেখেছ লাত ও উযযা সম্বন্ধে?(২০)তাহলে কি পুত্র-সন্তান তোমাদের জন্য এবং কন্যা-সন্তান আল্লাহর জন্য?(২১)এবং তৃতীয় আরেকটি ‘মানাত’ সম্বন্ধে?(২২)এ ধরণের বন্টনতো অসঙ্গত।(২৩)এগুলির কতক নামমাত্র যা তোমাদের পূর্ব-পুরুষরা ও তোমরা রেখেছ, যার সমর্থনে আল্লাহ কোন দলীল প্রেরণ করেননি। তারাতো অনুমান এবং নিজেদের প্রবৃত্তিরই অনুসরণ করে, অথচ তাদের নিকট তাদের রবের পথনির্দেশ এসেছে।

মুশরিকরা বিশ্বাস করতো যে ভগবান/প্রভুর ৩ মেয়ে আছে। কিন্তু ইসলাম এসেছে মুশরিকদের এই মিথ্যা ধারণা দূর করে দিল যে আল্লাহ/প্রভু/ঈশ্বরের ৩ কন্যা নেই। থাকতে পারে না।

সুরা ইখলাস :

বলঃ তিনিই আল্লাহ, একক/অদ্বিতীয়।আল্লাহ কারও মুখাপেক্ষী নন।তাঁর কোন সন্তান নেই এবং তিনিও কারও সন্তান নন এবং তাঁর সমতুল্য কেহই নেই।

এখন আপনার প্রশ্ন হল নবীর মাতা-পিতা বা তার বংশধর হিন্দু ছিল কিনা? না তারা হিন্দু ছিল না। তারা কেউ হিন্দু পূজা রীতি নীতি বা বেদ এসব কিছু পালন করতো না।তার বংশের লোকেরা মারা গেলে কবর দিত কেউ দাহ করতো না। 
তাদের অনেকে মহানবী(সা:) আল্লাহ নিয়ে যা বলতো তা বিশ্বাস করতো কিন্তু তারা মুখে স্বীকার করতে চাইতো না কারণ কুরাঈস বংশ কে আরবে সে সময় অনেক সম্মান করা হত। তাদের রাস্তায় ডাকাত ধরলে ছেড়ে দিত। কারণ তারা কাবা ঘর এর রক্ষা বা দেখাশোনা করতো। তাদের বংশকে এজন্য সম্মান করতো। মক্কায় তাদের এজন্য প্রভাব ছিল অনেক। কাবা দেখাশোনা করার কারণে তারা মোড়লের মত ক্ষমতার অধিকারী ছিল। তারা ইসলাম স্বীকার করলে তাদের এসব ক্ষমতা চলে যাবে এবং তারা আর নিজেদের প্রভাব মক্কায় থাকবে না। তাই তারা ভয় পেত। 
এছাড়া মহানবী(সা:) এর মাতা-পিতা সর্ম্পকে তেমন কিছু জানা যায় না। কারণ তারা মহানবী(সা:) এর জন্মের আগেই মারা যান তার বাবা। মারা যাবার সময় তার বয়স ছিল ২৫। আর মহানবী(সা:) এর বয়স যখন ৬ বছর তখন মারা যান মা।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ