আমরা অনেকেই ইসরায়েলকে চিনে থাকি তাদের নিখুঁত গোয়েন্দাগিরি, আরব দেশগুলোর সাথে বৈরীতা এবং অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রের কারণে। তবে দেশটি প্রযুক্তি এবং আধুনিক কৃষি ব্যবস্থার মধ্যেও অনেক এগিয়ে। দেশটির চারপাশ ঘিরে শত্রুর অবস্থান হলেও এর মধ্যেও দেশটি টিকে রয়েছে। দেশটির সাথে ওআইসি ভুক্ত প্রায় সবগুলো দেশের সাথেই সরাসরি কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। বিশ্বে ইসরায়েল দেশটি নবীন হলেও এরই মধ্যে রটে গিয়েছে অনেক ইতিহাস এবং রেকর্ডের হাতছানি। তেমনি কিছু বিষয় দেখে নেওয়া যাক:-

  • আধুনিক ইসরায়েল মাত্র ৬৪ বছর পুরানো।
  • দেশটির মোট ভূখণ্ডের ৬০শতাংশই মরুভূমি। যদিও দেশটি তাদের খাদ্য প্রায় শতভাগ নিজেরাই উৎপাদন করে।
  • দেশটি অন্য যেইকোনো দেশের চেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। ফলে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে অন্য সব দেশের থেকে মাথাপিছু বেশি ব্যায় করে দেশটি।
  • মাথাপিছু সবচেয়ে বেশি জাদুঘর রয়েছে দেশটিতে।
  • দেশটিতে ১৪টি ধর্ম বিদ্যমান এবং ধর্ম পালন করার ক্ষেত্রে কোনো রকম বাধা প্রদান করা হয় না।
  • জাতিসংঘের ৩৩টি দেশ এখন পর্যন্ত ইসরায়েলকে দেশ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে নি।
  • মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোতে খেজুর গাছগুলো যেদিকে মাত্র ৩৮ পাউন্ড ফলন দেয় বছরে ওইদিকে ইসরায়েলের বিজ্ঞানীরা বছরে ৪০০ পাউন্ড ফলন দানকারী গাছের গোত্র আবিষ্কার করেছে।
  • বিশ্বের প্রথম সেলফোন মটোরোলার ইসরায়েলি শাখায় উৎপাদন হয়।
  • বেশিরভাগ 'উইন্ডোজ এক্সপি' ইসরায়েলে ডেভলপড করা হয়।
  • ইন্টেলের পেন্টিয়াম এমএমএস প্রসেসর ইসরায়েলে ডিজাইন করা হয়েছিল।
  • 'ভয়েস মেইল প্রযুক্তি' উদ্বোধন করা হয়েছিল ইসরায়েলে।
  • মাইক্রোসফট এবং সিসকো তাদের প্রথম বিদেশি 'আর অ্যান্ড ডি' অর্থাৎ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট শাখা খোলে ইসরায়েলে। বর্তমানে গুগল, আইবিএম, এইচপি, ইন্টেলের মতো বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর অত্যাধুনিক পণ্য বা সেবার অধিকাংশই এইদিকে ডেভলপড হয়।
  • মাথাপিছু পার্সোনাল কম্পিউটার এর পরিমাণ ইসরায়েলে সর্বোচ্চ।
  • বিশ্বে উচ্চশিক্ষায় ডিগ্রি গ্রহণের ক্ষেত্রে ইসরায়েলিরা দ্বিতীয় ( কানাডা প্রথম স্থানে রয়েছে)।
  • দেশটি বছরে মাথাপিছু সবচেয়ে বেশি বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র প্রকাশ করে ( ১৮০ টি প্রতি ১০,০০০ এ)। বর্তমানে নরওয়ে দেশটিকে পিছনে ফেলেছে।
  • ইসরায়েলে বিশ্বের যেই কোনো দেশের থেকে বেশি স্টার্টআপ রয়েছে বর্তমানে যা শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের থেকে কম ( প্রায় ৩৫০০ উপরে প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট স্টার্টআপ রয়েছে )।
  • অ্যাপলের একমাত্র আন্তর্জাতিক 'আর অ্যান্ড ডি' শাখা রয়েছে দেশটিতে।
  • ইসরায়েলি পুরুষ এবং মহিলাদের যথাক্রমে তিন বছর এবং দুই বছর সামরিক বাহিনীতে কর্মরত থাকা বাধ্যতামূলক।
  • দেশটি স্বাধীন হবার পরপরই বিখ্যাত বিজ্ঞানী আইনস্টাইনকে দেশটির প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য অফার দেওয়া হয়। যদিও তিনি তা বিনয়ের সাথে নাকচ করেন।
  • ইসরায়েলের 'হিউম্যান ডেভলপমেন্ট ইনডেক্স' ০.৮৮৮ যা উন্নত দেশ বেলজিয়াম এবং ডেনমার্কের কাছাকাছি। এছাড়াও দেশটির মাথাপিছু আয় সৌদি আরব এবং জর্ডানের থেকে বেশি।
  • মাথাপিছু নোবেল পুরস্কার গ্রহণের হারের দিক দিয়ে ইসরায়েলি বিজ্ঞানীদের অবস্থান ১১ তম এবং মোট নোবেল বিজয়ীদের দিক থেকে দেশটি চীন এবং ভারতের মতো জনবহুল দেশ থেকেও এগিয়ে।
  • প্রতি ১০,০০০ এর মধ্যে প্রায় ১৪৫ জন বিজ্ঞানী এবং টেকনিশিয়ান নিয়ে ইসরায়েল বিশ্বে নেতৃত্ব প্রদান করছে। যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং জার্মানির ক্ষেত্রে এই সংখ্যা যথাক্রমে ৮৫, ৭০ এবং ৬০।
  • বিশ্বের গুটিকয়েক দেশের মধ্যে ইসরায়েল রয়েছে যারা সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রযুক্তিতে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে।
  • ইজরায়েলের বাড়িগুলোর ৯৩ শতাংশ বাড়িই সৌর বিদ্যুৎ চালিত।
  • ইজরায়েলের কাছে এফ-১৬ এর সবচেয়ে বড় বহর রয়েছে এবং দেশটির বিমানবাহিনী বিশ্বে চতুর্থ বৃহৎ শক্তিশালী।

শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে