জীবাণুঃ পৃথিবীতে কতইনা জীব আছে। এই জীব সম্প্রদায়কে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ উদ্ভিদ ও প্রাণী। কিন্তু তা সত্বেও এমন কিছু জীব রয়েছে , যারা আদিকোষী, উদ্ভিদ দলে ফেলা যায়না, আবার প্রাণী দলেও ফেলা যায়না। আবার কিছুর উভয় বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আবার কিছু প্রায় জড় বস্তুর মত বৈশিষ্ট্য রয়েছে যদিও কোন এক সময় এদের জীবজ বৈশিষ্ট্য প্রদান করতে দেখা যায়। শ্রেণী বিন্যাস রীতিতে এদের অন্য এক জগতে স্থান দেওয়া হয়েছে। তথাপি এরা আদি থেকে বর্তমান আমাদের চারপাশেই বিদ্যমান। এদের অনেকে জীবানু নামে পরিচিত। যেমনঃ ব্যকটেরিয়া, ভাইরাস, এমিবা, রিকেটশিয়া, মাইকোপ্লাসজমা ইত্যাদি। আসলে যারা মানুষের ক্ষতি করে এবং আমরা দেখতে পাইনা এমন অতিক্ষুদ্র জীবদের জীবাণু বলে থাকি। তবে প্রকৃত অর্থে ক্ষতিকর ছাড়াও উপকারী বহু জীবানু রয়েছে। 

জীবানূরা আমাদের চারপাশ ছাড়াও নানা জায়গায় না পরিবেশে, অন্যজীবের দেহে বসবাস করে। এমনকি কতক জীবানূ বাতাসেও বসবাস করে।

ভাইরাসঃ ভাইরাস শব্দটির অর্থ হচ্ছে বিষময় তরল। আসলে বহু বছর আগে এক উদ্ভিদ রোগবিজ্ঞানী একটি রোগাক্রান্ত গাছের অংশ পানিতে দ্রবীভূত করে বা পানিতে ধুয়েসেই পানি আরেকটি সুস্থ্য গাছে প্রয়োগ করে কিছুদিন পর দেখেন যে, ঐ গাছটিও আগের গাছের একই রোগে রোগাক্রান্ত হয়েছে। তখন তিনি এই তরলের নামদেন বিষময় তরল বা ভাইরাস। 

ভাইরাস একটি আদিকোষী জীব। আসলে একে কোষীয় জীব বলা যাবেনা। কারন ভাইরাসের দেহ প্রকৃত কোষে গঠিত নয়। এদের পুরা দেহটি একটি প্রোটিনের আবরন দিয়া আবৃত। দেহের ভেতর ডীএনএ অথবা আরএনএ যেকোন একটি রয়েছে। দেহের বিভিন্ন উপাঙ্গ সবই শূধু প্রোটিন দিয়া গঠিন। অন্য কোন উপাদান বা অঙ্গাণু যেমননিউক্লিয়াস, মাইটোকন্ড্রিয়া, গলগি বডি, ইত্যাদি নাই। তবে প্রোটিন গঠনগত ভাবে বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন থাকতে পারে। ভাইরাস ছোট থেকে বড় হয়না। এটিখাদ্য গ্রহন করেনা। সর্বদা জড়বস্তুর ন্যায় আচরন করে। কেলাস হিসাবে ১০-২০ বছরেরও অধিক অবিকৃত থাকতে পারে। এটি কেবল উপযুক্ত পরিবেশে ও পোষক দেহে জীবনের বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে। এটি সংখ্যা বৃদ্ধি(বংশ বৃদ্ধি তবে এই বংশ বৃদ্ধিবলা হয়না)  করতে পারে। 

কোভিড-১৯ ভাইরাসঃ চীনের উহানে ২০১৯ সালের নভেম্বরের দিকে হঠাৎ একটি ভাইরাস পাওয়া যায়। যাতে মানুষ দ্রুত আক্রান্ত হয়। এবং এই আক্রান্ত মানুষের প্রাথমিক উপসর্গ হচ্ছে সর্দি কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট। চুড়ান্ত আক্রমন হলে মৃত্যু ঘটায়। এটি একটি অপরিচিত নতুন ভাইরাস বলেই শনাক্তকরন হয়। যেহেতু এটি মানুষের নাক, ফুসফুস বা করোনারী আক্রমনকরে তাই প্রাথমিক ভাবে এই ভাইরাসকে বোঝাতে করোনা ভাইরাস নামেই ডাকা হয়। পরে সর্বসম্মতি ক্রমে এই রোগকে রোগ, অঙ্গ, সাল ইত্যাদি বিবেচনা করে কোভিড-১৯ নাম দেওয়াহয়। এখানে ১৯ হচ্ছে ২০১৯ সালে এটি পাওয়া যায়। 

সংক্রমনঃ প্রাথমিক ভাবে জানা যায় যে, এই ভাইরাস মানুষের দেহে প্রবেশ করে নাক বা শ্বাসতন্ত্র বা ফুসফুসকে আক্রমন করে। সংক্রমনের ফলে নাকের সাইনাসে সর্দি জমে, নিউমোনিয়া রুপ ধারন করে। কিন্তু প্রধান সংক্রমন হয় ফুসফুসে। ভাইরাসটি ফুসফুসে আক্রমন করে ফুসফুসকে নষ্ট করে দেয়। ফুসফুসের এলভিওলাইতে তরল জমিয়ে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করে দেয় ফলে রোগীর শ্বাস্কষ্ট হয়। এবং দেহ অক্সিজেনের অভাবে ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায়। 

কিন্তু মৃতু মানুষের পোস্টমডেম রিপোর্ট থেকে সম্প্রতি জানা যায় যে এটি ফুসফুসকেখুব বেশি নষ্ট করেনা। ভাইরাসটি মূলত লোহিত রক্তকনিকায় আবদ্ধ হয়ে রক্ত কণিকার অক্সিজেন  আত্তীকরন বন্ধ করে দেয় বলে লোহিত রক্ত কণিকা অক্সিজেন নিতে না পারায় শ্বাসদেহে অক্সিজেনের ঘাটটি দেখা দেয় এবং শ্বাস কষ্ট হাপানি চূড়ান্ত রুপ নেয়।  এভাবে কোভিড ১৯ ভাইরাসটি মানুষকে সংক্রমন করে ফলে মানুষের মৃত্যু ঘটে। এই আর্টিকেল লেখাপর্যন্ত এই ভাইরাসের আক্রমনেমৃতের সংখ্যা প্রায় ২ লাখ ৩হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। এবং ভাইরাসটি সকল দেশেই ছড়িয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও অফিসিয়াল স্বীকারক্তিমূলক রিপোর্ট হিসাবে ১৮৫ টি দেশে ছড়িয়েছে। 

বিস্তরণঃ ভাইরাসটি সম্পূর্ন নতুন। তাই এটির স্বভাব, বাসস্থান, ছড়ানোর প্রক্রিয়া ইত্যাদির নিশ্চিত কোন তথ্য নাই। অস্থায়ী ভাবে এই পর্যন্ত যাপাওয়া গেছে সেই অনুযায়ী ভাইরাসটি প্রথম ছিল হয়ত বাদুরের দেহে যদিও তা নিশ্চিত নয়।তারপর এটি কোন এক প্রক্রিয়ায় বনরুইবা প্যাঙোলিন নামক এক বন্য প্রাণীতে যায়। এরপর এই বনরুই চীনে বেয়াইনী পাচারের মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে, কারন চীনে এটির মাংস খাওয়া হয় এবং স্থানীয় কবিরাজ গ্রূপের মানুষ এর আইশ দিয়া ওষধ বানায়। 

প্রাথমিক মানুষের দেহে আসার পর এটি মানুষথেকে মানুষে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ধারনা করা হয় যে, আক্রান্ত মানুষের হাচি কাশি ইত্যাদির মাধ্যমে ভাইরাসটি ওয়াটার ড্রপলেটের সাথে বাইরের বাতাসে ছড়ায় তারপর অন্য মানুষের দেহে ছড়িয়ে পড়ে। বাতাস এই ড্রপলেট কিছুদূরে বিস্তরন ঘটায় ফলে বহু মানুষ সহজেই শ্বাসের সাথে থা গ্রহন করে আক্রান্ত হয়। 

কোভিড-১৯ এর জীবনীঃ এই ভাইরাস সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য না থাকায় ভাইরাসের জীবনী সম্পর্কে বলা মুশকিল। তবে অনেক বিজ্ঞানীগন দেখেছেন যে, শুষ্ক শীতল স্থানে এরা এক সপ্তাহ পর্যন্ত বেচে থাকতে পারে। এছাড়া কপারের মসৃন গায়ে ৪৮ ঘন্টা বেচে থাকে। তেমনি দরজার হাতল, প্লাস্টিক ইত্যাদির উপর ৪ -৮ ঘন্টা বেচে থাকতে পারে। কোন কোন গবেষনা বলছে যে উষ্ণ এবং আদ্র পরিবেশে এটি সহজেই মারা যায়। 

চিকিৎসাঃ যেহেতু এটি একটি নতুন ভাইরাস। তাই এর ঔষধ এখনো আবিষ্কার হয়নি বলে কার্যকরী কোন চিকিৎসা নাই। তবে ম্যালেরিয়ায় ব্যবহৃত ওষধসহ কিছু ঔষধ কাজ করে বলে যানা গেছে। তবুও তা প্রমানিত নয়। বিজ্ঞানীরা গবেষনা চালিয়ে যাচ্ছেন একটি কার্যকরী ঔষধের জন্য। ইতঃমধ্যে কয়েকটি ঔষধের প্ররীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছে। তাই বর্তমানে প্রতিরোধ হচ্ছে কার্যকরী ব্যবস্থা।

প্রতিরোধঃ কোভিড-১৯ মারাত্মক নয়বলে কিছু বিজ্ঞানীগন মত দিয়াছেন। কারন হচ্ছে আক্রান্ত হওয়া মানুষের তুলনায় মৃত্যু অনেক কম। যদিও বহু মানুষ মারা গেছেন তবে তা আক্রান্ত সংখ্যার তুলনায় কম। এই ভাইরাসের বিপদজনক দিক হচ্ছে সোয়াচের মত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। 

বর্তমানে এই ভাইরাস থেকে পরিত্রানের প্রধান উপায় হচ্ছে মাস্ক ব্যবহার। কিন্তু আমাদের আগে জানতে হবে যে মাস্ক আদৌ কতটুকু কার্যকর? আসলে মাস্ক কখনো ভাইরাসকে আটকাতে পারেনা। ভাইরাস হচ্ছে অতি ক্ষুদ্র বা জীবের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্র। সাধারন অনবীক্ষন যন্ত্রেও এদের দেখা যায়না। এদের দেখতে অতি উচ্চ ইলেক্ট্রন অনুবীক্ষন যন্ত্রের দরকার হয়। 

তাহলে কি মাস্ক পরবনা? অবশ্যই পরবেন। এক মাত্র মাস্কই ভরসা। মাস্ক ভাইরাসকে ফিল্টার করে আটকাতে পারেনা ঠিকই কিন্তু যেহেতু এই ভাইরাস হাচিকাশির ড্রপলেটের মাধ্যমে বাতাসে ছড়ায় তাই মাস্ক এই ওয়াটার ড্রপ আটকে দিতে পারে, ওয়াটার ড্রপলেট মাস্কের গায়ে আসলে মাস্ক শোষন করে ভাইরাসকে এটকে রাখে। ভাইরাসকে মুখে বা নাকে ছড়াতে দেয় না। অন্য দিকে জনাকীর্ন স্থানে অনেক মানুষ মুখোমুখি হলেই নিশ্বাসের বাতার প্রবাহিত হয়ে অন্যের নাকে যায়। মাস্ক এখানে এই সরাসরি আদ্র বাতাসকে আটকে ভাইরাসকে বাধা দেয়। একারনে মাস্ক জরুরী। তথাপি মাস্ক পরলেই আপনি সুরক্ষিত তা বলা যাবেনা।এবং মাস্ক যদি প্রতিদিন ব্যবহারের পর ধৌত নাকরেন তবে তা খুব কমই কাজ দেবে। ধরুন আজ সকালে মাস্কপরে বাজার করতে গেলেন । সেই মাস্ক না ধুয়ে আবার বিকেলে পরলেন। এখন যদি বাজার থেকে ভাইরাস মাস্কে আটকে যেয়ে থাকে তবে তা সহজে আপনার মুখে ছড়াতে পারে। তবে হ্যা ঐ মাস্ক দুই তিন দিন রেখে ব্যবহার করলে রিস্ক কিছুটা কম হয়। কেননা দেখা গেছে যে সুতি বস্ত্রে বা এসব জামা কাপড় বা মাস্কে করোনা ভাইরাস বেশিক্ষন বাচে না। 

এছাড়া পরিস্কার পরিচ্ছন্নতাও একান্ত জরুরী। রাস্তায় বের হলে এই ভাইরাস জামা কাপড় জুতা, চুল ইত্যাদিতে লেগে যেতে পারে। তবে হ্যা জামায় একটু কমই লাগে, যদি না কেউ সরাসরি সম্মুখে এসে হাচি না দেয়। কারন বাতাসে ভাসমান ভাইরাস যখন আমরা স্লো গতিতে চলি তখন বাতাস দুপাশ দিয়া পেছনে চলে যায় । যেমন বাস গাড়ী বাতাসকে ঠেলে চলার সময় ধুলা বালি সামনের গ্লাসে লাগার আগেই প্রেশার গতির জন্য দুপাশে ঠেলে চলে যায়। তবে উচ্চ গতি এবং এলোমেলো বাতাস কিছুটা লাগিয়ে দিতে পারে। 

সারাদিন সাবধানে চলাফেরা করে বাসায় ফিরে ভাবলেন নিশ্চিন্ত! না যদি না আপনি সাবান দিয়া হাত পা ভাল ভাবে ধৌত না করেন। জুতা ধৌত না করেন তবে আপনি সেফ নন। কেননা রাস্তায় করোনা আক্রান্ত কেউ থু থু ফেললে যদি তা আপনার জুতার তলায় লাগে তবে তুচ্ছ জুতা থেকেই আপনি আক্রান্ত হতে পারেন। তাই সাবধানতা ও সতর্কতা সবদিক থেকেই রাখতে হবে। কোন তুচ্ছ বিষয়েও।

করোনা আক্রান্ত সন্দেহ কেউ মারা গেলে কি করবেনঃ আমরা প্রায় খবরে শুনি যে শ্বাস কষ্টে মারা গেছেন। কিন্তু তাদের খবর দিতে দেয়া হচ্ছে না। কেউ তাদের পাশে যাচ্ছেনা। প্রশাসনকেও স্থানীয় এলাকা বা অন্য এলাকায় কবর দিতে দেয়া হচ্ছেনা। এই বিষয়টি অতি খারাপ। আপনি যে দয়া দেখাচ্ছেন না তাই খারাপ তা নয়। করোনা ছড়াতে সাহায্য করছেন আপনি , তাই খারাপ। কিভাবে? ধরুন কেউ মারা গেছেন। তার পাশে আপনি যাচ্ছেন না ঠিক আছে। কিন্তু প্রটেক্টেড জিনিস পরে দ্রুত লাশ ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী কবর দেয়া উচিত। ধরুন আপনি কবর দিচ্ছেন না বা অন্যকে কবর দিতে দিচ্ছেন না। তাহলে হবে কি? ঐ লাশ থেকে ভাইরাস চারপাশে ছড়িয়ে পড়বে। তাহলে লাভ লস কার হল? আপনারা এলাকার সুনাগরিক। আপনারা দায়িত্ব পালন করছেন না। পুলিশকেও সহযোগীতা করছেন না। দল বেধে কবর দিতে বাধা দিচ্ছেন। এটা কি ভাল কথা? যদি পুলিশ বিরক্ত হয়ে চলে যায় , তখন আপনি কি করবেন? মৃত লাশকে কি বলবেন যে, যান এখান থেকে চলে যান? নাকি পরিবারকে দোষারোপ করবেন? সে যাই করেন আপনাদের এই ব্যবহারে কেউ যদি ফেলে চলে যায় তাহলে লাশ পচবে। দুর্গন্ধ ছড়াবে। শেয়াল কুকুর মাছি পচা খেয়ে চারপাশে যাবে। এতে লাশ থেকেই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়বে। আক্রান্ত হবেন আপনি ক। ক্ষতি আপনার।

অন্য দিকে পলিথিন ভাল করে মূড়ে। লাশের গায়ে জীবানু নাশোক দিয়া কবর দিলে কখনোই ভাইরাস ছড়াবেনা। ভাইরাসের হাত পা নাই। তারা নিজেরা চলাফেরা করতে পারেনা। কবর থেকে উঠেও আসতে পারেনা। তাউ আবার পলিথিন ভেদ করে আসার প্রশ্নই আসে না। তার উপর জীবানূ নাশোক দেয়ায় ভাইরাস ভেতরে মারা যাবে। কাজেই আক্রান্ত হলে দ্রুত কবর দেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। হ্যা যদি আপনার কাছে পিপিই না থাকে তবে প্রশাসনকে দ্রুত খবর দিন। তাদের সহযোগীতা করুন। 

উপসংহারঃ সর্বপরী আমাদের এই সংকটে একত্রে সহযোগীতা মুলক কাজ করা উচিত। নিয়ম গুলো মেনে চলা উচিত। বিচ্ছিন্ন ভাবে সেচ্ছাচারিতা এক জনের জন্য পূরা গ্রাম, শহর ও দেশ ভুগবে। আপনি বলতেই পারেন না যে “ আমার খেয়ে আমি বেড়াই, তোর কথা শোনার দায় আমার নয়” এটি গায়ের জোরে বলতেই পারেন কিন্তু ভাইরাস থামাতে পারবেন না। ভাবুনত। কোথায় মাত্র এক বা দুই ব্যক্তি হয়ত প্রথম আক্রান্ত হয়েছিল। যাদের কোন গুরুত্বই নাই, আমরা চিনিওনা। কিন্তু আজ সেইখান থেকে বিশ্বে ছড়িয়েছে।  তাই আসুন আপাতত এই সময়ে নিজের ক্ষমতার জোর। টাকার জোর, গৌরব ইত্যাদি ভুলে একত্রে কাজ করি, তবেই করোনাকে আমরা পরাজিত করতে পারব, নতুবা কে জানে কতদিন এটি আমাদের ভোগাবে !


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে