অনেক সময় মনের ভুলে বা বেখেয়ালে মানুষের জিনিস-পত্র হারিয়ে যায়। হারানো জিনিস ফিরে পেতে রয়েছে কুরআনি আমল। মানুষ যখন তাঁর কোনো জিনিস হারিয়ে ফেলে তখন কুরআনি আমল করলে হারিয়ে যাওয়া সম্পদ ফিরে পাওয়া যায়। হারানো সম্পদ ফিরে পাওয়ার কুরআনি আমল তুলে ধরা হলো-উচ্চারণ : ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউ’ন। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১৫৬)আমলটির ফজিলত>> কোনো জিনিস হারিয়ে গেলে যে ব্যক্তি সহিহ নিয়তে কুরআন কারিমের এ আয়াতখানি তিলাওয়াত করতে করতে হারানো জিনিস অনুসন্ধান করে, নিশ্চয় সে হারানো জিনিস পেয়ে যায়। অথবা এ আমলের ফলে আল্লাহ তাআলা হারানো জিনিসের চেয়েও উত্তম বস্তু দান করেন।>> কোনো জিনিস হারিয়ে গেলে অথবা অপহরণ করা হলে এ আয়াতখানি ২৯ বার এবং সুরা দোহা ৭ বার পাঠ করতে হয়। তবে এ আমলদ্বয়ের প্রথমে এবং শেষে অবশ্যই ১১ বার দরূদ পাঠ করতে হবে। এ আমল করলেও হারানো বস্তু ফিরে পাওয়া যায়।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হারানো জিনিস ফিরে পেতে কুরআনের ফজিলতপূর্ণ আমলগুলো যথাযথ নিয়মে আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
সর্বোত্তম উপায়:হারানো জিনিস ফিরে পেতে রয়েছে কুরআনি আমল। মানুষ যখন তাঁর কোনো জিনিস হারিয়ে ফেলে তখন কুরআনি আমল করলে হারিয়ে যাওয়া সম্পদ ফিরে পাওয়া যায়। হারানো সম্পদ ফিরে পাওয়ার কুরআনি আমল তুলে ধরা হলো-উচ্চারণ : ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউ’ন। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১৫৬)আমলটির ফজিলত>> কোনো জিনিস হারিয়ে গেলে যে ব্যক্তি সহিহ নিয়তে কুরআন কারিমের এ আয়াতখানি তিলাওয়াত করতে করতে হারানো জিনিস অনুসন্ধান করে, নিশ্চয় সে হারানো জিনিস পেয়ে যায়। অথবা এ আমলের ফলে আল্লাহ তাআলা হারানো জিনিসের চেয়েও উত্তম বস্তু দান করেন।>> কোনো জিনিস হারিয়ে গেলে অথবা অপহরণ করা হলে এ আয়াতখানি ২৯ বার এবং সুরা দোহা ৭ বার পাঠ করতে হয়। তবে এ আমলদ্বয়ের প্রথমে এবং শেষে অবশ্যই ১১ বার দরূদ পাঠ করতে হবে। এ আমল করলেও হারানো বস্তু ফিরে পাওয়া যায়
প্রচেষ্টা:
১. খোঁজা বাদ দিন
এ বিষয়টি অনেক ক্ষেত্রে অদ্ভুত বলে মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে তাড়াহুড়া করে কোনোকিছু খুঁজতে গিয়ে কোনো উপকার পাওয়া যায় না। কোনো জিনিস হারিয়েছে যাওয়ার পর তা দ্রুত খুঁজে বের করতে গিয়ে আরও ঝামেলায় পড়তে পারেন। এ কারণে সবচেয়ে যুক্তিসঙ্গত উপায়টি হলো, মাথা ঠাণ্ডা করে এ বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করে দেখা। জিনিসটি কোথায় হারিয়েছে কিংবা কোথায় পাওয়া যাবে, এ বিষয়ে কিছুটা ধারণা না পাওয়া পর্যন্ত খোঁজা বন্ধ করুন।
২. যেখানে থাকতে পারে, সেখানে খুঁজুন
অধিকাংশ সময় কোনো জিনিস হারানোর পর দেখা যায়, জিনিসটি যথাস্থানেই একটু ভিন্নভাবে বা আড়ালে ছিল। তাই জিনিসটি যেখানে থাকতে পারে সেখানে খুঁজে দেখাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে এদিক ওদিক খোঁজাখুঁজি না করে যেখানে থাকতে পারে, সেখানেই খুঁজে দেখুন।
৩. আশপাশে খুঁজে দেখুন
জিনিস হারিয়ে গেলে যেখানে তা থাকার কথা তার আশপাশে খুঁজে দেখুন। সে স্থানের চেয়ে বেশি দূরে খুঁজে দেখার আগে আশপাশটাই ঠাণ্ডা মাথায় ভালো করে খুঁজে দেখুন। এরপর ধীরে ধীরে আওতা বাড়াতে পারেন।
৪. যেখানে ছিলেন, সেখানটা খুঁজে দেখুন
ধরুন আপনার হাত থেকে কিছু একটা পড়ে গেছে। এখন আপনি যে জায়গাতে আগে ছিলেন, সেখানেই ভালো করে খুঁজে দেখুন। এরপর মনে করার চেষ্টা করুন, কোন পরিস্থিতিতে তা হারিয়ে যেতে পারে। যেমন আপনার পকেট থেকে মানিব্যাগ বের করার সময় পকেটে থাকা অন্য কোনো জিনিস পড়ে যেতে পারে।
৫. ক্যামোফ্লেজ থেকে সাবধান
অনেক সময় আপনার সামনেই থাকে হারিয়ে যাওয়া বস্তুটি। কিন্তু আপনি তা ‘ক্যামোফ্লেজ’ প্রক্রিয়ার কারণে দেখতে পান না। এ কারণে সামনে থাকা জিনিসগুলোর মাঝেই তা ভালোভাবে খুঁজে দেখুন।
৬. নিজেকে দিয়ে শুরু করুন
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হারানো জিনিস খুব কাছাকাছি থাকে। আর তা খুঁজে পেতে গলদঘর্ম হতে হয়। যেমন অনেকেই চশমা মাথায় আটকে তা খুঁজতে থাকেন। অনেকে আবার মোবাইল ফোন কিংবা চাবির রিং হাতে রেখেই তা খুঁজতে লেগে যান। কোনোকিছু হারালে তাই সবার আগে নিজেকে পুরোপুরি খুঁজে নিন।
৭. আশপাশ গুছিয়ে নিন
অগোছালো ও নোংরা পরিবেশে কোনো জিনিস সহজেই হারিয়ে যেতে পারে। তাই অগোছালো স্থান গুছানো শুরু করলে অনেক সময় নিজে থেকেই হারানো জিনিস খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়।
ইনশাল্লাহ এসব উপায়ে হারানো জিনিস খুঁজে পেতে পারেন।