শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Mahadi

Call

জগদানন্দ রায় তাঁর ‘বাংলার পাখী’ তে জানিয়েছেন, ‘কোকিলরা বারোমাসই আমাদের দেশে থাকে। আষাঢ় মাস হলেই তাদের গলার স্বর বন্ধ হয়ে যায়, তাদের স্ফূর্ত্তিও কমে যায়। ...এই কয়টা মাস তারা গাছের আড়ালে লুকিয়ে অশ্বত্থ, বট প্রভৃতির ফল ও পোকামাকড় খেয়ে কাটায়।’  

যে কুহু কুহু মধুর তানে বসন্তকালে আকাশ-বাতাস মুখরিত হয়, তা মূলত পুরুষ কোকিলের। স্ত্রী কোকিলের গলার স্বর ভাঙা ভাঙা, বিশ্রী।

স্বভাবে স্ত্রী কোকিলরা খুবই লাজুক। তবে ডিম পাড়ার সময়ে মরিয়া হয়ে যায়। জগদানন্দ রায়ের বর্ণনা অনুযায়ী, এ সময় স্বামী স্ত্রীর যৌথ প্রয়াস বেশ মজাদার এবং কতকটা নির্মমও।  আসলে কাকের কাছে তো জগতের সব কিছুই অপছন্দের। আর সব কিছুর দিকেই তার তেড়ে যাওয়া স্বভাব। কোকিল কাকের বাসায় ডিম পাড়ার সময় কাকের এই স্বভাবটাকেই কাজে লাগায়। কাকের বাসার সামনে এসে পুরুষ কোকিল ‘কু-উ’ ‘কু-উ’ করে ডাকতে থাকে। কাক বাসা ছেড়ে পুরুষ কোকিলের দিকে তেড়ে যায়। পুরুষ কোকিলটি তখন পালাবার ভান করে কাককে পিছনে ছুটিয়ে বাসা থেকে অনেকটা দূরে নিয়ে যায়। এতক্ষণ গাছের পাতার আড়ালে লুকিয়ে থাকা স্ত্রী কোকিলটি এ বার বের হয়ে  আসে। তারপর তাড়াতাড়ি কাকের বাসায় ঢুকে গিয়ে সে ডিম পাড়ে। এ সময় কাকের ডিমের জন্য তার  নিজের ডিমের স্থান সঙ্কুলান না হলে, কাকের ডিম বাসা থেকে ফেলে দিতেও সে দ্বিধা করে না। 

বসন্তকাল কোকিলের প্রজনন মৌসুম। তাই পুরুষ কোকিল এভাবে ডাকে। মূলত, কোকিল সারাবছরই থাকে। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ