ফার্মেসি দিতে চাইলে বিভিন্ন ওষুধ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা থাকতে হবে। শুধু ওষুধের নাম জানলেই হবে না। কোন ওষুধ কী কাজে লাগে সে সম্পর্কেও জানতে হবে। প্রথম দিকে অল্প পুঁজি দিয়েও ব্যবসা শুরু করতে পারেন। সাধারণ দোকানের তুলনায় ফার্মেসি বেশ সম্মানজনক ব্যবসা। এখানে লাভও ভালো। কোম্পানিভেদে বিক্রির উপর ১২% থেকে ২৫% পার্সেন্ট লাভ থাকে।
প্রথমেই ফার্মেসি খুলে বসার আগে তার ফরমালিটি এবং অবশ্যকরণীয় ব্যাপারগুলো বলা যাক-
ব্যবসার অন্যান্য আনুসাঙ্গিক প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সাথে আরো অতিরিক্ত করতে হবে ফার্মাসিস্টের ট্রেনিং এবং ড্রাগ লাইসেন্স। ওষুধ তিনিই বিক্রি করতে পারবে যার ফার্মাসিস্ট ট্রেনিং আছে এবং যিনি ড্রাগ লাইসেন্স পেয়েছেন। ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়া ওষুধের ব্যবসা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং আইনগতভাবে এটি একটি দন্ডনীয় অপরাধ। আর ওষুধ ব্যবসার জন্যে অতি প্রয়োজনীয় এই ড্রাগ লাইসেন্সটি ইস্যু করে বাংলাদেশ সরকারের ‘ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর’। এবং উক্ত ড্রাগ লাইসেন্সটি অর্জন করতে হলে ‘বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল’ থেকে আপনাকে ছয় মাসের একটি ফার্মাসিষ্ট ট্রেনিং কোর্স সম্পন্ন করতে হবে।
ড্রাগ লাইসেন্সের জন্যে আবেদন করতে যা প্রয়োজনঃ
১। ট্রেড লাইসেন্স
২। টি.আই.এন সনদপত্রের ফটোকপি
৩। পাসপোর্ট সাইজের ছবি
৪। ব্যাংক একাউন্ট এবং ব্যাংক সচ্ছলতার সনদপত্র
৫। দোকান ভাড়ার রসিদ/চুক্তিপত্র (নিজস্ব দোকানের ক্ষেত্রে দলিলের সত্যায়িত ফটোকপি)
৬। ফার্মাসিস্ট ট্রেনিং এর সনদপত্রের ফটোকপি
৭। নাগরিকত্বের সনদপত্র/ভোটার আই.ডি কার্ডের ফটোকপি
৮। ফার্মাসিস্টের অঙ্গীকারপত্র [ফরম নম্বর-৭] (যথাযথ ভাবে পূরণকৃত)
আসবাবপত্র এবং ওষুধ কেনার জন্য প্রাথমিকভাবে এক লক্ষাধিক টাকা পুঁজি থাকলেই ওষুধের দোকান দেওয়া সম্ভব। সে ক্ষেত্রে বেশি প্রয়োজনীয় ওষুধগুলো দিয়েই শুরু করতে হবে। খুব বেশি দামি এবং অপ্রচলিত ওষুধ প্রাথমিকভাবে না রাখাই উচিত হবে। দোকানের আকারের সঙ্গে সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ওষুধ রাখার তাক বানাতে হবে। কিছু সাধারণ পরীক্ষণ যন্ত্র, যেমন থার্মোমিটার (তাপমাত্রা মাপক যন্ত্র), স্টেথিস্কোপ (হূদস্পন্দন মাপক যন্ত্র), স্ফিগমোম্যানোমিটার (রক্তচাপ মাপক যন্ত্র) রাখতে হবে।